ঢাকা ১১:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পায়রা বন্দরের অযোগ্য এইচপি এনজে কে সর্বনিম্ন দরদাতা ঘোষণা Logo শ্রমিক ও মালিকের পারস্পরিক অংশীদারিত্বে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের আহবান জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী Logo শাহরাস্তিতে অলংকার তৈরির কারখানায় চুরি, গ্রেফতার ২।। ১৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার Logo মুরাদনগরে দশ টাকায় খাবার পেলেন সাড়ে ৪শত মানুষ Logo পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সাক্ষাৎ Logo ঝিনাইগাতীতে শতাধিক একর জমির ধান চিটা, কৃষকের মাথায় হাত Logo চাঁদপুরে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের কর্ম বিরতি পালিত Logo বালিয়াডাঙ্গীতে মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা Logo গলাচিপা ইউএনও এর বদলির আদেশ প্রত্যাহরের দাবীতে মানববন্ধন Logo ধর্ষক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন

প্রধান প্রকৌশলীর দুর্নীতি

পায়রা বন্দরের অযোগ্য এইচপি এনজে কে সর্বনিম্ন দরদাতা ঘোষণা

মোনায়েম মন্ডল

পায়রা পোর্টের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ০২ শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন টেন্ডারে ব্যাপক, অনিয়ম দুর্নীতি সহ স্বেচ্ছাচারিতার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ডালিয়ান হুয়ারুই হেভি ইন্ডাস্ট্রি ইন্টারন্যাশনাল কোং লিমিটেড এর পক্ষে আঃ মালেক নামের জনৈক ব্যক্তি উল্লেখিত টেন্ডারটি দেশের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহারের লক্ষ্যে শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন ২টি ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা ও পর্যালোচনা করার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বরাবর বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করেছেন।

প্রকাশ, পায়রা পোর্ট এর ঢাকা অফিস গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে ২টি শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন ক্রয় করার জন্য টেন্ডার আহ্বান করেন। টেন্ডারে ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে এবং ৩টি প্রতিষ্ঠানকে কারিগরি ভাবে যোগ্য ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৭ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে আর্থিক প্রস্তাব উন্মোচন করা হয়। তাতে এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) সর্ব নিম্ন দরদাতা পাওয়া যায়। কিন্তু এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) সর্ব নিম্ন দরদাতা হলেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অযোগ্যতা তার পরিলক্ষিত হয়েছে।

এদিকে তার গুরুত্বপূর্ণ অযোগ্যতা গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো- এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) কারিগরি ভাবে যোগ্য ঘোষণা করা হলেও প্রকৃতপক্ষে এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) কারিগরি ভাবে যোগ্য নয়, কারণ পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী ১৫টি শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহের ও ব্যবহারকারীর নিকট থেকে সন্তোষজনক সনদপত্র দরপত্রের সাথে জমা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) এর ১৫টি শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন আত্মর্জাতিক বাজারে (চায়না ব্যতিত) সরবরাহের কোনো সঠিক তথ্য ও বৈধ সনদপত্র জমা দেয়া হয়নি বা নেই বলে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে- এইচপি-এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) এর কারিগরি যোগ্যতা প্রমান করণে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নাসির উদ্দিন সহযোগিতা করেছে, যা তদন্তে থলের বিড়ালের ন্যায় বেরিয়ে আসবে, তাই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত।

অপর দিকে, শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন একটি স্থায়ী ও গুরুত্বপূর্ণ মেশিন, যার রক্ষণাবেক্ষণ ও সার্ভিসিংয়ের জন্য এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) এর বাংলাদেশে নিজস্ব কোনো সার্ভিস সেন্টার নেই এবং তারা যাকে লোকাল এজেন্টন্ট দেখিয়েছে তাদেরও কোন সার্ভিস সেন্টার নেই। এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) এর বাংলাদেশে পূর্বে কোন ভারী মেশিন সরবরাহের ক্ষেত্রে কোন রেকর্ড নেই। এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) কর্তৃক শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন o২টি জমা করলে তা ভবিষ্যতে অকেজো হয়ে যেতে পারে, যা ভবিষ্যতে দেশের জন্য আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

