ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কটিয়াদীতে কচিকণ্ঠ শিশু একাডেমি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত Logo স্বার্থান্বেষী মহলের প্রতিরোধ সত্বেও অবৈধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে Logo পৃথিবীর এক পঞ্চামাংশ মানুষ গালাকে ভালোবাসে উদযাপন করেন:শেন হাইসিয়ং Logo সম্পর্ক নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিবে সরকার : উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন Logo সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন Logo আদিবাসী স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র Logo ইডটকো বাংলাদেশের অত্যাধুনিক ফাইভ-জি রেডি টাওয়ার অপারেশন সেন্টার চালু: উদ্বোধন করলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার Logo জলবায়ু তহবিল সংগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিসিডিপি চালু করা হয়েছে। – পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo মনিরুজ্জামান খান জামালপুর আর এম বিদ্যাপীঠের সভাপতি নির্বাচিত Logo অগ্নিদগ্ধ সেই শিশু সামিয়া আর নেই!!

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

 

বিশেষ প্রতিনিধি: ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। ইতোমধ্যে দুদক কর্তৃপক্ষ তার সকল দুর্নীতি আমলে নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে তদন্ত শুরু করেছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, খলিলুর রহমান ঢাকা আহছানিয়া মিশনে ২০১৭-২০২১ সাল পর্যন্ত কৌশলে দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন বিভিন্ন পর্যায়ে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যেসকল অভিযোগ উঠে সেগুলোস হলো- জনবল নিয়োগ, জাকাতের টাকা এফডিআর ও অন্যখাতে ব্যয়, যাকাতের অর্থ নিজের আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বিতরণ করা, দুর্নীতির অভিযোগে কক্সবাজার ইউনিসেফের শিক্ষা প্রকল্পেয়ে সঠিক সময়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। যার কারনে হাজার কর্মী চাকরী হারায়। এই দূর্নীতির সাথে যারা যুক্ত ছিল তাদের ভিতরে একজনের চাকরী গেলেও দুর্নীতিকান্ডে সম্পৃক্ত থাকার পরেও মহব্বত হোসেন নামের ওই কর্মীকে রাইটস ও গভর্নেস সেক্টরের প্রকল্প ব্যবস্থাপক পদ থেকে পদোন্নতি দিয়ে টিম লিডার করে। মহব্বত হোসেনসহ চার জন ব্যক্তিগত যৌথ ব্যাংক হিসাব খুলে অফিসের এক কোটি টাকা জমা রাখে। ইউনিসেফ অর্থায়নে শিক্ষা প্রকল্পের দুর্নীতির তদন্ত করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ। এবং ওই তদন্তের সুপারিশ সমূহ বাস্তবায়ন না করে নির্বাহী কমিটির সভায় এস এম খলিলুর রহমান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ও মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান হিসেবে প্রত্যখ্যান করে অনিয়মের সার্বিক কার্যক্রম স্থগিত করেন, যা আজও পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেও তাদের একজনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহন করেনি এস এম খলিলুর রহমান।

খলিলুর রহমান উত্তরা আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যাহার করে অভিজ্ঞতা না থাকার পরেও তার নিজের মেয়ে ডা: মিফতাহুল জান্নাতকে উক্ত হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার থেকে পদোন্নতি দিয়ে রেজিস্টার বানিয়ে দেয়। মনোবিজ্ঞানে পাস না করে কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়ায় প্রভাব খাটিয়ে তার নিজের ভাইয়ের মেয়েকে শিক্ষা প্রকল্পে কাউন্সিলর হিসেবে নিয়োগ দেন।

এছাড়াও ক্ষমতার অপব্যহার করে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নীতি বর্হিভূতভাবে এস এম খলিলুর রহমান সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি মানব সম্পদ বিভাগেরও দায়িত্বে নেয়। এবং মানব সম্পদ বিভাগে কোন পরিচালক নিয়োগ করতে দেয়নি। এই সব অনিয়মরে কারনে তাকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে তৎকালিন নির্বাহী কমিটি অব্যহতি প্রদান করে ও পরবর্তিতে নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকেও তাকে অব্যহতি দেন। উনি বিভিন্ন ভাবে প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির তদন্ত যাতে ধামাচাপা দেয়া যায় তার প্রচেষ্টা করছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক ও এই অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শিহাব সালাম জানান, এখনো গোপন তদন্ত চলছে। তবে তদন্ত শেষ হলে আমরা আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

