ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভালুকায় শিশুর গলায় দা ঠেকিয়ে ডাকাতি, টাকা-সোনা লুট Logo বাংলাদেশি সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ Logo দেশের বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল নির্মাণে কালক্ষেপন মেনে নেয়া হবে না-ক্যাব  Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনের অপরাধে ১ জনের কারাদণ্ড  Logo চীনের মহাকাশ স্টেশনের ভবিষ্যৎ প্রকল্প Logo বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি কখনও কমবে না : চীনা প্রতিনিধি ফু ছুং Logo চীনে প্রবেশ ও প্রস্থানের পরিমাণ ৪৩.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে Logo চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য নতুন রেকর্ড Logo চীন-গ্রেনাডা সম্পর্ক দুই দেশ ও জনগণের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ: সি Logo বরুড়ায় তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

দুদকের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

মোঃ নাজমুল হোসেন ইম, মহানগর প্রতিনিধ, ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে কোটি কোটি টাকা। আর প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়েছেন জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাসহ নানা পেশার মানুষ।

প্রতারণার তথ্য পাওয়ার পর রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। পরে চক্রের ৪ জনকে গ্রেফতার করলো গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ।

গত সোমবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মূলত, সংস্থাটির ওয়েবসাইট থেকে তথ্য, ভুক্তভোগীর নম্বর সংগ্রহ ও ভুয়া চিঠি বানিয়ে ফোন দিতো প্রতারকরা। তাদের এই কাজে সহায়তা করতো ফুয়াদ নামের এক ব্যক্তি, যিনি দুদকের এক উপ-পরিচালকের আত্মীয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার খোন্দকার নুরুন্নবী।

গ্রেপতারকৃতরা হলেন, মো. সেলিম ওরফে তানভীর ইসলাম ওরফে শফিকুর রহমান (৩৯), মো. সোহাগ পাটোয়ারী (৩৮), আব্দুল হাই সোহাগ (৩৮) ও মো. আজমীর হোসেন (৩৭)। তাদের মধ্যে সেলিম চক্রের মূলহোতা।

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৭টি মোবাইল, ১০টি সিম, বাংলা টিভি ৭১-এর কর্ডলেস মাউথ পিস, পত্রিকা, মানবাধিকার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের ৭টি ভুয়া আইডি কার্ড, দুদক কর্তৃক বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের ১২টি প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন ব্যক্তির ফোন নম্বর লেখা তিনটি নোটবুক জব্দ করা হয়।

এদিকে, ভুক্তভোগী জনপ্রতিনিধি বা সরকারী কর্মকর্তাদের ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি গোয়েন্দা পুলিশ।

জানানো হয়, প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ করতে চক্রটি ৮০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতো। এক্ষেত্রে তারা দুদক কার্যালয়ের সামনে অথবা সেগুনবাগিচাস্হ নাট্য মঞ্চ এলাকার আশপাশে টার্গেট ব্যক্তিদেরকে আসতে বলে ক্যাশ অথবা নগদ ফাইন্যান্সিয়াল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকাগুলো হাতিয়ে নিতো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা লাখ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে স্বীকার করেছে। এভাবে তারা এক বছরে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভালুকায় শিশুর গলায় দা ঠেকিয়ে ডাকাতি, টাকা-সোনা লুট

SBN

SBN

দুদকের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

আপডেট সময় ০৫:১০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

মোঃ নাজমুল হোসেন ইম, মহানগর প্রতিনিধ, ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে কোটি কোটি টাকা। আর প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়েছেন জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাসহ নানা পেশার মানুষ।

প্রতারণার তথ্য পাওয়ার পর রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। পরে চক্রের ৪ জনকে গ্রেফতার করলো গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ।

গত সোমবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মূলত, সংস্থাটির ওয়েবসাইট থেকে তথ্য, ভুক্তভোগীর নম্বর সংগ্রহ ও ভুয়া চিঠি বানিয়ে ফোন দিতো প্রতারকরা। তাদের এই কাজে সহায়তা করতো ফুয়াদ নামের এক ব্যক্তি, যিনি দুদকের এক উপ-পরিচালকের আত্মীয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার খোন্দকার নুরুন্নবী।

গ্রেপতারকৃতরা হলেন, মো. সেলিম ওরফে তানভীর ইসলাম ওরফে শফিকুর রহমান (৩৯), মো. সোহাগ পাটোয়ারী (৩৮), আব্দুল হাই সোহাগ (৩৮) ও মো. আজমীর হোসেন (৩৭)। তাদের মধ্যে সেলিম চক্রের মূলহোতা।

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৭টি মোবাইল, ১০টি সিম, বাংলা টিভি ৭১-এর কর্ডলেস মাউথ পিস, পত্রিকা, মানবাধিকার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের ৭টি ভুয়া আইডি কার্ড, দুদক কর্তৃক বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের ১২টি প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন ব্যক্তির ফোন নম্বর লেখা তিনটি নোটবুক জব্দ করা হয়।

এদিকে, ভুক্তভোগী জনপ্রতিনিধি বা সরকারী কর্মকর্তাদের ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি গোয়েন্দা পুলিশ।

জানানো হয়, প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ করতে চক্রটি ৮০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতো। এক্ষেত্রে তারা দুদক কার্যালয়ের সামনে অথবা সেগুনবাগিচাস্হ নাট্য মঞ্চ এলাকার আশপাশে টার্গেট ব্যক্তিদেরকে আসতে বলে ক্যাশ অথবা নগদ ফাইন্যান্সিয়াল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকাগুলো হাতিয়ে নিতো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা লাখ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে স্বীকার করেছে। এভাবে তারা এক বছরে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।