সাইফুল্লাহ নাসির, তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলী উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।অভিযুক্ত জাহিদুল হক সোহাগ উপজেলার ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাতে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সড়কের তালতলী ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকদ্বয় হলেন, দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার তালতলী উপজেলা সংবাদদাতা ও তালতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি ইউসুফ আলী এবং সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মানবকন্ঠের তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি শাহাদাৎ হোসেন।
সাংবাদিকদ্বয় বলেন,তালতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে ওয়াইফাই লাইন দুইদিন ধরে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন প্রধান শিক্ষক সোহাগ।উক্ত শিক্ষক তালতলীতে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক পরিচালনা করেব।ওয়াইফাই লাইন দুই দিন ধরে বন্ধ থাকার ব্যাপারে কথা বলতে তার অফিসে গেলে সোহাগ সাংবাদিকদের দেখে কটুক্তি মূলক কথা বলেন এবং সাংবাদিক শাহাদাৎকে গালাগালি ও ডাক চিৎকার দিয়ে হুমকি ধামকি দেন। এ সময় সাংবাদিক ইউসুফ আলীকেও হেনস্তা করেন। সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
সাংবাদিক ইউসুফ আলী বলেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের অফিসে ওয়াইফাই দুই দিন ধরে বন্ধ। এ ব্যাপারে সোহাগের সাথে কথা বলতে গেলেই তিনি সাংবাদিকদের দেখেই উদ্ভট আচরণ করেন। সাংবাদিক শাহাদাৎকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে মারতে আসেন।
এই ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা বলেন, সোহাগ (জাসস) জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা এর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক। বড় ভাই শহিদুল হক উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও বর্তমান বরগুনা ২ আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় তিনি ক্ষমতার দাপট দেখান। এছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় সুদের কারবার করে রাতারাতি টাকার মালিক বনে গেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক জাহিদুল হক সোহাগ বলেন,ওয়াইফাই লাইনের বিল বাকি ছিল এজন্য লাইন কেটে দিয়েছি।
তালতলী থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।