আভিযোগ আছে যে, খলিলুর রহমানের দুর্নীতির লাগাম টেনে না ধরে সেটাকে আরো প্রবাহিত করতে তিনি কৃষি বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে কোনো প্রকার অভিজ্ঞতা ছাড়ায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ফুসলিয়ে বর্তমানে খুলনা খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী আহ্ছানিয়া মিশন ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজী, কেএটিটিসি, এইআইটিভিইটি, এমসি, এআইআইসিটি এবং যশোর আহ্ছানিয়া মিশন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রাজশাহী আহ্ছানউল্লা ইউনিভার্সিটির কনভেনর (সমন্বয়ক) হিসেবে দুর্নীতিবাজ খলিলুর রহমান পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। এর সাথে তার আরো দুই সহযোগী চিকিৎসক এম এ জলিল এবং ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে সদস্য পদ দিয়েছেন। তাঁদের কারো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানোর অভিজ্ঞতা নেই। সভাপতি নির্বাহী আদেশে এই অপকর্ম করেছে। এছাড়াও তিনি উত্তরা আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হয়েছে। এর আগে তিনি ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ডিএফইডি)’র পরিচালনা পর্ষদ ও হজ্ব ফাইন্যান্স কোম্পানীর পরিচালক ছিলেন। সে প্রতিষ্ঠান গুলোও অব্যপস্থাপনায় জর্জরিত।

এছাড়াও তিনি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তিনি সপদে বসে দুর্নীতি ও অনিয়ম এবং মিশনের বিভিন্ন সরঞ্জামদী ক্রয় ক্ষমতা তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারই বন্ধু বর্তমান ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ক্রয় বিভাগের প্রধান হাসিবুর রহমানকে তার মেয়াদকালীন সময়ে ক্রয় কমিটির প্রধান করে ব্যাপক দুর্নীতির করার অভিযোগ ওঠে।

এবিষয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের বর্তমান সভাপতি প্রফেসর ড. গোলাম রহমান বলেন এস এম খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকে হওয়া অভিযোগ সম্পর্কে আমি অবগত নই।

খলিলুর রহমান আওয়ামীলীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের ঘনিষ্ট হওয়ায় তার প্রভাব খাটিয়ে রাজউকের নিয়ম বর্হিভূত ভাবে উত্তরা-পূর্বাচলে দুটি প্লট হতিয়ে নেয়। বিষয়টি পরে জানাজানি হলে পূর্বাচলের প্লটটি বিক্রি করে দেয় বলে জানা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বার্কের তার সাবেক এক সহকর্মী বলেন, এস এম খলিলুর রহমান বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বার্ক) পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকা কালীন একজন নারী পরিচালকের সাথে অবৈধ পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান যার ফলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে ব্যপক সমালোচনা ও স্টাফদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরী হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের প্রভাবে বার্কে সেচ্ছাচারিতা শুরু করে। এখনো তদন্ত করলে নারী সংশ্লতা সহ অনেক অনিয়ম দূর্নীতি বেরিয়ে আসবে। এর আগে তিনি বার্কে কর্মরত থাকাকালীন ফুসলিয়ে তার নিজের সহকর্মীকে সে বিয়ে করে।

এ বিষয়ে জনতে চাইলল নিজেকে নির্দোশ দাবি করে অভিযুক্ত এস এম খলিলুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে দুদকে হওয়া অভিযোগ সম্পর্কে আমিও অবগত আছি। এসব অভিযোগের কোনটাই সত্য না। তবে আমিও চাই দুদক সঠিক তদন্ত করুক। এবং এই তদন্তের যেন কোনো ব্যাপ্তয় না ঘটে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য বলেন, আত্মকেন্দ্রিকতার মাধ্যমে তারা মূলত ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা খানবাহাদুর আহ্ছনউল্লা আদর্শ বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। মিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবু তৈয়ব আবু আহমেদ প্রচ্ছন্ন মদতে তার অনৈতিক কর্মকাণ্ড অনিয়ন্ত্রিত। সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবু তৈয়ব আবু আহমেদকে মিশনের সভাপতি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান করার প্রতিশ্রুতির দিয়ে এস এম খলিল গং তাদের সুযোগ সুবিধা পদ-পদবি দখলের প্রচেষ্টায় লিপ্ত। যার কারনে মিশন আজ অস্তিত্বের সংকটে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কটিয়াদীতে কচিকণ্ঠ শিশু একাডেমি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

