ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জে ১ টি স্টিল নৌকাসহ ৩১টি ভারতীয় গরু আটক Logo পবায় রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হলো ১১৭টি আমগাছ Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মারামারি: এক শিক্ষক বরখাস্ত, অপরজনকে শোকজ Logo চীন থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া মানে বিশ্ব থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া: কিশোর মাহবুবানি Logo অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণে চীনের কৌশল: সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধে বিশ্লেষণ Logo চীনে আমদানি-রপ্তানিতে গতি, অর্থনীতিতে ইতিবাচক সংকেত Logo রিয়াদে চীন-সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কৌশলগত সংলাপ Logo ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের পরদিন, রাষ্ট্র গঠন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির পুনর্গঠনের প্রথম দিন Logo সুবিদাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

পাবনায় পূর্ব তাঁত ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনায় পূর্ববিরোধের জেরে ইলিয়াস (২৮) নামের এক তাঁত ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের ঘোপাঘাটা নামক স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইলিয়াস হোসেন পাবনার সদর উপজেলার জালালপুর নতুন পড়া মহল্লার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি তাঁত ব্যবসায়ী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে পাবনা শহরে ব্যবসায়ী কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এরপর গভীর রাত হয়ে গেলেও বাড়িতে না আসায় আত্মীয় স্বজন ও পাড়া মহল্লায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর সকালে গয়েশপুর ইউনিয়নের ধোপাঘাটা মোড়ের মরদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের বাবা আব্দুল মান্নান বলেন, গতকাল দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। এরপর সকালে দুই হাত ও পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। আমার ছেলের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ থাকার কথা নয়। তারপরও অন্য কোনো কারণে আমার ছেলেকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ছেলে হত্যাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, সকালে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুই হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে হয়তো রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করে এখানে মরদেহ ফেলে রেখে গেছে। আমরা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছি। আশা করি দ্রুত শনাক্ত হয়ে যাবে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নিহতের ভাতিজা সোহাগের সঙ্গে স্থানীয় এক ব্যক্তির গত ৯ জুলাই একটি ঝামেলা হয়। সেই ঘটনার জেরে হত্যাকাণ্ড হয়েছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

পাবনায় পূর্ব তাঁত ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা

আপডেট সময় ০৭:৫৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনায় পূর্ববিরোধের জেরে ইলিয়াস (২৮) নামের এক তাঁত ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের ঘোপাঘাটা নামক স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইলিয়াস হোসেন পাবনার সদর উপজেলার জালালপুর নতুন পড়া মহল্লার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি তাঁত ব্যবসায়ী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে পাবনা শহরে ব্যবসায়ী কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এরপর গভীর রাত হয়ে গেলেও বাড়িতে না আসায় আত্মীয় স্বজন ও পাড়া মহল্লায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর সকালে গয়েশপুর ইউনিয়নের ধোপাঘাটা মোড়ের মরদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের বাবা আব্দুল মান্নান বলেন, গতকাল দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। এরপর সকালে দুই হাত ও পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। আমার ছেলের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ থাকার কথা নয়। তারপরও অন্য কোনো কারণে আমার ছেলেকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ছেলে হত্যাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, সকালে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুই হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে হয়তো রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করে এখানে মরদেহ ফেলে রেখে গেছে। আমরা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছি। আশা করি দ্রুত শনাক্ত হয়ে যাবে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নিহতের ভাতিজা সোহাগের সঙ্গে স্থানীয় এক ব্যক্তির গত ৯ জুলাই একটি ঝামেলা হয়। সেই ঘটনার জেরে হত্যাকাণ্ড হয়েছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি।