ঢাকা ০৬:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চীনের প্রস্তাবিত ১ হাজার শর্য্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি স্থাপনের দাবি Logo গাইবান্ধায় বিএনপি’র রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত ৩১ দফা ও জন সম্পৃক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ Logo আব্দুল মালেক মজুমদারকে পাওয়া যাচ্ছে না Logo শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইএসইউতে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা Logo মানবাধিকার রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয়ে “আমাদের আইন” এর শেরপুর জেলা কমিটি গঠিত Logo শেরপুরে ধান ক্ষেত থেকে অটোরিক্সা চালকের মরদেহ উদ্ধার Logo বরুড়ায় তথ্য আপা’র উঠান বৈঠক Logo সুনামগঞ্জে বিশ্ব অটিজম ও সচেতনতা দিবস পালিত Logo গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া Logo বুড়িচংয়ে বিভিন্ন স্থানে বৈশাখী মেলায় চলছে জুয়ার আসর

পিতৃহন্তা

সৌমেন্দু লাহিড়ী
বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

একদিন এক সন্ধ্যাবেলায়
গগনে চপলা চমকিয়া যায়,
স্বজ লয়ে আসে বহন করিয়া
পিতার দেহ তাহার,
শুধাইল মাতা, “কী হইল তাহার?”
সুত কহে পিতা কহিবে না আর
তিনি ইহলোকে নাই।

কহে সবে, “এ কী হইল তাহার?”
স্বজ কহে রাজনীতির স্বীকার,
মালিকের কাছে চাহিছিল পিতা
শ্রমিকের অধিকার।

বাপীর বিবেক কহে, “নির্বোধ
লইতে হইবে এর প্রতিশোধ
যে মারিয়াছে তোমার পিতারে
তাহার কলিজা চাই।”
ছাড়ি দিল বেটা বাটী সেই ক্ষণে,
বিবেকের তাড়নায়।

জীর্ণ শরীর চলিতে না পারে,
কোটিতে ভোজালি বিদ্রুপ করে…
শীর্ণ শরীরে বধিতে অরিরে,
ও কি পারিবে হায়!
তবু প্রতিশোধ লইবার তরে,
যে মারিয়াছে তাহার পিতারে,
খোকা খুঁজি যায় শুধুই তাহারে
সকাল-সন্ধ্যা তাই।

একদিন এক ঘন বরষায়,
বিকেল না ঠিক সাঁঝের বেলায়,
সময় সঠিক বোঝা বড় দায়,
হেরিল পুত্র পিতৃহন্তা
সম্মুখ দিয়া যায়…
হুংকার ছাড়ি জীর্ণ শরীরে
উঠিতে গেলেও উঠিতে না পারে,
নিক্ষেপ করে ভোজালিটারে
পিতৃহন্তার গায়।
সব শেষ, শুধু নিথর দেহ
পড়ি আছে রাস্তায়।

অতীব কষ্টে উঠিয়া বাপী,
দাঁড়াইলো আসি দাঁতে দাঁত চাপি
থর থর দেহ উঠিতেছে কাঁপি
নিধনের উন্মাদনায়,
মিটাইলো সুত এভাবেই আজি
পিতৃঋণের দায়।।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

চীনের প্রস্তাবিত ১ হাজার শর্য্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি স্থাপনের দাবি

SBN

SBN

পিতৃহন্তা

আপডেট সময় ০৫:০২:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪

সৌমেন্দু লাহিড়ী
বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

একদিন এক সন্ধ্যাবেলায়
গগনে চপলা চমকিয়া যায়,
স্বজ লয়ে আসে বহন করিয়া
পিতার দেহ তাহার,
শুধাইল মাতা, “কী হইল তাহার?”
সুত কহে পিতা কহিবে না আর
তিনি ইহলোকে নাই।

কহে সবে, “এ কী হইল তাহার?”
স্বজ কহে রাজনীতির স্বীকার,
মালিকের কাছে চাহিছিল পিতা
শ্রমিকের অধিকার।

বাপীর বিবেক কহে, “নির্বোধ
লইতে হইবে এর প্রতিশোধ
যে মারিয়াছে তোমার পিতারে
তাহার কলিজা চাই।”
ছাড়ি দিল বেটা বাটী সেই ক্ষণে,
বিবেকের তাড়নায়।

জীর্ণ শরীর চলিতে না পারে,
কোটিতে ভোজালি বিদ্রুপ করে…
শীর্ণ শরীরে বধিতে অরিরে,
ও কি পারিবে হায়!
তবু প্রতিশোধ লইবার তরে,
যে মারিয়াছে তাহার পিতারে,
খোকা খুঁজি যায় শুধুই তাহারে
সকাল-সন্ধ্যা তাই।

একদিন এক ঘন বরষায়,
বিকেল না ঠিক সাঁঝের বেলায়,
সময় সঠিক বোঝা বড় দায়,
হেরিল পুত্র পিতৃহন্তা
সম্মুখ দিয়া যায়…
হুংকার ছাড়ি জীর্ণ শরীরে
উঠিতে গেলেও উঠিতে না পারে,
নিক্ষেপ করে ভোজালিটারে
পিতৃহন্তার গায়।
সব শেষ, শুধু নিথর দেহ
পড়ি আছে রাস্তায়।

অতীব কষ্টে উঠিয়া বাপী,
দাঁড়াইলো আসি দাঁতে দাঁত চাপি
থর থর দেহ উঠিতেছে কাঁপি
নিধনের উন্মাদনায়,
মিটাইলো সুত এভাবেই আজি
পিতৃঋণের দায়।।