শুধু তাই নয়, পায়রা বন্দর বাংলাদেশের একটি ব্যয়বহুল প্রকল্প এবং যার ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশের সংশ্লিষ্ট মহল উদ্বিগ্ন। ঠিক সেই মুহূর্তে কারিগরির দিক দিয়ে অযোগ্য এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) থেকে শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন ০২ টি ক্রয় করলে ভবিষ্যতে দেশ বৃহত্তর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহল ধারণা করছেন।

অভিজ্ঞ মহলের মতে- যদি এসটিএস ক্রয়ের ক্ষেত্রে সঠিক মূল্যায়ন করা হয়, তবে সেইসব প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি থেকে শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন ০২ টি ক্রয় করা যেতে পারে, যাদের পূর্বে বাংলাদেশে পোর্ট ইকুইপমেন্ট সরবরাহের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং যাদের নিজস্ব লোকাল এজেন্টন্ট এবং সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। এছাড়াও যারা পূর্বে সরকারি/বেসরকারি প্রকল্পে পোর্ট ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করেছে, তাদের মাধ্যমে সরবরাহ করা যেতে পারে।

মজার ব্যাপার হলো- এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) যে কোম্পানিকে লোকাল এজেন্ট হিসেবে দেখিয়েছে, ওই কোম্পানি ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নাসির উদ্দিনের সাথে পূর্বে পায়রা বন্দরের বিভিন্ন ক্রয় ক্ষেত্রে দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিল। এই বিষয়টিও সেই সময়ে বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।

সুতরাং, যদি এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) এর মত প্রতিষ্ঠান/কোম্পানিকে শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন২টি ক্রয়াদেশ প্রদান করা হয়, তাহলে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং উচ্চ আদলত কর্তৃক আইনি নোটিশ জারিও হতে পারে বলে সচেতন মহলের মধ্যে থেকে ধারণা করা হয়েছে। তাই টেন্ডারে সর্ব নিম্ন দরদাতাকে ক্রয়াদেশ প্রদানের আগে বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করে উল্লেখিত সমস্যা গুলো যাচাই করে দরকার।

এ ব্যাপারে পায়রা বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নাসির উদ্দিনের মতামত জানার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল বন্ধ থাকায় তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পায়রা বন্দরের অযোগ্য এইচপি এনজে কে সর্বনিম্ন দরদাতা ঘোষণা

SBN

SBN

প্রধান প্রকৌশলীর দুর্নীতি

পায়রা বন্দরের অযোগ্য এইচপি এনজে কে সর্বনিম্ন দরদাতা ঘোষণা

আপডেট সময় ০৮:২৪:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

মোনায়েম মন্ডল

পায়রা পোর্টের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ০২ শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন টেন্ডারে ব্যাপক, অনিয়ম দুর্নীতি সহ স্বেচ্ছাচারিতার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ডালিয়ান হুয়ারুই হেভি ইন্ডাস্ট্রি ইন্টারন্যাশনাল কোং লিমিটেড এর পক্ষে আঃ মালেক নামের জনৈক ব্যক্তি উল্লেখিত টেন্ডারটি দেশের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহারের লক্ষ্যে শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন ২টি ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা ও পর্যালোচনা করার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বরাবর বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করেছেন।

প্রকাশ, পায়রা পোর্ট এর ঢাকা অফিস গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে ২টি শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন ক্রয় করার জন্য টেন্ডার আহ্বান করেন। টেন্ডারে ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে এবং ৩টি প্রতিষ্ঠানকে কারিগরি ভাবে যোগ্য ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৭ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে আর্থিক প্রস্তাব উন্মোচন করা হয়। তাতে এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) সর্ব নিম্ন দরদাতা পাওয়া যায়। কিন্তু এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) সর্ব নিম্ন দরদাতা হলেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অযোগ্যতা তার পরিলক্ষিত হয়েছে।

