ঢাকা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত Logo পাকুন্দিয়ায় গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী পলাতক Logo শোক থেকে শক্তির অভ্যুদ্বয়: সার্বভৌমত্ব ও মুক্তির চূড়ান্ত লড়াই Logo ঘোড়া বর্ষের প্রতিপাদ্যে চীন-আরব সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন Logo একচীন নীতিতে পুনরায় সমর্থন জানাল তিন আরব দেশ Logo ম্যাকাও প্রধান নির্বাহীর কার্যপ্রতিবেদন শুনলেন প্রেসিডেন্ট সি Logo দাম ও মানের সমন্বয়ে মধ্যপ্রাচ্যে এগিয়ে চীনা অটোমোবাইল Logo টানা নবম বছর গ্যাস উৎপাদনে চীনের মাইলফলক Logo শনিবার বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে শহীদ ওসমান হাদির জানাজা Logo বরুড়ায় মরহুম হাজী নোয়াব আলী স্মৃতি স্মরনে ডাবল ফ্রিজ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

ঢাকার বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় সরাইলের এক পরিবারের ৫ জন নিহত

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ঢাকার বেইলি রোডে একটি ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের একই পরিবারের পাঁচ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর খন্দকার পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার, তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম, বড় মেয়ে সৈয়দা কাশফিয়া (১৮) দ্বিতীয় মেয়ে সৈয়দা নূর (১৪) একমাত্র ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ(৭)। তারা ঢাকার ওই ভবনের একটি হোটেলে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিল।

নিহতের ফুফাতো ভাই সাইফুল ইসলাম জানায়, প্রায় বিশ বছর যাবৎ কাউছার ইতালি প্রবাসী। গত দুই সপ্তাহ আগে তিনি দেশে আসেন, ইতালিতে ব্যবসা করতেন তিনি। সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যে স্ত্রী ও সন্তানদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই আগুনে পুড়ে তাদের সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। বেইলি রোডের আগুনে পুড়ার ঘটনায় এই পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে জানা গেছে । সেখানে স্ত্রী-সন্তানসহ মারা গেছেন সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার।

নিহতের আরেক চাচাতো ভাই ফয়সাল বলেন, ‘পরিবারটি ইতালিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল । কিন্তু তাদের আর যাওয়া হলো না। ঢাকার মধুবাগে তারা বসবাস করতেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেতে যাওয়াটাই কাল হলো তাদের। পরিবারের আর কেউ বেঁচে রইলো না।

নিহতের মা হেলেনা বেগম জানায়, ঢাকা থেকে আজকে সবাই বাড়িতে আসার কথা ছিল, এখন লাশ হয়ে বাড়ি আসতেছে। ঢাকা থেকে মরদেহ নিয়ে রওনা হয়েছে, বাদ আছর নিহতদের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে জানান তিনি।

একই পরিবারের পাঁচ সদসের মৃত্যতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

উল্লেখ্য: বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকার ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ আগুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন ১০ জন। এ ছাড়া ভর্তি রয়েছে আরও অনেকে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আরও ৩৩ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে কয়জন নারী, পুরুষ কিংবা শিশু তা এখনও জানার চেষ্টা চলছে। রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

ঢাকার বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় সরাইলের এক পরিবারের ৫ জন নিহত

আপডেট সময় ১২:৪২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ঢাকার বেইলি রোডে একটি ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের একই পরিবারের পাঁচ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর খন্দকার পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার, তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম, বড় মেয়ে সৈয়দা কাশফিয়া (১৮) দ্বিতীয় মেয়ে সৈয়দা নূর (১৪) একমাত্র ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ(৭)। তারা ঢাকার ওই ভবনের একটি হোটেলে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিল।

নিহতের ফুফাতো ভাই সাইফুল ইসলাম জানায়, প্রায় বিশ বছর যাবৎ কাউছার ইতালি প্রবাসী। গত দুই সপ্তাহ আগে তিনি দেশে আসেন, ইতালিতে ব্যবসা করতেন তিনি। সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যে স্ত্রী ও সন্তানদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই আগুনে পুড়ে তাদের সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। বেইলি রোডের আগুনে পুড়ার ঘটনায় এই পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে জানা গেছে । সেখানে স্ত্রী-সন্তানসহ মারা গেছেন সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার।

নিহতের আরেক চাচাতো ভাই ফয়সাল বলেন, ‘পরিবারটি ইতালিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল । কিন্তু তাদের আর যাওয়া হলো না। ঢাকার মধুবাগে তারা বসবাস করতেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেতে যাওয়াটাই কাল হলো তাদের। পরিবারের আর কেউ বেঁচে রইলো না।

নিহতের মা হেলেনা বেগম জানায়, ঢাকা থেকে আজকে সবাই বাড়িতে আসার কথা ছিল, এখন লাশ হয়ে বাড়ি আসতেছে। ঢাকা থেকে মরদেহ নিয়ে রওনা হয়েছে, বাদ আছর নিহতদের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে জানান তিনি।

একই পরিবারের পাঁচ সদসের মৃত্যতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

উল্লেখ্য: বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকার ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ আগুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন ১০ জন। এ ছাড়া ভর্তি রয়েছে আরও অনেকে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আরও ৩৩ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে কয়জন নারী, পুরুষ কিংবা শিশু তা এখনও জানার চেষ্টা চলছে। রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।