পহেলা মে
সেন্টু রঞ্জন চক্রবর্তী
রোদের অস্বাভাবিক উত্তাপ বেড়েছে
বেড়েছে শোষকের লেলিহান জিহ্বার তৃষ্ণা
বিষাক্ত নখের লম্বা হাত
আর-
রাঙানো লুলুপ চোখ,
শ্রমিকের শরীরের রক্ত জল হয়ে নামে
বিকেলে পারিতোষিক পাবে কি না পাবে
ক্ষুধার্ত পেটে সে ভাবনায় নিরুপায় উৎসুক।
বাবুরাতো হিমঘরে ব্যস্ত রয়েছে
অংকের হিসাবে
শ্রমিকেরা প্রাণপণে সংখ্যা বাড়িয়ে চলে তার,
ঝলসানো অর্থনীতির দেহে হাতড়িয়ে খুঁজে লাস্যময়ী রমণীর দেহের সুখ,
এ নিষ্ঠুর পোড়া রোদ জানে কি
মুজুরি না পেলে থেমে যাবে সব
জরিনাদের অভাবী সংসার।
বারোমাস আগুন জ্বলে যেথা
রৌদ্র দহন তীব্র যতোই হউক
একটা রুটিই যাদের চাওয়া পাওয়া
জীবন যাদের এমনি করেই চলে,
তাঁদের মনে স্বপ্নরা সব দমকা হাওয়ায় উড়ে
নাটাই হাতে পুঁজিপতি উড়ায় রঙিন ঘুড়ি
ইচ্ছে হলেই দেয় সে কেটে সুতা
আমরা ভাসি অর্থনীতির নোনা স্রোতের জলে।
এমনি করে গেছে হাজার বছর
তার পরেও আছে তারা বেঁচে
আজও তারা ঘানি টানে ঘড়ির কাটার মতো,
এই পৃথিবী টাকার গোলাম
মুক্ত তারে করতেই হবে, ছিন্ন করতে হবেই তার পায়ের লোহার বেড়ি
রক্ত দেবো, লাগবে পরান যতো।