আপডেট সময় ১১:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

 

বিশেষ প্রতিনিধি: ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। ইতোমধ্যে দুদক কর্তৃপক্ষ তার সকল দুর্নীতি আমলে নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে তদন্ত শুরু করেছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, খলিলুর রহমান ঢাকা আহছানিয়া মিশনে ২০১৭-২০২১ সাল পর্যন্ত কৌশলে দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন বিভিন্ন পর্যায়ে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যেসকল অভিযোগ উঠে সেগুলোস হলো- জনবল নিয়োগ, জাকাতের টাকা এফডিআর ও অন্যখাতে ব্যয়, যাকাতের অর্থ নিজের আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বিতরণ করা, দুর্নীতির অভিযোগে কক্সবাজার ইউনিসেফের শিক্ষা প্রকল্পেয়ে সঠিক সময়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। যার কারনে হাজার কর্মী চাকরী হারায়। এই দূর্নীতির সাথে যারা যুক্ত ছিল তাদের ভিতরে একজনের চাকরী গেলেও দুর্নীতিকান্ডে সম্পৃক্ত থাকার পরেও মহব্বত হোসেন নামের ওই কর্মীকে রাইটস ও গভর্নেস সেক্টরের প্রকল্প ব্যবস্থাপক পদ থেকে পদোন্নতি দিয়ে টিম লিডার করে। মহব্বত হোসেনসহ চার জন ব্যক্তিগত যৌথ ব্যাংক হিসাব খুলে অফিসের এক কোটি টাকা জমা রাখে। ইউনিসেফ অর্থায়নে শিক্ষা প্রকল্পের দুর্নীতির তদন্ত করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ। এবং ওই তদন্তের সুপারিশ সমূহ বাস্তবায়ন না করে নির্বাহী কমিটির সভায় এস এম খলিলুর রহমান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ও মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান হিসেবে প্রত্যখ্যান করে অনিয়মের সার্বিক কার্যক্রম স্থগিত করেন, যা আজও পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেও তাদের একজনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহন করেনি এস এম খলিলুর রহমান।

খলিলুর রহমান উত্তরা আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যাহার করে অভিজ্ঞতা না থাকার পরেও তার নিজের মেয়ে ডা: মিফতাহুল জান্নাতকে উক্ত হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার থেকে পদোন্নতি দিয়ে রেজিস্টার বানিয়ে দেয়। মনোবিজ্ঞানে পাস না করে কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়ায় প্রভাব খাটিয়ে তার নিজের ভাইয়ের মেয়েকে শিক্ষা প্রকল্পে কাউন্সিলর হিসেবে নিয়োগ দেন।

এছাড়াও ক্ষমতার অপব্যহার করে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নীতি বর্হিভূতভাবে এস এম খলিলুর রহমান সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি মানব সম্পদ বিভাগেরও দায়িত্বে নেয়। এবং মানব সম্পদ বিভাগে কোন পরিচালক নিয়োগ করতে দেয়নি। এই সব অনিয়মরে কারনে তাকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে তৎকালিন নির্বাহী কমিটি অব্যহতি প্রদান করে ও পরবর্তিতে নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকেও তাকে অব্যহতি দেন। উনি বিভিন্ন ভাবে প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির তদন্ত যাতে ধামাচাপা দেয়া যায় তার প্রচেষ্টা করছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক ও এই অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শিহাব সালাম জানান, এখনো গোপন তদন্ত চলছে। তবে তদন্ত শেষ হলে আমরা আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

