ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ‎বরুড়া পৌর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অবশিষ্ট টিন নিয়ে গেলো শিক্ষা অফিস Logo নীলফামারীতে শীতবস্ত্র ও রুম হিটার বিতরণ Logo কালীগঞ্জে বিএনপি সহ তিন দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ Logo সুনামগঞ্জে বিপুল পরিমান ভারতীয় জিরা এবং ফুসকা জব্দ Logo ওসমান হাদীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় ডিমলায় জামায়াত ইসলামীর দোয়া অনুষ্ঠান Logo খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার ১৫২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প Logo চীনের অর্থনীতিতে পরিষেবা খাতের জয়যাত্রা Logo হাইনান বন্দর বিশ্ব বাণিজ্যকে এগিয়ে নেবে Logo সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত Logo পাকুন্দিয়ায় গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী পলাতক

নিরাপত্তার চাদরে কুমিল্লা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

এ জে সোহেল, স্টাফ রিপোর্টার

আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে বিস্তৃত করা হয়েছে কুমিল্লাকে। এই জেলায় ১৭ উপজেলা, ১৮ থানা মিলে ১১টি সংসদীয় আসন নিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম এর মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। ১১ আসনের ৯৩জন প্রার্থী এবার ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভোটারদের ভোট নির্বিঘ্ন করতে এই জেলাকে একরকম নিরাপত্তার চাদরের ঢেকে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সূত্রে জানা গেছে, ১১ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪৬ লাখ ছয় হাজার ১৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ লাখ ৬৪ হাজার ২৬৪ জন, নারী ভোটার ২২ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২৪ জন। এই জেলায় সিটি করপোরেশন ১টি, পৌরসভা ৮টি ও ইউনিয়ন ১৯৩টি। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৪৩৫টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৮৮টি। অস্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪১২টি।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, এ জেলার ১১ টি আসনের ৫০০টি সাধারণ, ৫৬৪টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩৭১ টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নজরে রেখেছে জেলা পুলিশ।

এসব কেন্দ্রে এক হাজার ৪৩৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ৯ হাজার ৩০০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ১৮ হাজার ৬০০ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৩২ প্লাটুনে ৬৮২ জন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। র‍্যাব ১৮০ জন ও অতিরিক্ত ৫০ জন মোতায়েন করা হবে। রেললাইনসহ মোট ১৭ হাজার ৫৪০ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৪ হাজারের বেশি পুলিশ মাঠে কাজ করছে। ১০৫টি পেট্রোলিং টিম জেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে টহলে থাকবে ।

এ ছাড়া গত ৩ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লাতেও সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে ২৮ জন এক্সিকিউটিভ ও অতিরিক্ত ২৭ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২৫ জন।

কুমিল্লার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, শুক্রবার থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জামসহ কেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে এছাড়া ধাপ অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পাঠানো হবে ভোটের দিন সকালে।

এ ছাড়া কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, পুলিশ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় কুমিল্লাকে। সাধারণ পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা টিমও থাকবে। মোবাইল ডিউটি, কেন্দ্রভিত্তিক ডিউটি, ডিবি-ডিএসবির ৩০০ এর বেশি গোয়েন্দা, পেট্রোল টিম, স্ট্যান্ডবাই ডিউটিতে পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।

জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু মুশফিকুর রহমান বলেন, যখনই কোনও প্রার্থী বা সাধারন জনগন অভিযোগ করেছেন আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মাঠে পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা কাজ করছে যাচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎বরুড়া পৌর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অবশিষ্ট টিন নিয়ে গেলো শিক্ষা অফিস

SBN

SBN

নিরাপত্তার চাদরে কুমিল্লা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আপডেট সময় ০২:৫৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

এ জে সোহেল, স্টাফ রিপোর্টার

আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে বিস্তৃত করা হয়েছে কুমিল্লাকে। এই জেলায় ১৭ উপজেলা, ১৮ থানা মিলে ১১টি সংসদীয় আসন নিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম এর মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। ১১ আসনের ৯৩জন প্রার্থী এবার ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভোটারদের ভোট নির্বিঘ্ন করতে এই জেলাকে একরকম নিরাপত্তার চাদরের ঢেকে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সূত্রে জানা গেছে, ১১ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪৬ লাখ ছয় হাজার ১৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ লাখ ৬৪ হাজার ২৬৪ জন, নারী ভোটার ২২ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২৪ জন। এই জেলায় সিটি করপোরেশন ১টি, পৌরসভা ৮টি ও ইউনিয়ন ১৯৩টি। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৪৩৫টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৮৮টি। অস্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪১২টি।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, এ জেলার ১১ টি আসনের ৫০০টি সাধারণ, ৫৬৪টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩৭১ টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নজরে রেখেছে জেলা পুলিশ।

এসব কেন্দ্রে এক হাজার ৪৩৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ৯ হাজার ৩০০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ১৮ হাজার ৬০০ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৩২ প্লাটুনে ৬৮২ জন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। র‍্যাব ১৮০ জন ও অতিরিক্ত ৫০ জন মোতায়েন করা হবে। রেললাইনসহ মোট ১৭ হাজার ৫৪০ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৪ হাজারের বেশি পুলিশ মাঠে কাজ করছে। ১০৫টি পেট্রোলিং টিম জেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে টহলে থাকবে ।

এ ছাড়া গত ৩ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লাতেও সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে ২৮ জন এক্সিকিউটিভ ও অতিরিক্ত ২৭ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২৫ জন।

কুমিল্লার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, শুক্রবার থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জামসহ কেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে এছাড়া ধাপ অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পাঠানো হবে ভোটের দিন সকালে।

এ ছাড়া কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, পুলিশ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় কুমিল্লাকে। সাধারণ পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা টিমও থাকবে। মোবাইল ডিউটি, কেন্দ্রভিত্তিক ডিউটি, ডিবি-ডিএসবির ৩০০ এর বেশি গোয়েন্দা, পেট্রোল টিম, স্ট্যান্ডবাই ডিউটিতে পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।

জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু মুশফিকুর রহমান বলেন, যখনই কোনও প্রার্থী বা সাধারন জনগন অভিযোগ করেছেন আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মাঠে পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা কাজ করছে যাচ্ছে।