ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কীটনাশক প্রয়োগে ৩ একর জমির জিরা ধান নষ্টের অভিযোগ

ধানের সাথে শত্রুতা

মোহাম্মদ আজগার আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কীটনাশক (বিষ) প্রয়োগে ৩ একর জমির জিরা ধান নষ্ট করেছেন অ্যাড. শফিউল ইসলামসহ ৮ জন এমন অভিযোগ এনে ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বর্গাচাষী কৃষক আমিনুল ইসলাম।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের বর্গাচাষী কৃষক মোঃ আমিনুল ইসলাম স্থানীয় আব্দুল খালেক ও খাজের পোদ্দারের নিকট হতে বছরে একর প্রতি ৯০ হাজার টাকা করে ৩ একর জমি বর্গা নিয়ে জিরা ধান রোপন করেন। কিছুদিনের মধ্যে রোপনকৃত ধান কেটে ঘরে তোলার কথা। এরই মধ্যে পূর্ব শত্রুতা জেরে স্থানীয় প্রভাবশালী অ্যাড. শফিউল ইসলাম ও তার সহযোগীরা রাতের আঁধারে গত ১৭ অক্টোবর কিটনাশক (বিষ) স্প্রে করে সম্পূর্ণ ধান মেরে ফেলেছে। এতে তার প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

সরেজমিনে সোমবার (২১ অক্টোবর) জমিতে গেলে দেখা যায়, চারিদিকে সবুজে মাঠ ভরপুর। কিন্তু তিন জায়গায় সবুজের মধ্যে পুড়ে যাওয়া ধান ক্ষেত। এ বিষয়ে জমির মালিক আব্দুল খালেক ও খাজের পোদ্দার বলেন, আমিনুল ইসলাম আমাদের দুই ভাইয়ের নিকট থেকে ৩ একর জমি বর্গানিয়ে দীর্ঘদিন থেকে চাষ করছেন। হঠাৎ করে উকিল শফিউল ইসলাম তার ধানক্ষেতে বিষ দিয়ে নষ্ট করে দিছে। এটার উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার। একই গ্রামের লিয়াকত আলী ও ইমরান মন্ডল বলেন, বর্গাচাষী কৃষক আমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ বর্গানিয়ে জমি চাষ করেন। এবছর ৩ একর জমিতে জিরা ধান রোপন করেছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী একজন আইনজীবি পূর্ব শত্রæতার জের ধরে রাতের আধাঁরে বিষ প্রয়োগ করে ধানগুলো নষ্ট করে দিয়েছে।

অভিযুক্ত অ্যাড. শফিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার আফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অপরাধিদের সনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার রুম্মান আক্তার বলেন, আমার বিএস মারফত জানতে পেরেছি এলুয়াড়ী ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের এক কৃষকের ধান বিষ প্রয়োগে নষ্ট করা হয়েছে। আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং কৃষি অফিস থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা যায় তা করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কীটনাশক প্রয়োগে ৩ একর জমির জিরা ধান নষ্টের অভিযোগ

ধানের সাথে শত্রুতা

আপডেট সময় ০৫:০৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

মোহাম্মদ আজগার আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কীটনাশক (বিষ) প্রয়োগে ৩ একর জমির জিরা ধান নষ্ট করেছেন অ্যাড. শফিউল ইসলামসহ ৮ জন এমন অভিযোগ এনে ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বর্গাচাষী কৃষক আমিনুল ইসলাম।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের বর্গাচাষী কৃষক মোঃ আমিনুল ইসলাম স্থানীয় আব্দুল খালেক ও খাজের পোদ্দারের নিকট হতে বছরে একর প্রতি ৯০ হাজার টাকা করে ৩ একর জমি বর্গা নিয়ে জিরা ধান রোপন করেন। কিছুদিনের মধ্যে রোপনকৃত ধান কেটে ঘরে তোলার কথা। এরই মধ্যে পূর্ব শত্রুতা জেরে স্থানীয় প্রভাবশালী অ্যাড. শফিউল ইসলাম ও তার সহযোগীরা রাতের আঁধারে গত ১৭ অক্টোবর কিটনাশক (বিষ) স্প্রে করে সম্পূর্ণ ধান মেরে ফেলেছে। এতে তার প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

সরেজমিনে সোমবার (২১ অক্টোবর) জমিতে গেলে দেখা যায়, চারিদিকে সবুজে মাঠ ভরপুর। কিন্তু তিন জায়গায় সবুজের মধ্যে পুড়ে যাওয়া ধান ক্ষেত। এ বিষয়ে জমির মালিক আব্দুল খালেক ও খাজের পোদ্দার বলেন, আমিনুল ইসলাম আমাদের দুই ভাইয়ের নিকট থেকে ৩ একর জমি বর্গানিয়ে দীর্ঘদিন থেকে চাষ করছেন। হঠাৎ করে উকিল শফিউল ইসলাম তার ধানক্ষেতে বিষ দিয়ে নষ্ট করে দিছে। এটার উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার। একই গ্রামের লিয়াকত আলী ও ইমরান মন্ডল বলেন, বর্গাচাষী কৃষক আমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ বর্গানিয়ে জমি চাষ করেন। এবছর ৩ একর জমিতে জিরা ধান রোপন করেছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী একজন আইনজীবি পূর্ব শত্রæতার জের ধরে রাতের আধাঁরে বিষ প্রয়োগ করে ধানগুলো নষ্ট করে দিয়েছে।

অভিযুক্ত অ্যাড. শফিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার আফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অপরাধিদের সনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার রুম্মান আক্তার বলেন, আমার বিএস মারফত জানতে পেরেছি এলুয়াড়ী ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের এক কৃষকের ধান বিষ প্রয়োগে নষ্ট করা হয়েছে। আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং কৃষি অফিস থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা যায় তা করা হবে।