ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নতুন যুগে চীনের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, নিরস্ত্রীকরণ ও অপ্রসারণ’ শ্বেতপত্র উপস্থাপন Logo অস্ত্র ধ্বংসে চার দফা বিলম্ব-জবাব চাইছে বেইজিং Logo রাঙামাটিতে ক্লাব আরজিটির উদ্যোগে ডে-নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন Logo অস্ত্র ধ্বংসে চার দফা বিলম্ব-জবাব চাইছে বেইজিং Logo বরুড়াস্থ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত Logo বাঁশখালীতে অবৈধ আর্টিসনাল ট্রলিং বোট, জাল ও সামুদ্রিক মাছসহ ১ জন আটক Logo বুড়িচংয়ে অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর সহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই Logo কালীগঞ্জের জামায়াতে ইসলামীর যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo কালীগঞ্জে বাউল আবুল সরকারের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি Logo ঝিনাইদহে গৃহবধুকে মারধর করে বিবস্ত্র করার অভিযোগ

অস্ত্র ধ্বংসে চার দফা বিলম্ব-জবাব চাইছে বেইজিং

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৯:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন-সিডব্লিউসিতে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রসমূহের ৩০তম সম্মেলন ২৬ নভেম্বর নেদারল্যান্ডের হেগে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করে। চীনা প্রতিনিধিদল আবারও জাপানকে কনভেনশনের অধীনে তার বাধ্যবাধকতা ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে এবং আন্তরিকভাবে পালন করার, চীনে পরিত্যক্ত রাসায়নিক অস্ত্র মোকাবেলার প্রক্রিয়া দ্রুততর করার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চীনা জনগণের জন্য একটি পরিষ্কার পরিবেশ পুনরুদ্ধার করার ও একটি ‘রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব’ তৈরি করার তাগিদ দিয়েছে।

জাপানি প্রতিনিধি সেদিন সম্মেলনে পরিত্যক্ত রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের অবস্থা তুলে ধরার সময় অন্তর্নিহিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা এড়িয়ে গিয়ে একতরফাভাবে ধ্বংসের অগ্রগতি এবং বিনিয়োগের উপর জোর দেন। চীনা প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-মহাপরিচালক ওয়াং তা সুয়ে ঘটনাস্থলেই এটি খণ্ডন করেছেন।

ওয়াং তা সুয়ে উল্লেখ করেছেন যে, পরিত্যক্ত রাসায়নিক অস্ত্র ছিল চীনের বিরুদ্ধে আগ্রাসী যুদ্ধের সময় জাপানি সামরিক বাহিনীর সংঘটিত গুরুতর অপরাধগুলোর মধ্যে একটি, যা চীনা জনগণের অপূরণীয় এবং বিশাল ক্ষতি করেছে এবং আজও চীনা জনগণের জীবন, সম্পত্তি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। কনভেনশন অনুসারে, জাপানের ২০০৭ সালের মধ্যে পরিত্যক্ত রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস সম্পন্ন করা উচিত ছিল, কিন্তু এ পরিকল্পনা চারবার বিলম্বিত হয়েছে। সমস্যাটি হল জাপানের অপর্যাপ্ত মনোযোগ এবং বিনিয়োগ, এবং পুঁতে রাখা অস্ত্র সম্পর্কে সক্রিয়ভাবে কোনও মূল্যবান সূত্র প্রদানে ব্যর্থতা। চীনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের সময় জাপানি সামরিক বাহিনীর ঐতিহাসিক অপরাধ অস্বীকার করা যায় না, পরিত্যক্ত জাপানি রাসায়নিক অস্ত্র দ্বারা সৃষ্ট প্রকৃত হুমকি অস্বীকার করা যায় না। কনভেনশনের অধীনে জাপানের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা এড়ানো যায় না।

সূত্র:সিএমজি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন যুগে চীনের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, নিরস্ত্রীকরণ ও অপ্রসারণ’ শ্বেতপত্র উপস্থাপন

SBN

SBN

অস্ত্র ধ্বংসে চার দফা বিলম্ব-জবাব চাইছে বেইজিং

আপডেট সময় ০৯:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন-সিডব্লিউসিতে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রসমূহের ৩০তম সম্মেলন ২৬ নভেম্বর নেদারল্যান্ডের হেগে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করে। চীনা প্রতিনিধিদল আবারও জাপানকে কনভেনশনের অধীনে তার বাধ্যবাধকতা ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে এবং আন্তরিকভাবে পালন করার, চীনে পরিত্যক্ত রাসায়নিক অস্ত্র মোকাবেলার প্রক্রিয়া দ্রুততর করার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চীনা জনগণের জন্য একটি পরিষ্কার পরিবেশ পুনরুদ্ধার করার ও একটি ‘রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব’ তৈরি করার তাগিদ দিয়েছে।

জাপানি প্রতিনিধি সেদিন সম্মেলনে পরিত্যক্ত রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের অবস্থা তুলে ধরার সময় অন্তর্নিহিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা এড়িয়ে গিয়ে একতরফাভাবে ধ্বংসের অগ্রগতি এবং বিনিয়োগের উপর জোর দেন। চীনা প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-মহাপরিচালক ওয়াং তা সুয়ে ঘটনাস্থলেই এটি খণ্ডন করেছেন।

ওয়াং তা সুয়ে উল্লেখ করেছেন যে, পরিত্যক্ত রাসায়নিক অস্ত্র ছিল চীনের বিরুদ্ধে আগ্রাসী যুদ্ধের সময় জাপানি সামরিক বাহিনীর সংঘটিত গুরুতর অপরাধগুলোর মধ্যে একটি, যা চীনা জনগণের অপূরণীয় এবং বিশাল ক্ষতি করেছে এবং আজও চীনা জনগণের জীবন, সম্পত্তি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। কনভেনশন অনুসারে, জাপানের ২০০৭ সালের মধ্যে পরিত্যক্ত রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস সম্পন্ন করা উচিত ছিল, কিন্তু এ পরিকল্পনা চারবার বিলম্বিত হয়েছে। সমস্যাটি হল জাপানের অপর্যাপ্ত মনোযোগ এবং বিনিয়োগ, এবং পুঁতে রাখা অস্ত্র সম্পর্কে সক্রিয়ভাবে কোনও মূল্যবান সূত্র প্রদানে ব্যর্থতা। চীনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের সময় জাপানি সামরিক বাহিনীর ঐতিহাসিক অপরাধ অস্বীকার করা যায় না, পরিত্যক্ত জাপানি রাসায়নিক অস্ত্র দ্বারা সৃষ্ট প্রকৃত হুমকি অস্বীকার করা যায় না। কনভেনশনের অধীনে জাপানের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা এড়ানো যায় না।

সূত্র:সিএমজি।