অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গোপসাগর’সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে অবৈধভাবে প্রবেশ করে একটি চক্র পারশে মাছের পোনা নিধন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ চক্রের ১০ জন জেলেকে এরই মধ্যে আটক করেছে বন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ভোর রাতে মোংলা পশুর নদী সংলগ্ন বগুড়া খাল এলাকায় বন বিভাগের দুটি ক্যাম্পের বনরক্ষীরা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার পারশে মাছের পোনা জব্দ করা হয়।
আটকৃত জেলেরা হলেন- ইউসুফ শেখ (৪৩), হাফিজ গাইন (৪৫), কামাল সানা (৪২), হালিম শেখ (৪০), শামিম শেখ (২৭), আজিজ গাজী (৩৮), জামাল শেখ (৪৫), হাবিবুর গাজী (৬৫), পিন্টু সানা (৪০) ও হাবিবুর রহমান সানা (৫০)। তাদের সবার বাড়ি খুলনা জেলার দাকোপ থানার বিভিন্ন এলাকায়।
পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী ফরেস্ট ক্যাম্পের ষ্টেশন অফিসার (এসও) সুরজিৎ চৌধুরী এ সকল তথ্য নিশ্চিত করেন।
পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী ফরেস্ট ক্যাম্পের ষ্টেশন অফিসার (এসও) সুরজিৎ চৌধুরী বলেন, একটি পারশে মাছের পোনা আহরণের বিপরীতে কমপক্ষে ১১৯ প্রজাতির চিংড়ি, ৩১২ প্রাণী কণা ও ৩১টি অন্য প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস হয়। পারশের পোনা নিধনে জেলেরা নিষিদ্ধ মনোফিলামেন্ট বা মশারি জাল ব্যবহার করায় শতাধিক প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের পোনা নষ্ট হচ্ছে। এতে সুন্দরবন এলাকায় আশঙ্কাজনকহারে মাছের উৎপাদন কমছে।
এজন্য শুধু পারশে মাছ নয় সব মাছের রেনু পোনা ধরা বা শিকার সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে একদল অসাধু জেলে পারশে মাছের পোনা শিকার করে পশুর নদী হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। গোপনে এ সংবাদ পেয়ে গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে পশুর নদী সংলগ্ন বগুড়া খাল এলাকা থেকে ১০ জেলেকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন,আটককৃত ১০ জেলেকে সিওআর (কম্পাউন্ড অফেন্স রিপোর্ট) মামলা বা অর্থদণ্ড করে ছেড়ে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কোথাও পারশে পোনা ধরার অনুমতি দেয়া হয় না। কেউ আইন অমান্য করে বেআইনিভাবে মাছের পোনা শিকার করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।