ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বহুরূপী দুর্নীতিবাজ বিআইডব্লিউটিএর সহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ’র দুর্নীতি রুখবে কে? Logo সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের শ্রদ্ধা Logo বালিয়াডাঙ্গীতে পিকআপ ড্রাইভারের সহযোগিতায় ৩ ডাকাত আটক Logo কোটা সংস্কার আন্দোলন ও জুলাই বিপ্লবের চেতনাধারীদের সমন্বয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি Logo কালীগঞ্জে ইয়াবা ও গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo পবায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত Logo কটিয়াদী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন Logo লাকসামে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo ভাষা শহীদদের প্রতি রাজশাহী ডিআইজি শ্রদ্ধা Logo পাবনা জেলা পুনাক কর্তৃক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি

পরীক্ষামূলক জিরা চাষে সফল পবার কৃষক রফিকুল

মোঃ বিশাল উদ্দিন, পবা (রাজশাহী)

রাজশাহীর পবা উপজেলায় পরীক্ষামূলক জিরার চাষ করা হয়েছে। মসলাজাতীয় প্রধান অর্থকরি ফসল হলো জিরা। দেশে জিরার চাহিদার পুরোটায় আমদানি নির্ভর। পরীক্ষামূলক এই মূল্যবান জিরা চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন পবা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম। প্রথমবার পরীক্ষামূলক জিরা চাষে বাম্পার ফলনে বেশ খুশি কৃষক রফিকুল। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এলাকায় সবাই তাকে বিজ্ঞানী নামে ডাকে।

এলাকার মাটিতে জিরা চাষ হচ্ছে তা দেখতে ভিড় করছেন আশেপাশের কৃষকরা। একই সাথে এলাকায় জিরা চাষ দেখে অন্য কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। বেলে দোআঁশ মাটি জিরা চাষের জন্য উপযুক্ত। তবে জিরা চাষের ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা করতে হবে। বিশেষ করে ছত্রাকনাশক এবং কীটনাশক স্প্রের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কম পরিশ্রম ও কম খরচে জিরা চাষ বেশ লাভজনক। জমির সহজলভ্যতা, অনুকূল আবহাওয়া, রোগবালাই একেবারেই নেই, চাষ উপযোগী মাটি ও সেচ তেমন লাগে না। জিরা চাষে তিন থেকে সাড়ে তিন মাস সময় লাগে। জিরা একটি সম্ভাবনাময় ফসল। এ অঞ্চলের মাটিতে জিরাসহ আরো অন্যান্য মসলা জাতীয় দামি ফসল চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন তাঁরা।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন দেওয়ান কৃষকদের জমিতে আবাদ উৎপাদন ও বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের কৃষি বিষয়ক পরামর্শসহ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে আসছেন। তিনি কৃষকদের জিরা চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন এবং বীজ সংগ্রহ করে দিয়ে পরীক্ষামূূলকভাবে জিরা চাষ শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার নওহাটা পৌরসভা বøকের পাকুড়িয়া ও বালিয়াডাঙ্গা এবং হরিপুর ইউনিয়নের আলিমগঞ্জ বøকের খোলাবোনা এলাকায় ফসলের ক্ষেতে কৃষকরা পরীক্ষামূলক জিরা চাষ করেন। এলাকার মাটি ও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় জিরা চাষে সফলতার মুখ দেখছেন তাঁরা।

নওহাটা পৌরসভা ব্লকের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে তিনি কৃষির সাথে জড়িত। বিভিন্ন রকমের আবাদ গম, ধান, পেঁয়াজ, আদা, হলুদ, মসুরসহ বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল সবজি চাষ এবং নতুন নতুন আবাদ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছেন তিনি। উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন এর পরামর্শে তিনি বগুড়া মসলা গবেষণাকেন্দ্রে জিরা চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে ৫ কাঠা জমিতে জিরা চাষ করেছেন। কৃষি অফিস জিরার বীজ সংগ্রহ এবং জিরা চাষে পরামর্শসহ কারিগরি সহায়তা করেছে।

তিনি বলেন, নতুন ফসল উৎপাদন করে আনন্দ পাই। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তায় জৈব সার ও কিছু কীটনাশক ছিটিয়ে পরিচর্যার মাধ্যমে গাছগুলো বড় করে তোলা হয়েছে। এখন ক্ষেতে জিরা দৃশ্যমান, এখানকার মাটিতে এই আবাদ হবে তা ভাবতেই পারিনি। গাছে ব্যাপক ফুল ও জিরা এসেছে এবং এখন তা পরিপক্ক।

জমিতে উৎপাদিত জিরার গন্ধ ও স্বাদ বাজারের জিরার চেয়েও উন্নত। কিছুদিনের মধ্যেই এসব জিরা ঘরে তুলতে পারবো। নিঃসন্দেহে বলা যায় অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে জিরা লাভজনক। সবাই যদি এক, দুই কাঠা জমিতে জিরা চাষ করে, তাহলে নিজ পরিবারের চাহিদা পূরন করে অতিরিক্ত আয় করতে পারবে। আমাদেরকে আর আমদানি করতে হবে না। আগামীতে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে জিরার আবাদ এবং জিরার চাষ উৎপাদন ও বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার কৃষকদের সুলভ মূল্যে বীজ দিয়ে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে তিনি জানান। জিরা চাষ করে আগ্রহী কৃষকেরা যেন লাভবান হয়।

