ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মারামারি: এক শিক্ষক বরখাস্ত, অপরজনকে শোকজ Logo চীন থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া মানে বিশ্ব থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া: কিশোর মাহবুবানি Logo অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণে চীনের কৌশল: সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধে বিশ্লেষণ Logo চীনে আমদানি-রপ্তানিতে গতি, অর্থনীতিতে ইতিবাচক সংকেত Logo রিয়াদে চীন-সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কৌশলগত সংলাপ Logo ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের পরদিন, রাষ্ট্র গঠন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির পুনর্গঠনের প্রথম দিন Logo সুবিদাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ Logo মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢাকা প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo কটিয়াদীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি Logo বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জনসাধারণের জন্য ৭ টি জাহাজ উন্মুক্ত করেছে কোস্ট গার্ড

নওগাঁয় আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ; দিশেহারা কৃষক

মোঃ রায়হান, নওগাঁ

নওগাঁয় আমন ক্ষেতে পোকার ব্যাপক আক্রমণ ও রোগ বালাইয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে তিন থেকে চার দফা কীটনাশক ব্যবহার করেও লাভ হয়নি এছাড়া রয়েছে ইঁদুরের আক্রমণ।

এমন পরিস্থিতিতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা চেয়েও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।

বোরো ধানের বাম্পার ফলনের পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন নওগাঁর কৃষকেরা। কিন্তু ধান খেতে হঠাৎ করে প্রকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। কারেন্ট পোকা, মাজরা পোকাসহ বিভিন্ন পোকার সঙ্গে যোগ হয়েছে ইঁদুর।

বাজার থেকে সংগ্রহ করা কীটনাশক দিয়েও পোকার আক্রমণ ও বিভিন্ন ধরনের রোগ ঠেকাতে পারছে না কৃষকরা। শুধু তাই নয়, অনেক এলাকায় বের হওয়া ধানের শীষও কালো হয়ে গেছে।

এ পরিস্থিতি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলেও তাদের দেখাই মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

নওগাঁ সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের সালুকা গ্রামের কৃষক আত্তাব আলী জানান, কারেন্ট পোকা মাজরা পোকার আক্রমণে প্রায় তিন বিঘা জমির ধান আমার নষ্ট হয়ে গেছে কীটনাশক দেওয়ার পর পরই বৃষ্টি শুরু হয় যার কারণে কোনো সুফল পায়নি। এ ব্যাপারে আমাদের ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তার সাথে দেখা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েও তার দেখা মিলেনি। তাই বাজার থেকে কীটনাশক ক্রয় করে ব্যবহার করছি।

একই গ্রামের কিষাণী বুলবুলি বেগম বলেন, পর পর ৩ বার বিষ দেওয়া হয়েছে তাও কোনো কাজ হচ্ছে না। সব ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কী করবো আমরা ভেবে পাচ্ছি না।

হাপানিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার গৌর চন্দ্রের সাথে দেখা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের কৃষি অফিসে দুই বার মেয়েও দেখা মিলেনি এই অফিসারের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে নেই। যখন বৃষ্টির প্রয়োজন তখন বৃষ্টি হচ্ছে না আবার যখন বৃষ্টির প্রয়োজন নেই সে সময় বৃষ্টি হচ্ছে। আশ্বিন মাসের বৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দিনে গরম রাতে ঠান্ডা এই আবহাওয়া পোকামাকড় ও ইঁদুরের জন্য উপযুক্ত সে কথা মাথায় রেখে আমরা কৃষকদের সচেতন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। উঠান বৈঠক করছি, লিফলেট এর মাধ্যমে পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করছি, আলোকপাত তৈরি করা হচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মারামারি: এক শিক্ষক বরখাস্ত, অপরজনকে শোকজ

SBN

SBN

নওগাঁয় আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ; দিশেহারা কৃষক

আপডেট সময় ০৮:১৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

মোঃ রায়হান, নওগাঁ

নওগাঁয় আমন ক্ষেতে পোকার ব্যাপক আক্রমণ ও রোগ বালাইয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে তিন থেকে চার দফা কীটনাশক ব্যবহার করেও লাভ হয়নি এছাড়া রয়েছে ইঁদুরের আক্রমণ।

এমন পরিস্থিতিতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা চেয়েও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।

বোরো ধানের বাম্পার ফলনের পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন নওগাঁর কৃষকেরা। কিন্তু ধান খেতে হঠাৎ করে প্রকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। কারেন্ট পোকা, মাজরা পোকাসহ বিভিন্ন পোকার সঙ্গে যোগ হয়েছে ইঁদুর।

বাজার থেকে সংগ্রহ করা কীটনাশক দিয়েও পোকার আক্রমণ ও বিভিন্ন ধরনের রোগ ঠেকাতে পারছে না কৃষকরা। শুধু তাই নয়, অনেক এলাকায় বের হওয়া ধানের শীষও কালো হয়ে গেছে।

এ পরিস্থিতি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলেও তাদের দেখাই মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

নওগাঁ সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের সালুকা গ্রামের কৃষক আত্তাব আলী জানান, কারেন্ট পোকা মাজরা পোকার আক্রমণে প্রায় তিন বিঘা জমির ধান আমার নষ্ট হয়ে গেছে কীটনাশক দেওয়ার পর পরই বৃষ্টি শুরু হয় যার কারণে কোনো সুফল পায়নি। এ ব্যাপারে আমাদের ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তার সাথে দেখা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েও তার দেখা মিলেনি। তাই বাজার থেকে কীটনাশক ক্রয় করে ব্যবহার করছি।

একই গ্রামের কিষাণী বুলবুলি বেগম বলেন, পর পর ৩ বার বিষ দেওয়া হয়েছে তাও কোনো কাজ হচ্ছে না। সব ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কী করবো আমরা ভেবে পাচ্ছি না।

হাপানিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার গৌর চন্দ্রের সাথে দেখা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের কৃষি অফিসে দুই বার মেয়েও দেখা মিলেনি এই অফিসারের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে নেই। যখন বৃষ্টির প্রয়োজন তখন বৃষ্টি হচ্ছে না আবার যখন বৃষ্টির প্রয়োজন নেই সে সময় বৃষ্টি হচ্ছে। আশ্বিন মাসের বৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দিনে গরম রাতে ঠান্ডা এই আবহাওয়া পোকামাকড় ও ইঁদুরের জন্য উপযুক্ত সে কথা মাথায় রেখে আমরা কৃষকদের সচেতন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। উঠান বৈঠক করছি, লিফলেট এর মাধ্যমে পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করছি, আলোকপাত তৈরি করা হচ্ছে।