ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণ মামলা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার বিরুদ্ধে চারটি চুরির মামলা Logo স্বতন্ত্র প্যানেলের জিতু জাকসুর ভিপি, জিএস ছাত্রশিবিরের মাজহারুল Logo সুনামগঞ্জের সড়কে প্রাণ গেল ডিসি অফিসের ২ কর্মীর Logo শেরপুরে বিদেশী মদসহ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতার Logo লালমনিরহাটে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি Logo ভালুকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত কমপক্ষে ১০ Logo ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ঝটিকা মিছিল Logo রূপসায় আবু বক্কার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত Logo ব্রাহ্মণপাড়া ফ্রেন্ডস ক্লাবের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo চান্দিনায় পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত

নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণ মামলা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার বিরুদ্ধে চারটি চুরির মামলা

মোঃ বেলায়েত হোসেন, শেরপুর

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণ মামলা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার বিরুদ্ধে একযোগে চারটি চুরির মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের কয়রাকুড়ি গ্রামে।

আদালতে দায়ের করা মামলার সূত্রে জানা যায়, কয়রাকুড়ি গ্রামের মৃত ওয়াজেদ মাস্টারের ছেলে মো. আরিফ হোসেন (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী দুই সন্তানের জননী লাকী আক্তারের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। অভিযোগ অনুযায়ী, আরিফ বিভিন্ন অজুহাতে ওই নারীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।

প্রায় এক মাস আগে লাকীর সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আরিফ। রাজি না হওয়ায় মানসম্মান নষ্ট করার হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে দুই ধাপে এক লাখ টাকা আদায় করেন। এরপর চলতি বছরের ২১ আগস্ট রাত সাড়ে বারোটার দিকে আরিফ লাকীর ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় লাকীর স্বামী টের পেয়ে হাতেনাতে ধরলেও আরিফ পালিয়ে যায় এবং তার পায়ের স্যান্ডেল ফেলে রেখে যায়।

এ ঘটনায় পরদিন ভুক্তভোগী নালিতাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিল্লাল হোসেন কোনো ব্যবস্থা নেননি। ফলে ভুক্তভোগী ৭ সেপ্টেম্বর শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা (মোকদ্দমা নম্বর-২৩৫/২৫) দায়ের করতে বাধ্য হন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই জামালপুরকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এদিকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আরিফ তার স্ত্রী উম্মে হানী, আত্মীয় সুমি বেগম, জোস্না আক্তার ও নাছিমা বেগমকে পৃথক বাদী বানিয়ে লাকীর বিরুদ্ধে নালিতাবাড়ী থানায় চারটি চুরির মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে আরিফ জানান, “আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার করলে আমিও চুরির মামলা প্রত্যাহার করে নেবো।”

অন্যদিকে ভুক্তভোগী লাকী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “ধর্ষণের মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমার বিরুদ্ধে সাজানো চুরির মামলা দেয়া হয়েছে। আরিফ ও তার পরিবার আমাকে মামলা তুলে নিতে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই।”

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণ মামলা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার বিরুদ্ধে চারটি চুরির মামলা

SBN

SBN

নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণ মামলা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার বিরুদ্ধে চারটি চুরির মামলা

আপডেট সময় ০৭:৫০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোঃ বেলায়েত হোসেন, শেরপুর

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণ মামলা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার বিরুদ্ধে একযোগে চারটি চুরির মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের কয়রাকুড়ি গ্রামে।

আদালতে দায়ের করা মামলার সূত্রে জানা যায়, কয়রাকুড়ি গ্রামের মৃত ওয়াজেদ মাস্টারের ছেলে মো. আরিফ হোসেন (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী দুই সন্তানের জননী লাকী আক্তারের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। অভিযোগ অনুযায়ী, আরিফ বিভিন্ন অজুহাতে ওই নারীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।

প্রায় এক মাস আগে লাকীর সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আরিফ। রাজি না হওয়ায় মানসম্মান নষ্ট করার হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে দুই ধাপে এক লাখ টাকা আদায় করেন। এরপর চলতি বছরের ২১ আগস্ট রাত সাড়ে বারোটার দিকে আরিফ লাকীর ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় লাকীর স্বামী টের পেয়ে হাতেনাতে ধরলেও আরিফ পালিয়ে যায় এবং তার পায়ের স্যান্ডেল ফেলে রেখে যায়।

এ ঘটনায় পরদিন ভুক্তভোগী নালিতাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিল্লাল হোসেন কোনো ব্যবস্থা নেননি। ফলে ভুক্তভোগী ৭ সেপ্টেম্বর শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা (মোকদ্দমা নম্বর-২৩৫/২৫) দায়ের করতে বাধ্য হন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই জামালপুরকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এদিকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আরিফ তার স্ত্রী উম্মে হানী, আত্মীয় সুমি বেগম, জোস্না আক্তার ও নাছিমা বেগমকে পৃথক বাদী বানিয়ে লাকীর বিরুদ্ধে নালিতাবাড়ী থানায় চারটি চুরির মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে আরিফ জানান, “আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার করলে আমিও চুরির মামলা প্রত্যাহার করে নেবো।”

অন্যদিকে ভুক্তভোগী লাকী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “ধর্ষণের মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমার বিরুদ্ধে সাজানো চুরির মামলা দেয়া হয়েছে। আরিফ ও তার পরিবার আমাকে মামলা তুলে নিতে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই।”