হরিপুর ইউনিয়নের আলিমগঞ্জ ব্লকের কৃষক জিয়ারুল জানান, এখানকার মাটিতে জিরা চাষ হবে ভাবতেই পারিনি। অনেক ফুল ফুটেছে ও ফল ধরেছে এখন তা দৃশ্যমান। জিরা চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। জমির উৎপাদিত জিরার গন্ধ অতুলনীয়। অন্যান্য কৃষকরা যদি জিরার চাষ করে তাহলে বাজারে কম দামে পাওয়া যাবে। আগামীতে বেশি জমিতে জিরার আবাদ করবেন বলে জানান তিনি। আগ্রহী কৃষকদের মাধ্যমে জিরার চাষ বৃদ্ধি পেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন দেওয়ান বলেন, জিরা চাষের জন্য বেলে-দোঁয়াশ মাটিতে চাষ করলে ভালো হয়। জিরা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জিরা চাষ সম্ভাবনাময় এবং লাভজনক মসলা জাতীয় ফসল। কৃষকরা সঠিকভাবেই এর চাষাবাদ করছেন। বিভিন্ন গ্রামের উৎসাহী কৃষক এ বিষয়ে পরামর্শ নিয়েছেন। এলাকার মাটিতে জিরা চাষ হওয়ায় অনেক কৃষক এখন জিরা চাষে আশাবাদি। উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় আগামীতে এলাকায় জিরার আবাদ ও উৎপাদন ছড়িয়ে দিতে চাই।

উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোশাররফ হোসেন বলেন, মসলা ফসলের মধ্যে উন্নতম হলো জিরা। পরীক্ষামূলকভাবে উপজেলায় কৃষকদের মাধ্যমে জিরা চাষ শুরু করা হয়েছে। জিরা চাষে রোগবালাই কম এবং পানি সেচ কমের কারণে খরচও অনেক কম। কৃষকের ক্ষেতে এখন জিরা দেখা যায় ফলে জিরা চাষের উপযোগি ও সম্ভাবনাময় অঞ্চল পবা উপজেলা। উৎপাদনকৃত জিরার বীজ সংরক্ষণ করে এলাকায় সরবরাহ করার জন্য কৃষককে অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়াও তিনি কৃষকদের আহ্বান জানান যার যেখানে সুযোগ আছে তাঁরা সবাই যদি জিরা চাষের উদ্যোগ নেয় তাহলে এর সফলতা পাওয়া যাবে। উপজেলায় মসলার যে চাহিদা তা কৃষকদের সহাযোগিতায় পূরন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বহুরূপী দুর্নীতিবাজ বিআইডব্লিউটিএর সহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ’র দুর্নীতি রুখবে কে?

SBN

SBN

পরীক্ষামূলক জিরা চাষে সফল পবার কৃষক রফিকুল

আপডেট সময় ০৪:৩৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোঃ বিশাল উদ্দিন, পবা (রাজশাহী)

রাজশাহীর পবা উপজেলায় পরীক্ষামূলক জিরার চাষ করা হয়েছে। মসলাজাতীয় প্রধান অর্থকরি ফসল হলো জিরা। দেশে জিরার চাহিদার পুরোটায় আমদানি নির্ভর। পরীক্ষামূলক এই মূল্যবান জিরা চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন পবা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম। প্রথমবার পরীক্ষামূলক জিরা চাষে বাম্পার ফলনে বেশ খুশি কৃষক রফিকুল। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এলাকায় সবাই তাকে বিজ্ঞানী নামে ডাকে।

এলাকার মাটিতে জিরা চাষ হচ্ছে তা দেখতে ভিড় করছেন আশেপাশের কৃষকরা। একই সাথে এলাকায় জিরা চাষ দেখে অন্য কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। বেলে দোআঁশ মাটি জিরা চাষের জন্য উপযুক্ত। তবে জিরা চাষের ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা করতে হবে। বিশেষ করে ছত্রাকনাশক এবং কীটনাশক স্প্রের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কম পরিশ্রম ও কম খরচে জিরা চাষ বেশ লাভজনক। জমির সহজলভ্যতা, অনুকূল আবহাওয়া, রোগবালাই একেবারেই নেই, চাষ উপযোগী মাটি ও সেচ তেমন লাগে না। জিরা চাষে তিন থেকে সাড়ে তিন মাস সময় লাগে। জিরা একটি সম্ভাবনাময় ফসল। এ অঞ্চলের মাটিতে জিরাসহ আরো অন্যান্য মসলা জাতীয় দামি ফসল চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন তাঁরা।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন দেওয়ান কৃষকদের জমিতে আবাদ উৎপাদন ও বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের কৃষি বিষয়ক পরামর্শসহ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে আসছেন। তিনি কৃষকদের জিরা চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন এবং বীজ সংগ্রহ করে দিয়ে পরীক্ষামূূলকভাবে জিরা চাষ শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার নওহাটা পৌরসভা বøকের পাকুড়িয়া ও বালিয়াডাঙ্গা এবং হরিপুর ইউনিয়নের আলিমগঞ্জ বøকের খোলাবোনা এলাকায় ফসলের ক্ষেতে কৃষকরা পরীক্ষামূলক জিরা চাষ করেন। এলাকার মাটি ও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় জিরা চাষে সফলতার মুখ দেখছেন তাঁরা।