এদিকে তার গুরুত্বপূর্ণ অযোগ্যতা গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো- এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) কারিগরি ভাবে যোগ্য ঘোষণা করা হলেও প্রকৃতপক্ষে এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) কারিগরি ভাবে যোগ্য নয়, কারণ পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী ১৫টি শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহের ও ব্যবহারকারীর নিকট থেকে সন্তোষজনক সনদপত্র দরপত্রের সাথে জমা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) এর ১৫টি শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন আত্মর্জাতিক বাজারে (চায়না ব্যতিত) সরবরাহের কোনো সঠিক তথ্য ও বৈধ সনদপত্র জমা দেয়া হয়নি বা নেই বলে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে- এইচপি-এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) এর কারিগরি যোগ্যতা প্রমান করণে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নাসির উদ্দিন সহযোগিতা করেছে, যা তদন্তে থলের বিড়ালের ন্যায় বেরিয়ে আসবে, তাই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত।

অপর দিকে, শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন একটি স্থায়ী ও গুরুত্বপূর্ণ মেশিন, যার রক্ষণাবেক্ষণ ও সার্ভিসিংয়ের জন্য এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) এর বাংলাদেশে নিজস্ব কোনো সার্ভিস সেন্টার নেই এবং তারা যাকে লোকাল এজেন্টন্ট দেখিয়েছে তাদেরও কোন সার্ভিস সেন্টার নেই। এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) এর বাংলাদেশে পূর্বে কোন ভারী মেশিন সরবরাহের ক্ষেত্রে কোন রেকর্ড নেই। এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) কর্তৃক শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন o২টি জমা করলে তা ভবিষ্যতে অকেজো হয়ে যেতে পারে, যা ভবিষ্যতে দেশের জন্য আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

শুধু তাই নয়, পায়রা বন্দর বাংলাদেশের একটি ব্যয়বহুল প্রকল্প এবং যার ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশের সংশ্লিষ্ট মহল উদ্বিগ্ন। ঠিক সেই মুহূর্তে কারিগরির দিক দিয়ে অযোগ্য এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) থেকে শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন ০২ টি ক্রয় করলে ভবিষ্যতে দেশ বৃহত্তর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহল ধারণা করছেন।

অভিজ্ঞ মহলের মতে- যদি এসটিএস ক্রয়ের ক্ষেত্রে সঠিক মূল্যায়ন করা হয়, তবে সেইসব প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি থেকে শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন ০২ টি ক্রয় করা যেতে পারে, যাদের পূর্বে বাংলাদেশে পোর্ট ইকুইপমেন্ট সরবরাহের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং যাদের নিজস্ব লোকাল এজেন্টন্ট এবং সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। এছাড়াও যারা পূর্বে সরকারি/বেসরকারি প্রকল্পে পোর্ট ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করেছে, তাদের মাধ্যমে সরবরাহ করা যেতে পারে।

মজার ব্যাপার হলো- এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) যে কোম্পানিকে লোকাল এজেন্ট হিসেবে দেখিয়েছে, ওই কোম্পানি ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নাসির উদ্দিনের সাথে পূর্বে পায়রা বন্দরের বিভিন্ন ক্রয় ক্ষেত্রে দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিল। এই বিষয়টিও সেই সময়ে বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।

সুতরাং, যদি এইচপি- এনজে(জেভি) (নানজিং পোর্ট) এর মত প্রতিষ্ঠান/কোম্পানিকে শিপ টু শোর ক্রেন/কুইয়ে জেন্ট্রি ক্রেন২টি ক্রয়াদেশ প্রদান করা হয়, তাহলে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং উচ্চ আদলত কর্তৃক আইনি নোটিশ জারিও হতে পারে বলে সচেতন মহলের মধ্যে থেকে ধারণা করা হয়েছে। তাই টেন্ডারে সর্ব নিম্ন দরদাতাকে ক্রয়াদেশ প্রদানের আগে বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করে উল্লেখিত সমস্যা গুলো যাচাই করে দরকার।

এ ব্যাপারে পায়রা বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নাসির উদ্দিনের মতামত জানার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল বন্ধ থাকায় তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।