
জাপানের প্রধানমন্ত্রী তাকাইছি সানে কংগ্রেসে চীনের তাইওয়ান বিষয় নিয়ে উন্মুক্তভাবে উস্কানিমূলক মন্তব্য রেখেছেন এবং তাইওয়ান প্রণালী ইস্যুতে বলপ্রয়োগ করে হস্তক্ষেপের সম্ভাবনার ইঙ্গিতও দিয়েছেন। চীন এর দৃঢ় বিরোধিতা করে এবং এটি কোনোভাবেই সহ্য করবে না।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন চিয়ান ১৩ নভেম্বর বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, জাপানকে অবিলম্বে ভুল মন্তব্য সংশোধন করতে হবে এবং অবশ্যই তার আক্রমণাত্মক মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে, অন্যথায় তাদের সব পরিণতি নিজেকেই বহন করতে হবে।
মুখপাত্র বলেন, চীন কঠোর মনোভাব এবং তীব্র প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও জাপান ভুল মন্তব্য প্রত্যাহার করেনি। এই ভুল মন্তব্যগুলো এক চীন নীতি, চীন-জাপান চারটি রাজনৈতিক দলিল এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়মের গুরুতর লঙ্ঘন। এটি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্পষ্ট হস্তক্ষেপ, চীনের মূল স্বার্থের প্রতি চ্যালেঞ্জ এবং চীনের সার্বভৌমত্বের ওপর লঙ্ঘন।
লিন চিয়ান বলেন, চলতি বছরটি চীনা জনগণের জাপানি আগ্রাসন-বিরোধী যুদ্ধ তথা বিশ্ব ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধ জয়ের ৮০তম বার্ষিকী এবং একইসাথে তাইওয়ানের পুনরুদ্ধারের ৮০তম বার্ষিকী। জাপান একসময় তাইওয়ানকে উপনিবেশ করে রেখেছিল এবং অসংখ্য অপরাধ করেছিল। জাপানি সামরিকতন্ত্র বারবার “অস্তিত্বগত সংকট” এর অজুহাতে বিদেশি আগ্রাসন শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে “আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগের” অজুহাতে নির্লজ্জভাবে ‘১৮ সেপ্টেম্বরের’ ঘটনা তৈরি করা এবং চীনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের যুদ্ধ শুরু করা, যা এশিয়ার জনগণের জন্য গভীর বিপর্যয় ডেকে এনেছিল।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আজ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবার তথাকথিত ‘অস্তিত্বগত সংকট’ উল্লেখ করছেন, এর উদ্দেশ্য কী? জাপান কি আবার চীনা জনগণ এবং এশিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে শত্রুতা করবে?”
লিন চিয়ান জোর দিয়ে বলেন, তাইওয়ান চীনের তাইওয়ান। কোন পদ্ধতিতে তাইওয়ান সমস্যার সমাধান করা হবে বা দেশের ঐক্য বাস্তবায়ন করা হবে, তা চীনাদের নিজস্ব ব্যাপার। বাইরের কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবে না। যদি জাপান বলপ্রয়োগ করে তাইওয়ান প্রণালীর পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করার সাহস করে, তবে তা আগ্রাসনের একটি লক্ষণ হবে এবং চীন অবশ্যই জোরালো প্রতিশোধ নেবে!
সূত্র: শুয়েই-তৌহিদ-জিনিয়া,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
আন্তর্জাতিক: 























