ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ Logo অবৈধ ড্রেজারে ধ্বংসের মুখে বারেশ্বর বিলের তিন ফসলি জমি Logo কালীগঞ্জে ভাটা উচ্ছেদে এসে শ্রমিকদের বাধায় ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিপ্তর Logo সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ৫১ শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ন Logo ১৬ই ডিসেম্বর: মুক্তির লড়াই, গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা Logo চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি Logo বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে চীন Logo ইউনিট ৭৩১: সংগঠিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের অকাট্য প্রমাণ Logo আবুধাবিতে ওয়াং ই–শেখ আবদুল্লাহ বৈঠক Logo ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে—রণাঙ্গনে চূড়ান্ত আঘাতের দিন

পরিবারহীন শিশুদের পাশে মানবতার ছোঁয়া—স্টেশনে খাবার নিয়ে হোপ অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

দৈনন্দিন জীবনের কোলাহল যখন কমলাপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মজুড়ে নীরব ক্লান্তি হয়ে বসে থাকে, ঠিক তখনই হাসি ফুটে উঠে কিছু ক্ষুধার্ত মুখে। আর সেই হাসির পেছনে রয়েছে একদল মানুষের নীরব সংগ্রাম—যারা বিশ্বাস করেন, মানুষের জন্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মানবতার সবচেয়ে বড় ইবাদত।

সেই বিশ্বাস থেকেই সুবিধাবঞ্চিত ও পরিবারহীন শিশুদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন হোপ অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ। যারা প্রতিদিন রাস্তায় রাত কাটায়, যাদের পাশে নেই বাবা-মায়ের স্নেহ, নেই জীবনের নিরাপত্তা—ঠিক সেই শিশুদের জন্য অল্প খাবার টুকু যেন হয়ে উঠে আশ্রয়ের অনুভূতি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের সভাপতি মো: কামরুল হাসান মেহেদি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফাহমিদা সুলতানা লিমা, সাধারণ সম্পাদক হান্নান হোসেন নিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমা আফরিন নদী, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব আহামেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ মাহাতাব, সংগঠনের সদস্য মাহবুব সহ অন্যান্য কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা।

সহযোগিতায় ছিলেন স্টেশনের স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান মেহেদী তার বক্তব্য বলেন –

“আজ যাদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি—ওরাই আমাদের শক্তি। তারা হাসলে আমাদের পথচলা সফল। মানুষ হয়ে যদি মানুষের দুঃখ না বুঝি, তাহলে বেঁচে থাকার এই লড়াইয়ের মানে কী? আমরা চাই—এই স্টেশনের শিশুরা একদিন নিজেরাও অন্যের পাশে দাঁড়াক। দোয়া করবেন, যেন হোপ অ্যালায়েন্স দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয় আরও বড় দায়িত্ব নিয়ে।”

স্টেশনের ছোট্ট শিশুদের চোখের আনন্দ যেন সেই মুহূর্তে সব ব্যথা ভুলিয়ে দিয়েছিল। ক্ষুধা নিবারণের সেই খাবারে ছিল “ভালোবাসা” নামের এক অদৃশ্য উপাদান—যা তাদের হৃদয়ে ছুঁয়ে গেছে নিঃশব্দে।

স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিগন বলেন— হোপ অ্যালায়েন্সের এই উদ্যোগ রেলস্টেশনের বাস্তবতাকে বদলে দিতে পারে। আমরা চাই, তারা আরও এগিয়ে যাক।”

হোপ অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ বিশ্বাস করে—
একটি খাবারও একটি জীবন বদলে দিতে পারে।
ঠিক সেই স্বপ্ন নিয়ে সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে
এই সংগঠন এগিয়ে চলছে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা নিয়ে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ

SBN

SBN

পরিবারহীন শিশুদের পাশে মানবতার ছোঁয়া—স্টেশনে খাবার নিয়ে হোপ অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১১:১২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

দৈনন্দিন জীবনের কোলাহল যখন কমলাপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মজুড়ে নীরব ক্লান্তি হয়ে বসে থাকে, ঠিক তখনই হাসি ফুটে উঠে কিছু ক্ষুধার্ত মুখে। আর সেই হাসির পেছনে রয়েছে একদল মানুষের নীরব সংগ্রাম—যারা বিশ্বাস করেন, মানুষের জন্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মানবতার সবচেয়ে বড় ইবাদত।

সেই বিশ্বাস থেকেই সুবিধাবঞ্চিত ও পরিবারহীন শিশুদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন হোপ অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ। যারা প্রতিদিন রাস্তায় রাত কাটায়, যাদের পাশে নেই বাবা-মায়ের স্নেহ, নেই জীবনের নিরাপত্তা—ঠিক সেই শিশুদের জন্য অল্প খাবার টুকু যেন হয়ে উঠে আশ্রয়ের অনুভূতি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের সভাপতি মো: কামরুল হাসান মেহেদি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফাহমিদা সুলতানা লিমা, সাধারণ সম্পাদক হান্নান হোসেন নিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমা আফরিন নদী, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব আহামেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ মাহাতাব, সংগঠনের সদস্য মাহবুব সহ অন্যান্য কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা।

সহযোগিতায় ছিলেন স্টেশনের স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান মেহেদী তার বক্তব্য বলেন –

“আজ যাদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি—ওরাই আমাদের শক্তি। তারা হাসলে আমাদের পথচলা সফল। মানুষ হয়ে যদি মানুষের দুঃখ না বুঝি, তাহলে বেঁচে থাকার এই লড়াইয়ের মানে কী? আমরা চাই—এই স্টেশনের শিশুরা একদিন নিজেরাও অন্যের পাশে দাঁড়াক। দোয়া করবেন, যেন হোপ অ্যালায়েন্স দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয় আরও বড় দায়িত্ব নিয়ে।”

স্টেশনের ছোট্ট শিশুদের চোখের আনন্দ যেন সেই মুহূর্তে সব ব্যথা ভুলিয়ে দিয়েছিল। ক্ষুধা নিবারণের সেই খাবারে ছিল “ভালোবাসা” নামের এক অদৃশ্য উপাদান—যা তাদের হৃদয়ে ছুঁয়ে গেছে নিঃশব্দে।

স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিগন বলেন— হোপ অ্যালায়েন্সের এই উদ্যোগ রেলস্টেশনের বাস্তবতাকে বদলে দিতে পারে। আমরা চাই, তারা আরও এগিয়ে যাক।”

হোপ অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ বিশ্বাস করে—
একটি খাবারও একটি জীবন বদলে দিতে পারে।
ঠিক সেই স্বপ্ন নিয়ে সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে
এই সংগঠন এগিয়ে চলছে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা নিয়ে।