ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সরাইলে বিএনপির দুই গ্রুপের সমর্থকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: আহত ৩০ Logo শাহরাস্তিতে ওলামালীগ নেতা মাদরাসা কমিটির সভাপতি, ৩ সদস্যের পদত্যাগ Logo ব্যালট পেপার ছাপানো’র ঘোষণা দেওয়া সেই যুবদল নেতা বহিষ্কার Logo কটিয়াদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা Logo খুলনা চাঞ্চল্যকর টগর হত্যার প্রধান আসামী গ্রেফতার Logo ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে আর কোনো বাধা মেই Logo ঝিনাইগাতীতে দিঘীরপাড় ফাযিল মাদরাসায় সরকারি বই বিক্রির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ Logo সি-পুতিন নেতৃত্বে রাশিয়া-চীন সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে Logo থিয়েনচিন সম্মেলন গ্লোবাল সাউথকে সুসংহত করেছে:কিউবা Logo থিয়েনচিনে উদ্বোধন চীন-এসসিও সবুজ শিল্প প্ল্যাটফর্ম

পবায় এলাকাবাসীর তোপের মুখে বন্ধ হলো পুকুরখনন

মোঃ বিশাল উদ্দিন:
রাজশাহীর পবা উপজেলায় উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তিন ফসলি জমিতে আবারও শুরু হয়েছে পুকুর খনন। নির্বিচারে কৃষি জমিতে পুকুর খননের ফলে নষ্ট হচ্ছে তিন ফসলি জমি। এছাড়াও পুকুরখনন কাজে ব্যবহৃত মাটি বোঝাই অবৈধ ট্রাক্টর গ্রামীণ পাকা রাস্তার বারোটা বাজাচ্ছে। আবার উপজেলা প্রশাসন থেকে দিনে অভিযান চালিয়ে যে পুকুর খনন বন্ধ করা হচ্ছে, রাতেই আবার সেই পুকুর খনন করা হচ্ছে। এই অঞ্চলের বিভিন্ন গ্ৰামে প্রশাসন-পুলিশের সহযোগিতায় এলাকাবাসীর তোপের মুখে বন্ধ হচ্ছে পুকুরখনন। এই ঘটনা ঘটেছে বড়গাছী ইউনিয়নের সবসার গ্রামে।
পবা উপজেলার বড়গাছী ইউনিয়নের সবসার মৌজায় আনুমানিক ৩০ বিঘা তিন ফসলি কৃষি জমি রয়েছে। এই কৃষি জমির মালিকদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোরপূর্বক পুকুর খননের জন্য একটি এস্কেভেটর (মাটি খননকারি মেশিন) নামানো হয়েছিল। খনন করা পুকুরের পাড়ে উঁচু বাধ দেয়ায় আশেপাশের কৃষিজমিতে সৃষ্টি হবে জলাবদ্ধতা। ফলে অনাবাদি হয়ে পড়বে এই অঞ্চলের আবাদি জমি। এই আশঙ্কায় নিজেদের তিন ফসলি জমি রক্ষার জন্য বড়গাছী ইউনিয়নের সবসার, সূর্যপুর ও বেতকুড়ি গ্রামের এলাকাবাসীরা যৌথভাবে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসিল্যান্ড ও পবা থানা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এর ফলে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে পুকুর খনন বন্ধ করা হয়েছে।
এবিষয়ে অভিযোগকারী এলাকাবাসী জানান, বড়গাছী ইউনিয়নের সবসার ও বেতকুড়ি এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নওদাপাড়া আমচত্ত্বর এলাকার আয়নাল হকের ছেলে মো. মিজানুর রহমান রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে পুকুরখনন শুরু করেন। এই মিজান পুকুর খননকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। তিনি বাইরের পার্টির সঙ্গে মধ্যস্থতা করে এই এলাকায় পুকুর খনন করাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পবা উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ করা হয়।
গভীর রাতে মিজান এই জমিতে পুকুরখনন করলে এলাকাবাসী বিষয়টি উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) ইউএনও জাহিদ হাসানকে ফোন করে জানান। এতে তিনি রাতেই পবা থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেন। তৎক্ষনাত পবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুকুরখনন কাজ বন্ধ করে দেন এবং খনন যন্ত্র তুলে নেয়ার মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
পবা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ হাসান বলেন, পুকুর খননের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই অভিযান চালানো হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে সবসার ও বেতকুড়ি এলাকাবাসীর অভিযোগের ফলে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করা হয়েছে। আমি যোগদানের পর উপজেলায় অন্তত ৩০-৩৫টি অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়াও ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছে। তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে অভিযানের পাশাপাশি অবশ্যই সামাজিক সচেতনতা জরুরি।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরাইলে বিএনপির দুই গ্রুপের সমর্থকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: আহত ৩০

