ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেবিদ্বারের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক

কুমিল্লা-৪ আসনের (দেবিদ্বার) সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি জানান।

এদিকে, অভিযোগ অনুসন্ধানে এরই মধ্যে দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসানকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পাওয়ায় কমিশন থেকে আরো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আবুল কালাম আজাদ ব্যাংক থেকে শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা বিদেশে পাচার করেছেন। তিনি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। গুলশান, বনানী ও উত্তরা এলাকায় অভিজাত ফ্ল্যাট ও প্লট রয়েছে তার মালিকানায়, যা দুর্নীতির অর্থেই ক্রয় করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি ঢাকায় বসে আরও কিছু দুর্নীতিবাজ সাবেক ও বর্তমান এমপিদের নিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেট অর্থ পাচার, টেন্ডার বাণিজ্য, প্রশাসনের উপর প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন এবং বিভিন্ন জায়গায় ভূমি দখলের মতো অপরাধে যুক্ত ছিলেন। আবুল কালাম আজাদের নামে ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ। এমনকি বিদেশেও একাধিক ব্যাংক হিসাব ও সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দেবিদ্বারের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক

আপডেট সময় ০৮:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লা-৪ আসনের (দেবিদ্বার) সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি জানান।

এদিকে, অভিযোগ অনুসন্ধানে এরই মধ্যে দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসানকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পাওয়ায় কমিশন থেকে আরো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আবুল কালাম আজাদ ব্যাংক থেকে শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা বিদেশে পাচার করেছেন। তিনি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। গুলশান, বনানী ও উত্তরা এলাকায় অভিজাত ফ্ল্যাট ও প্লট রয়েছে তার মালিকানায়, যা দুর্নীতির অর্থেই ক্রয় করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি ঢাকায় বসে আরও কিছু দুর্নীতিবাজ সাবেক ও বর্তমান এমপিদের নিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেট অর্থ পাচার, টেন্ডার বাণিজ্য, প্রশাসনের উপর প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন এবং বিভিন্ন জায়গায় ভূমি দখলের মতো অপরাধে যুক্ত ছিলেন। আবুল কালাম আজাদের নামে ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ। এমনকি বিদেশেও একাধিক ব্যাংক হিসাব ও সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।