মুনতাসীর মামুন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ প্রকল্পে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যারা জড়িত ছিলেন, দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, সবাইকে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আরও ১১টি প্রকল্প আপনাদের জন্য উপহার হিসেবে উদ্বোধন করে দিলাম। আজকের এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে গত নির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়েছিলেন বলে। নৌকা যখনই সরকারে এসেছে, দেশ ও মানুষের উন্নয়ন করেছে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলকে চট্টগ্রামবাসীর জন্য বিশেষ উপহার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকে আপনাদের কাছে এসেছি একটা বিশেষ উপহার নিয়ে। দইজ্জার তল (নদীর নিচ দিয়ে) দিয়ে গাড়ি চলে। দইজ্জার তল দিয়ে সবাই বাড়ি যাবে।’
শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের পর আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড (কেইপিজেড) মাঠে এক জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।
কর্ণফুলীর ওপর নতুন করে ব্রিজ তৈরি পরিবর্তে টানেল নির্মাণের কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলার ব্যবস্থা অর্থাৎ টানেল- কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রাম পোর্ট বারবার সিলিটেশন (পলি জমা) হয়। যত বেশি আমরা ব্রীজ করব তত সিলিটেশন বাড়বে। সে কারণেই আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল এখানে আমরা নদীর নিচ দিয়ে টানেল করে দিব।
‘কিছুক্ষণ আগেই সেই টানেল আমরা উদ্বোধন করেছি। এই টানেল শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম না, সমগ্র বাংলাদেশের যোগাযোগ, পাশাপাশি আঞ্চলিক যোগাযোগ বিরাট ভূমিকা রেখে যাবে। এখন আর ওই ঝড় বৃষ্টির অপেক্ষা করতে হবে না। নদীর তল দিয়েই গাড়ি চলাচল করবে। দক্ষিণ এশিয়ায় এত বড় টানেল এটা এই প্রথম।’
এ সময় টানেল নির্মাণে সহযোগিতার জন্য চীনের সাবেক রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চীনের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। চীন সফরে যেয়ে আমি তাদেরকে বলেছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়েছেন। এবং আজকে আমরা সেই টানেল তৈরি করেছি। আজকে থেকেই এই টানেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন,নৌকা যখনই সরকারে এসেছে, দেশ ও মানুষের উন্নয়ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সব সময় লক্ষ্য আমাদের দেশটা আরও উন্নত হোক। এখান থেকে কক্সবাজার যেতে বহু সময় লাগতো, এখন আর বেশি সময় লাগবে না। বা ঢাকা থেকে একেবারে শহর বাইপাস করে যাবে এখন আর চট্টগ্রাম শহরে ঢুকে যানজটে পড়তে হবে না। টানেল দিয়ে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে আমরা সংযুক্ত হব যা আমাদের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে।’