নওহাটা পৌরসভা ব্লকের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে তিনি কৃষির সাথে জড়িত। বিভিন্ন রকমের আবাদ গম, ধান, পেঁয়াজ, আদা, হলুদ, মসুরসহ বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল সবজি চাষ এবং নতুন নতুন আবাদ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছেন তিনি। উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন এর পরামর্শে তিনি বগুড়া মসলা গবেষণাকেন্দ্রে জিরা চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে ৫ কাঠা জমিতে জিরা চাষ করেছেন। কৃষি অফিস জিরার বীজ সংগ্রহ এবং জিরা চাষে পরামর্শসহ কারিগরি সহায়তা করেছে।

তিনি বলেন, নতুন ফসল উৎপাদন করে আনন্দ পাই। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তায় জৈব সার ও কিছু কীটনাশক ছিটিয়ে পরিচর্যার মাধ্যমে গাছগুলো বড় করে তোলা হয়েছে। এখন ক্ষেতে জিরা দৃশ্যমান, এখানকার মাটিতে এই আবাদ হবে তা ভাবতেই পারিনি। গাছে ব্যাপক ফুল ও জিরা এসেছে এবং এখন তা পরিপক্ক।

জমিতে উৎপাদিত জিরার গন্ধ ও স্বাদ বাজারের জিরার চেয়েও উন্নত। কিছুদিনের মধ্যেই এসব জিরা ঘরে তুলতে পারবো। নিঃসন্দেহে বলা যায় অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে জিরা লাভজনক। সবাই যদি এক, দুই কাঠা জমিতে জিরা চাষ করে, তাহলে নিজ পরিবারের চাহিদা পূরন করে অতিরিক্ত আয় করতে পারবে। আমাদেরকে আর আমদানি করতে হবে না। আগামীতে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে জিরার আবাদ এবং জিরার চাষ উৎপাদন ও বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার কৃষকদের সুলভ মূল্যে বীজ দিয়ে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে তিনি জানান। জিরা চাষ করে আগ্রহী কৃষকেরা যেন লাভবান হয়।

হরিপুর ইউনিয়নের আলিমগঞ্জ ব্লকের কৃষক জিয়ারুল জানান, এখানকার মাটিতে জিরা চাষ হবে ভাবতেই পারিনি। অনেক ফুল ফুটেছে ও ফল ধরেছে এখন তা দৃশ্যমান। জিরা চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। জমির উৎপাদিত জিরার গন্ধ অতুলনীয়। অন্যান্য কৃষকরা যদি জিরার চাষ করে তাহলে বাজারে কম দামে পাওয়া যাবে। আগামীতে বেশি জমিতে জিরার আবাদ করবেন বলে জানান তিনি। আগ্রহী কৃষকদের মাধ্যমে জিরার চাষ বৃদ্ধি পেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন দেওয়ান বলেন, জিরা চাষের জন্য বেলে-দোঁয়াশ মাটিতে চাষ করলে ভালো হয়। জিরা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জিরা চাষ সম্ভাবনাময় এবং লাভজনক মসলা জাতীয় ফসল। কৃষকরা সঠিকভাবেই এর চাষাবাদ করছেন। বিভিন্ন গ্রামের উৎসাহী কৃষক এ বিষয়ে পরামর্শ নিয়েছেন। এলাকার মাটিতে জিরা চাষ হওয়ায় অনেক কৃষক এখন জিরা চাষে আশাবাদি। উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় আগামীতে এলাকায় জিরার আবাদ ও উৎপাদন ছড়িয়ে দিতে চাই।

উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোশাররফ হোসেন বলেন, মসলা ফসলের মধ্যে উন্নতম হলো জিরা। পরীক্ষামূলকভাবে উপজেলায় কৃষকদের মাধ্যমে জিরা চাষ শুরু করা হয়েছে। জিরা চাষে রোগবালাই কম এবং পানি সেচ কমের কারণে খরচও অনেক কম। কৃষকের ক্ষেতে এখন জিরা দেখা যায় ফলে জিরা চাষের উপযোগি ও সম্ভাবনাময় অঞ্চল পবা উপজেলা। উৎপাদনকৃত জিরার বীজ সংরক্ষণ করে এলাকায় সরবরাহ করার জন্য কৃষককে অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়াও তিনি কৃষকদের আহ্বান জানান যার যেখানে সুযোগ আছে তাঁরা সবাই যদি জিরা চাষের উদ্যোগ নেয় তাহলে এর সফলতা পাওয়া যাবে। উপজেলায় মসলার যে চাহিদা তা কৃষকদের সহাযোগিতায় পূরন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।