ঢাকা ০৯:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকীতে এসসিও-র নেতৃবৃন্দের বিবৃতি

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ১২:৩১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী এবং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও)-র সদস্যদেশগুলোর নেতারা, গত (সোমবার) চীনের থিয়েনচিন মহানগরীতে, একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে বলা হয়:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মানবতার জন্য অকথ্য দুর্ভোগ ও যন্ত্রণা বয়ে আনে। শান্তিপ্রিয় দেশগুলোর ঐক্যের কারণে এ যুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়। যুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করি। যুদ্ধের সময়ে বেঁচে থাকা যোদ্ধাদের এবং যারা যুদ্ধের সময়ে অবদান রেখেছেন, তাদের প্রতি আমরা আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে এবং ফ্যাসিবাদ ও সামরিকবাদকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্যদেশগুলো ভূমিকা পালন করে। এই সত্য বিকৃত করা, নাত্সিবাদকে পুনর্বাসিত করা, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও অন্যান্য অপরাধকে ন্যায্যতা দেওয়া, অথবা চরমপন্থী ও উগ্রপন্থী ধারণা প্রচার করার যে-কোনো প্রচেষ্টার আমরা দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাই।

১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফল এবং আধুনিক আন্তর্জাতিক সম্পর্কব্যবস্থার ভিত্তি। গত ৮০ বছর ধরে, জাতিসংঘ একটি অনন্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতার অসংখ্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে, যা শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রচার, এবং মানবাধিকার উন্নয়নসহ নানাক্ষেত্রে সকল দেশের জন্য প্রয়োজন।

আমরা জোর দিয়ে বলি যে, কেবলমাত্র জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের উদ্দেশ্য ও নীতি মেনে চলার মাধ্যমেই, সকল দেশ স্থায়ী বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে পারে।

সূত্র : শিশির-আলিম-মুক্তা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকীতে এসসিও-র নেতৃবৃন্দের বিবৃতি

আপডেট সময় ১২:৩১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী এবং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও)-র সদস্যদেশগুলোর নেতারা, গত (সোমবার) চীনের থিয়েনচিন মহানগরীতে, একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে বলা হয়:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মানবতার জন্য অকথ্য দুর্ভোগ ও যন্ত্রণা বয়ে আনে। শান্তিপ্রিয় দেশগুলোর ঐক্যের কারণে এ যুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়। যুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করি। যুদ্ধের সময়ে বেঁচে থাকা যোদ্ধাদের এবং যারা যুদ্ধের সময়ে অবদান রেখেছেন, তাদের প্রতি আমরা আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে এবং ফ্যাসিবাদ ও সামরিকবাদকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্যদেশগুলো ভূমিকা পালন করে। এই সত্য বিকৃত করা, নাত্সিবাদকে পুনর্বাসিত করা, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও অন্যান্য অপরাধকে ন্যায্যতা দেওয়া, অথবা চরমপন্থী ও উগ্রপন্থী ধারণা প্রচার করার যে-কোনো প্রচেষ্টার আমরা দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাই।

১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফল এবং আধুনিক আন্তর্জাতিক সম্পর্কব্যবস্থার ভিত্তি। গত ৮০ বছর ধরে, জাতিসংঘ একটি অনন্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতার অসংখ্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে, যা শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রচার, এবং মানবাধিকার উন্নয়নসহ নানাক্ষেত্রে সকল দেশের জন্য প্রয়োজন।

আমরা জোর দিয়ে বলি যে, কেবলমাত্র জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের উদ্দেশ্য ও নীতি মেনে চলার মাধ্যমেই, সকল দেশ স্থায়ী বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে পারে।

সূত্র : শিশির-আলিম-মুক্তা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।