ঢাকার নবাবগঞ্জে জমিতে গাছের পাতা ঝরে পড়ে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, নবাবগঞ্জ থানার হাইতকান্দা গ্রামের কৃষিজীবী মোশারফ হোসেন দলুর একটি ফসলি জমিতে অন্য দুই ব্যক্তির তাল ও মেহগনি গাছের পাতা ঝরে পড়ে কয়েক বছর যাবত প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করছে মর্মে অভিযোগ থাকলেও সমাধানের বিষয়ে এলাকার মাতবর ও প্রতিনিধি সহ দলু শুধুই মিথ্যে আশ্বাসে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। হচ্ছে না কোন সামাজিক বিচার মীমাংসা বা বিকল্প ব্যবস্থা!
দলু জানায়, আমার কৃষি জমি রয়েছে আওনা মৌজায়। কয়েক বছর ধরেই রহিম উদ্দিন ও আইয়ুব আলী গাছের পাতা ও ডালপালা ঝরে পরে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি করছে। দলু নিজে এবং বিভিন্ন লোক মারফত বহুবার তাদেরকে জানালেও এর কোনো সমাধান হননি। গাছের মালিকগণ গাছ কেটে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাসে ধূর্ততার সাথে এড়িয়ে গিয়ে কাল ক্ষেপণ করছেন।
প্রায় মাসখানেক আগেও এলাকার মেম্বার মাতব্বরদের কাছে দলু অভিযোগ করেন। তখন স্থানীয় রাজা মেম্বার, মুকুমিয়া ও সিদ্দিক প্রমুখ কথা বলার জন্য প্রতিনিধি হিসেবে মজনু, মোখলেস ও শামসুল কে উক্ত গাছগুলোর মালিক রহিমউদ্দিন ও আয়ুব আলীর নিকট পাঠান। তখন গাছের মালিকগণ শীঘ্রই গাছ কেটে ফেলার আশ্বাসে তাৎক্ষণিক সকলকে বিদায় করলেও কিছু দিন পরই তারা বলতে থাকে গাছ কাটা যাবে না। দলু যদি বলে গাছ তার জমিতে গেছে তাহলে সে যেন জমি মেপে গাছ বুঝে নিয়ে যায়।
এমন সাংঘর্ষিক বক্তব্য ও অপকৌশল দ্বারা এই রহিম উদ্দিন ও আয়ুব এলাকার মাতবর ও প্রতিনিধিদের অবমাননা করে একদিকে যেমন অসহায় ও নিরুপায় দলুর হয়রানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়ে চলেছে আরেকদিকে তেমনি এমন উদ্ভট আচরণ সত্ত্বেও স্থানীয় মাতব্বর ও প্রতিনিধিদের রহস্যজনক নীরবতা ও বিচারহীনতার জনগণের মনে ভাবনার সঞ্চার করেছে।
অভিযোগের সূত্র ধরে উক্ত এলাকায় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীগণ সরেজমিনে গিয়ে দেখেন দলুর ফসলি জমিতে উক্ত মেহগনি গাছ প্রায় চার হাত ঝুঁকে আছে এবং বাতাসে পাতা ঝরে দোলুর ফসলের উপর পড়ছে। দলু জানান,আমার অভিযোগের গুরুত্ব দেয়া তো দূরের কথা মাতব্বরদের বারবার কথা দিয়েও কথা রাখেনি এই গাছের মালিকরা। যতবারই মাতব্বররা লোক পাঠিয়েছেন ততবারই মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে। এমন অপমান সত্ত্বেও গাছের মালিকদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিষয়টি আসলেই রহস্যজনক।
এলাকার মাতবর মুকু মিয়া জানান, তিনি গাছের মালিকদের কাছে লোক পাঠালে তারা গাছ কাটার সিদ্ধান্ত দিয়েও কাটেনি। প্রেরিত এক প্রতিনিধি মোকলেস বলেন, তাদের গাছের কিছু ডালপালা কাটার কথা থাকলেও তারা কথা রাখেনি। আমি আবারও খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।
স্থানীয় শোল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার রাজা মিয়া জানান,জমির সীমানা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। জমির পরিমাপে যদি দেখা যায় দলুর জমিতে গাছ বেঁকে প্রবেশ করেছে তবে অবশ্যই কাটার ব্যবস্থা করতে হবে।