আভিযোগ আছে যে, খলিলুর রহমানের দুর্নীতির লাগাম টেনে না ধরে সেটাকে আরো প্রবাহিত করতে তিনি কৃষি বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে কোনো প্রকার অভিজ্ঞতা ছাড়ায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ফুসলিয়ে বর্তমানে খুলনা খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী আহ্ছানিয়া মিশন ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজী, কেএটিটিসি, এইআইটিভিইটি, এমসি, এআইআইসিটি এবং যশোর আহ্ছানিয়া মিশন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রাজশাহী আহ্ছানউল্লা ইউনিভার্সিটির কনভেনর (সমন্বয়ক) হিসেবে দুর্নীতিবাজ খলিলুর রহমান পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। এর সাথে তার আরো দুই সহযোগী চিকিৎসক এম এ জলিল এবং ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে সদস্য পদ দিয়েছেন। তাঁদের কারো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানোর অভিজ্ঞতা নেই। সভাপতি নির্বাহী আদেশে এই অপকর্ম করেছে। এছাড়াও তিনি উত্তরা আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হয়েছে। এর আগে তিনি ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ডিএফইডি)’র পরিচালনা পর্ষদ ও হজ্ব ফাইন্যান্স কোম্পানীর পরিচালক ছিলেন। সে প্রতিষ্ঠান গুলোও অব্যপস্থাপনায় জর্জরিত।

এছাড়াও তিনি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তিনি সপদে বসে দুর্নীতি ও অনিয়ম এবং মিশনের বিভিন্ন সরঞ্জামদী ক্রয় ক্ষমতা তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারই বন্ধু বর্তমান ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ক্রয় বিভাগের প্রধান হাসিবুর রহমানকে তার মেয়াদকালীন সময়ে ক্রয় কমিটির প্রধান করে ব্যাপক দুর্নীতির করার অভিযোগ ওঠে।

এবিষয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের বর্তমান সভাপতি প্রফেসর ড. গোলাম রহমান বলেন এস এম খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকে হওয়া অভিযোগ সম্পর্কে আমি অবগত নই।

খলিলুর রহমান আওয়ামীলীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের ঘনিষ্ট হওয়ায় তার প্রভাব খাটিয়ে রাজউকের নিয়ম বর্হিভূত ভাবে উত্তরা-পূর্বাচলে দুটি প্লট হতিয়ে নেয়। বিষয়টি পরে জানাজানি হলে পূর্বাচলের প্লটটি বিক্রি করে দেয় বলে জানা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বার্কের তার সাবেক এক সহকর্মী বলেন, এস এম খলিলুর রহমান বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বার্ক) পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকা কালীন একজন নারী পরিচালকের সাথে অবৈধ পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান যার ফলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে ব্যপক সমালোচনা ও স্টাফদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরী হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের প্রভাবে বার্কে সেচ্ছাচারিতা শুরু করে। এখনো তদন্ত করলে নারী সংশ্লতা সহ অনেক অনিয়ম দূর্নীতি বেরিয়ে আসবে। এর আগে তিনি বার্কে কর্মরত থাকাকালীন ফুসলিয়ে তার নিজের সহকর্মীকে সে বিয়ে করে।

এ বিষয়ে জনতে চাইলল নিজেকে নির্দোশ দাবি করে অভিযুক্ত এস এম খলিলুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে দুদকে হওয়া অভিযোগ সম্পর্কে আমিও অবগত আছি। এসব অভিযোগের কোনটাই সত্য না। তবে আমিও চাই দুদক সঠিক তদন্ত করুক। এবং এই তদন্তের যেন কোনো ব্যাপ্তয় না ঘটে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য বলেন, আত্মকেন্দ্রিকতার মাধ্যমে তারা মূলত ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা খানবাহাদুর আহ্ছনউল্লা আদর্শ বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। মিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবু তৈয়ব আবু আহমেদ প্রচ্ছন্ন মদতে তার অনৈতিক কর্মকাণ্ড অনিয়ন্ত্রিত। সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবু তৈয়ব আবু আহমেদকে মিশনের সভাপতি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান করার প্রতিশ্রুতির দিয়ে এস এম খলিল গং তাদের সুযোগ সুবিধা পদ-পদবি দখলের প্রচেষ্টায় লিপ্ত। যার কারনে মিশন আজ অস্তিত্বের সংকটে।