শাহীন আলম আশিক
বোদায় নরপশুর লাগাতার ধর্ষণের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটি জানায়,
প্রায় ছয়মাস পূর্বে,পাশের বাড়ির ফুফু (পারুল) ডেকে নিয়ে তাদের ঘরে বসতে বলে। পূর্ব থেকে ঘরে অবস্থান করছিল, ধর্ষক রহমান। শিশুটি ঘরে ঢুকলে ধর্ষক রহমান দরজা আটকে দিয়ে ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে লাগাতার ধর্ষণের শিকার শিশু মেয়েটি অন্তস্বত্বা হলপ ধর্ষকের সহযোগী পারুল বেগম, শিশু মেয়েটি কে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যায়।
মেডিকেল পরিক্ষা করে ডাক্তার শিশু মেয়েটির গর্ভে সন্তান আছে বলে জানান। পরে গর্ভের সন্তানের হত্যা করতে পারুল বেগম ধর্ষিত মেয়েটি কে ঔষধ খাইয়ে দেয়। এবং সকল বিষয় গোপন রাখতে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
ঔষধ সেবনে ও অসময়ে গর্ভপাত হওয়ায় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পরলে পরিবারের সদস্যদের কাছে ধর্ষণের শিকার শিশু মেয়েটি সবকিছু খুলে বলে।
ধর্ষক রহমান এর বাড়ি খোঁজ করতে গেলে ধর্ষকের সহযোগী পারুল বেগম, জানান ধর্ষক রহমান বাড়িতে নাই। ধর্ষিতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবেশী সোলেমান আমাকে ৫০০/ টাকা দিয়ে শিশুটিকে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যেতে বলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ধর্ষক রহমান বিগত দিনে, (বর্তমান ২য় স্ত্রী)
প্রতিবেশী নাবালক বানু নামের শিশু কে, একইভাবে লাগাতার ধর্ষণ করতে থাকলে,
শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হইলে পরিবার ও প্রতিবেশীদের নজরে আসলে।
শিশুটির ভবিষ্যত বিবেচনায় গ্রামের মুরব্বিরা আপস মিমাংসা করে ধর্ষক রহমান এর সাথে বিয়ে দেয়।
গ্রামের সকল মানুষের এমন নির্মম নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ডের হোতা ধর্ষক রহমান এর দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।