মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি
পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ভারতীয় পরিকল্পনায় বিডিআর অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিডিআর উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিগত শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ভারতীয় চাপে এই নারকীয় হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু কোন তদন্ত হয়নি, বরং প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে, নিরপরাধ বিডিআর সদস্যেদর মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এখনো সেই মিথ্যা মামলায় অসংখ্য সদস্য কারাগারে কারাবন্দী রয়েছে। সরকার যেহেতু এই হত্যাকান্ডের তদন্ত কমিশন গঠনের কথা বলেছেন, সেহেতু সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গণঅধিকার পরিষদ ