
সৌমেন্দু লাহিড়ী
বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
একদিন এক সন্ধ্যাবেলায়
গগনে চপলা চমকিয়া যায়,
স্বজ লয়ে আসে বহন করিয়া
পিতার দেহ তাহার,
শুধাইল মাতা, “কী হইল তাহার?”
সুত কহে পিতা কহিবে না আর
তিনি ইহলোকে নাই।
কহে সবে, “এ কী হইল তাহার?”
স্বজ কহে রাজনীতির স্বীকার,
মালিকের কাছে চাহিছিল পিতা
শ্রমিকের অধিকার।
বাপীর বিবেক কহে, “নির্বোধ
লইতে হইবে এর প্রতিশোধ
যে মারিয়াছে তোমার পিতারে
তাহার কলিজা চাই।”
ছাড়ি দিল বেটা বাটী সেই ক্ষণে,
বিবেকের তাড়নায়।
জীর্ণ শরীর চলিতে না পারে,
কোটিতে ভোজালি বিদ্রুপ করে…
শীর্ণ শরীরে বধিতে অরিরে,
ও কি পারিবে হায়!
তবু প্রতিশোধ লইবার তরে,
যে মারিয়াছে তাহার পিতারে,
খোকা খুঁজি যায় শুধুই তাহারে
সকাল-সন্ধ্যা তাই।
একদিন এক ঘন বরষায়,
বিকেল না ঠিক সাঁঝের বেলায়,
সময় সঠিক বোঝা বড় দায়,
হেরিল পুত্র পিতৃহন্তা
সম্মুখ দিয়া যায়…
হুংকার ছাড়ি জীর্ণ শরীরে
উঠিতে গেলেও উঠিতে না পারে,
নিক্ষেপ করে ভোজালিটারে
পিতৃহন্তার গায়।
সব শেষ, শুধু নিথর দেহ
পড়ি আছে রাস্তায়।
অতীব কষ্টে উঠিয়া বাপী,
দাঁড়াইলো আসি দাঁতে দাঁত চাপি
থর থর দেহ উঠিতেছে কাঁপি
নিধনের উন্মাদনায়,
মিটাইলো সুত এভাবেই আজি
পিতৃঋণের দায়।।