ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo জরিপে সতর্কবার্তা: বিভাজনের পথে এগোচ্ছে তাইওয়ান প্রশাসন Logo বেইজিং নারী শীর্ষ-সম্মেলনে সি চিন পিংয়ের ঐতিহাসিক আহ্বান Logo বিআরআই দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ৬.২ শতাংশ বৃদ্ধি Logo বিশ্বজুড়ে প্রশংসা চীনের নারী উন্নয়ন মডেল: সিজিটিএন জরিপ Logo ফতুল্লায় ৮৫ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়িসহ ২ জন পাচারকারী আটক Logo মোটরসাইকেল ওভারটেক করায় মোংলায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা Logo সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত ছোটন বাহিনীর ১ সহযোগী অস্ত্র ও গোলাবারুদ’সহ আটক Logo প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ Logo দুই নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দীঘিনালা উপজেলা বিএনপি Logo বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৩ শিক্ষক ও এক সহকারীর বিদায়ী সংবর্ধনা

সরকারী মাল দরিয়া মে ডাল

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হলেও দেখার কেউ নেই

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা)’র বরগুনা জেলার আমতলী অফিসের পনের-বিশ একর এলাকা জুড়ে অরক্ষিত এলাকায় ২০ টনের অধিক ব্রিজের পুরাতন ঢালাই লোহা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ডোবার পানিতে নিমজ্জিত থাকা অবস্থায় বিনষ্ট হচ্ছে। কেবল ঢালাই লোহাই নয় রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনাও। যা এক সময় কর্মকর্তা কর্মচারী ও সংশ্লিষ্টদের পদচারণায় মুখরিত ছিল। আমতলী ও তালতলী উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বৃহৎ এলাকার কোটি কোটি টাকার স্হাপনা ও সম্পত্তি দেখভালোর জন্য নিয়োজিত রয়েছে মাত্র একজন কার্য সহকারী।

লক্ষ লক্ষ টাকার ঢালাই লোহা পানিতে ডুবে বিনষ্ট হওয়ার উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে উক্ত কার্যসহকারী আলমগীর হোসেন বলেন, আমি এখানে চাকুরীরতে আছি প্রায় ২০ বছর। যোগদানের পর থেকেই আমি এই ঢালাই লোহা গুলো পড়ে থাকতে দেখছি। এগুলো কত বছর ধরে পড়ে আছে জানতে চাইলে তিনি ৩০ থেকে ৩৫ বছর সময়ের কথা উল্লেখ করেন। এতো বছর হলেও এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি অফিসিয়াল বিভিন্ন জটিলতাকে ইঙ্গিত করেন যার অর্থ হচ্ছে “সরকারি মাল দরিয়া মে ডাল”।

ঢালাই লোহার পরিমান,মূল্য ও অরক্ষিত অবস্থা থেকে খোয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। শুধুমাত্র বর্তমানে যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ও নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে তার পরিমাণ আনুমানিক বিশ টনের বেশি যার আনুমানিক বাজার মুল্য পনের থেকে বিশ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে উল্লেখ করেন। কেবল ঢালাই লোহাই নয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমতলী অফিসের কোটি কোটি টাকার একাধিক স্থাপনাও বিনষ্ট হচ্ছে। সেই সাথে অফিস এলাকা ও আমতলী-তালতলী উপজেলায় ওয়াপদার সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। স্থাপনা গুলোর কয়েকটিতে দায়িত্বরত কার্যসহকারী তার গবাদি পশুর ফার্ম ও সংশ্লিষ্ট খাদ্য মজুদে ব্যবহার করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব বলেন, পড়ে থাকা লোহার বিষয়টি আমার জানা নেই খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জরিপে সতর্কবার্তা: বিভাজনের পথে এগোচ্ছে তাইওয়ান প্রশাসন

SBN

SBN

সরকারী মাল দরিয়া মে ডাল

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হলেও দেখার কেউ নেই

আপডেট সময় ০৭:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা)’র বরগুনা জেলার আমতলী অফিসের পনের-বিশ একর এলাকা জুড়ে অরক্ষিত এলাকায় ২০ টনের অধিক ব্রিজের পুরাতন ঢালাই লোহা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ডোবার পানিতে নিমজ্জিত থাকা অবস্থায় বিনষ্ট হচ্ছে। কেবল ঢালাই লোহাই নয় রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনাও। যা এক সময় কর্মকর্তা কর্মচারী ও সংশ্লিষ্টদের পদচারণায় মুখরিত ছিল। আমতলী ও তালতলী উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বৃহৎ এলাকার কোটি কোটি টাকার স্হাপনা ও সম্পত্তি দেখভালোর জন্য নিয়োজিত রয়েছে মাত্র একজন কার্য সহকারী।

লক্ষ লক্ষ টাকার ঢালাই লোহা পানিতে ডুবে বিনষ্ট হওয়ার উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে উক্ত কার্যসহকারী আলমগীর হোসেন বলেন, আমি এখানে চাকুরীরতে আছি প্রায় ২০ বছর। যোগদানের পর থেকেই আমি এই ঢালাই লোহা গুলো পড়ে থাকতে দেখছি। এগুলো কত বছর ধরে পড়ে আছে জানতে চাইলে তিনি ৩০ থেকে ৩৫ বছর সময়ের কথা উল্লেখ করেন। এতো বছর হলেও এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি অফিসিয়াল বিভিন্ন জটিলতাকে ইঙ্গিত করেন যার অর্থ হচ্ছে “সরকারি মাল দরিয়া মে ডাল”।

ঢালাই লোহার পরিমান,মূল্য ও অরক্ষিত অবস্থা থেকে খোয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। শুধুমাত্র বর্তমানে যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ও নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে তার পরিমাণ আনুমানিক বিশ টনের বেশি যার আনুমানিক বাজার মুল্য পনের থেকে বিশ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে উল্লেখ করেন। কেবল ঢালাই লোহাই নয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমতলী অফিসের কোটি কোটি টাকার একাধিক স্থাপনাও বিনষ্ট হচ্ছে। সেই সাথে অফিস এলাকা ও আমতলী-তালতলী উপজেলায় ওয়াপদার সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। স্থাপনা গুলোর কয়েকটিতে দায়িত্বরত কার্যসহকারী তার গবাদি পশুর ফার্ম ও সংশ্লিষ্ট খাদ্য মজুদে ব্যবহার করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব বলেন, পড়ে থাকা লোহার বিষয়টি আমার জানা নেই খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।