ঢাকা ০৪:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo অধ্যাপক ড. তামিজী চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. হামিদা সেক্রেটারি জেনারেল Logo এনসিপির লোকজন আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়েছে : কায়কোবাদ Logo রাজশাহীতে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ Logo মুরাদনগরে মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামী Logo খুনিদের বিচার আর দেশের সংস্কার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না- ডাঃ শফিকুর রহমান Logo বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই এ সরকার কাজ করছে- পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা Logo সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ ওসি ফারুক’র খুঁটির এতো জোর? Logo স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে শুমারির টাকা আত্মসাৎ পরিসংখ্যান কর্মকর্তার Logo বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্ট Logo দ্রব্যমূল্য সহনীয় রেখে দেশ ও জনগনের জন্য কাজ করতে হবে- সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম

পহেলা মে

পহেলা মে
সেন্টু রঞ্জন চক্রবর্তী

রোদের অস্বাভাবিক উত্তাপ বেড়েছে
বেড়েছে শোষকের লেলিহান জিহ্বার তৃষ্ণা
বিষাক্ত নখের লম্বা হাত
আর-
রাঙানো লুলুপ চোখ,
শ্রমিকের শরীরের রক্ত জল হয়ে নামে
বিকেলে পারিতোষিক পাবে কি না পাবে
ক্ষুধার্ত পেটে সে ভাবনায় নিরুপায় উৎসুক।

বাবুরাতো হিমঘরে ব্যস্ত রয়েছে
অংকের হিসাবে
শ্রমিকেরা প্রাণপণে সংখ্যা বাড়িয়ে চলে তার,
ঝলসানো অর্থনীতির দেহে হাতড়িয়ে খুঁজে লাস্যময়ী রমণীর দেহের সুখ,
এ নিষ্ঠুর পোড়া রোদ জানে কি
মুজুরি না পেলে থেমে যাবে সব
জরিনাদের অভাবী সংসার।

বারোমাস আগুন জ্বলে যেথা
রৌদ্র দহন তীব্র যতোই হউক
একটা রুটিই যাদের চাওয়া পাওয়া
জীবন যাদের এমনি করেই চলে,
তাঁদের মনে স্বপ্নরা সব দমকা হাওয়ায় উড়ে
নাটাই হাতে পুঁজিপতি উড়ায় রঙিন ঘুড়ি
ইচ্ছে হলেই দেয় সে কেটে সুতা
আমরা ভাসি অর্থনীতির নোনা স্রোতের জলে।

এমনি করে গেছে হাজার বছর
তার পরেও আছে তারা বেঁচে
আজও তারা ঘানি টানে ঘড়ির কাটার মতো,
এই পৃথিবী টাকার গোলাম
মুক্ত তারে করতেই হবে, ছিন্ন করতে হবেই তার পায়ের লোহার বেড়ি
রক্ত দেবো, লাগবে পরান যতো।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

অধ্যাপক ড. তামিজী চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. হামিদা সেক্রেটারি জেনারেল

SBN

SBN

পহেলা মে

আপডেট সময় ১১:৪৯:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪

পহেলা মে
সেন্টু রঞ্জন চক্রবর্তী

রোদের অস্বাভাবিক উত্তাপ বেড়েছে
বেড়েছে শোষকের লেলিহান জিহ্বার তৃষ্ণা
বিষাক্ত নখের লম্বা হাত
আর-
রাঙানো লুলুপ চোখ,
শ্রমিকের শরীরের রক্ত জল হয়ে নামে
বিকেলে পারিতোষিক পাবে কি না পাবে
ক্ষুধার্ত পেটে সে ভাবনায় নিরুপায় উৎসুক।

বাবুরাতো হিমঘরে ব্যস্ত রয়েছে
অংকের হিসাবে
শ্রমিকেরা প্রাণপণে সংখ্যা বাড়িয়ে চলে তার,
ঝলসানো অর্থনীতির দেহে হাতড়িয়ে খুঁজে লাস্যময়ী রমণীর দেহের সুখ,
এ নিষ্ঠুর পোড়া রোদ জানে কি
মুজুরি না পেলে থেমে যাবে সব
জরিনাদের অভাবী সংসার।

বারোমাস আগুন জ্বলে যেথা
রৌদ্র দহন তীব্র যতোই হউক
একটা রুটিই যাদের চাওয়া পাওয়া
জীবন যাদের এমনি করেই চলে,
তাঁদের মনে স্বপ্নরা সব দমকা হাওয়ায় উড়ে
নাটাই হাতে পুঁজিপতি উড়ায় রঙিন ঘুড়ি
ইচ্ছে হলেই দেয় সে কেটে সুতা
আমরা ভাসি অর্থনীতির নোনা স্রোতের জলে।

এমনি করে গেছে হাজার বছর
তার পরেও আছে তারা বেঁচে
আজও তারা ঘানি টানে ঘড়ির কাটার মতো,
এই পৃথিবী টাকার গোলাম
মুক্ত তারে করতেই হবে, ছিন্ন করতে হবেই তার পায়ের লোহার বেড়ি
রক্ত দেবো, লাগবে পরান যতো।