
সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)
বরগুনার তালতলীতে ধান ক্ষেতো ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মোঃ কাদের মুন্সী (৬৫) নাম এক কৃষকের মত্যু হয়েছে। শনিবার রাত ৮ টার দিকে উপজলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমখোলা গ্রামে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষক কাদের মুন্সী আমখোলা গ্রামের মোহাম্মাদ মিয়ার ছেলে।
স্হানীয় সূত্রো জানা যায়, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমখোলা গ্রামো বোরো ধান চাষ করেন একই গ্রামোর সিদ্দিক ও নাসির মিয়া।
তাদের ধানক্ষেতে ইঁদুর মারার জন্য বৈদ্যুতিক ফাঁদ পুতে রাখেন। এরপাশেই বোরো ধান চাষ করেন একই গ্রামের কৃষক কাদের মুন্সী। তিনি বিকাল চারটার দিকে তার ধান ক্ষেতে দেখতে গিয়ে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় রাতে পরিবারের লোকজন খোজাঁ খুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা রাত ৮টার দিকে ধান খেতো পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদের পাশে তাঁর নিথরদেহ পরে থাকতে দেখেন। পরে স্বজনরা তার মরদেহ উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সো নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান অনেক আগেই তার মত্যু হয়েছে।
নিহতের ছেলে তরিকুল ইসলাম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা বিকালে ধান ক্ষেত দখতে যান। পরে সন্ধ্যায় বাড়িত না ফেরায় খোঁজাখুঁজিকরি। এক পর্যায়ে প্রতিবেশী সিদ্দিক ও নাসির মিয়ার ক্ষেতে ইঁদুর মারা পাতা ফাদেঁর বৈদ্যুতিক তার জড়িয়ে মরা অবস্হায় দেখতে পাই। আমি এঘটনার বিচার চাই।
তালতলী উপজলা স্বাস্হ্য কমপ্লোক্সের মোডিকেল অফিসার ডা. আইরিন আলম বলেেন, কৃষক কাদের মুন্সীকে হাসপাতাল আনার অনেক আগেই মারা গেছে। তার শরীরে বিদ্যুতে পোরা দাগ রয়েছে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মা. শাহজালাল বলন,‘নিহত কৃষক কাদের মুন্সীর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জোনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানল হয়েছে। এবিষয়ে অভিযাগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।