
মোঃ ওয়াহিদ, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড পরিমাণ ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টায় ৪০০ জনের একটি দল টাকা গণনার কাজ করেন।
শনিবার সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পরে তা মসজিদের দোতলায় গণনার জন্য নেওয়া হয়। দিনভর গণনা শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান টাকার অঙ্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এবার ৪ মাস ১২ দিন পর মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স ও দুটি ট্যাংক খোলা হয়। এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া যায়।
এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়—এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করে থাকেন।
জনশ্রুতি আছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে।
বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠলেও বর্তমানে মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গা আছে।