প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সকাল ১১টায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ কর্তৃক “বিজয়ের ৫২ বছর ও আমাদের উন্নয়ন” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আবদুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জনাব এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম মৃধা, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সভাপতি ও বঙ্গমাতা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুর রহমান। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট সাইফুদ্দিন মজুমদার সাহীন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ষড়যন্ত্র করেছিল, কিন্তু সে ষড়যন্ত্রে তার ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থ হলেও এখনও তারা ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আমরা রাজপথে থেকে জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবো। বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন করবে। তাই বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার জন্য শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আসতে হবে।
এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের আমল থেকে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল ৭৫’র ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই অগ্রযাত্রা থেমে যায়। জামাত-বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী চক্র উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ধ্বংস করে দেয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যায়। তাই বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। একমাত্র শেখ হাসিনাই পারে বাংলাদেশকে সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যেতে। তাই শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতধরে স্বাধীনতার পর উন্নয়নের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আজকে তা পূর্ণতা পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন একটি অসাম্প্রদায়িক দারিদ্রমুক্ত উন্নত জীবনের যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র অনেক ষড়যন্ত্র করছে। যে কোন মূল্যে জামাত বিএনপির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।