SBN

SBN

পবায় এলাকাবাসীর তোপের মুখে বন্ধ হলো পুকুরখনন

আপডেট সময় ০২:৪০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
মোঃ বিশাল উদ্দিন:
রাজশাহীর পবা উপজেলায় উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তিন ফসলি জমিতে আবারও শুরু হয়েছে পুকুর খনন। নির্বিচারে কৃষি জমিতে পুকুর খননের ফলে নষ্ট হচ্ছে তিন ফসলি জমি। এছাড়াও পুকুরখনন কাজে ব্যবহৃত মাটি বোঝাই অবৈধ ট্রাক্টর গ্রামীণ পাকা রাস্তার বারোটা বাজাচ্ছে। আবার উপজেলা প্রশাসন থেকে দিনে অভিযান চালিয়ে যে পুকুর খনন বন্ধ করা হচ্ছে, রাতেই আবার সেই পুকুর খনন করা হচ্ছে। এই অঞ্চলের বিভিন্ন গ্ৰামে প্রশাসন-পুলিশের সহযোগিতায় এলাকাবাসীর তোপের মুখে বন্ধ হচ্ছে পুকুরখনন। এই ঘটনা ঘটেছে বড়গাছী ইউনিয়নের সবসার গ্রামে।
পবা উপজেলার বড়গাছী ইউনিয়নের সবসার মৌজায় আনুমানিক ৩০ বিঘা তিন ফসলি কৃষি জমি রয়েছে। এই কৃষি জমির মালিকদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোরপূর্বক পুকুর খননের জন্য একটি এস্কেভেটর (মাটি খননকারি মেশিন) নামানো হয়েছিল। খনন করা পুকুরের পাড়ে উঁচু বাধ দেয়ায় আশেপাশের কৃষিজমিতে সৃষ্টি হবে জলাবদ্ধতা। ফলে অনাবাদি হয়ে পড়বে এই অঞ্চলের আবাদি জমি। এই আশঙ্কায় নিজেদের তিন ফসলি জমি রক্ষার জন্য বড়গাছী ইউনিয়নের সবসার, সূর্যপুর ও বেতকুড়ি গ্রামের এলাকাবাসীরা যৌথভাবে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসিল্যান্ড ও পবা থানা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এর ফলে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে পুকুর খনন বন্ধ করা হয়েছে।
এবিষয়ে অভিযোগকারী এলাকাবাসী জানান, বড়গাছী ইউনিয়নের সবসার ও বেতকুড়ি এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নওদাপাড়া আমচত্ত্বর এলাকার আয়নাল হকের ছেলে মো. মিজানুর রহমান রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে পুকুরখনন শুরু করেন। এই মিজান পুকুর খননকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। তিনি বাইরের পার্টির সঙ্গে মধ্যস্থতা করে এই এলাকায় পুকুর খনন করাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পবা উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ করা হয়।
গভীর রাতে মিজান এই জমিতে পুকুরখনন করলে এলাকাবাসী বিষয়টি উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) ইউএনও জাহিদ হাসানকে ফোন করে জানান। এতে তিনি রাতেই পবা থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেন। তৎক্ষনাত পবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুকুরখনন কাজ বন্ধ করে দেন এবং খনন যন্ত্র তুলে নেয়ার মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
পবা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ হাসান বলেন, পুকুর খননের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই অভিযান চালানো হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে সবসার ও বেতকুড়ি এলাকাবাসীর অভিযোগের ফলে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করা হয়েছে। আমি যোগদানের পর উপজেলায় অন্তত ৩০-৩৫টি অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়াও ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছে। তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে অভিযানের পাশাপাশি অবশ্যই সামাজিক সচেতনতা জরুরি।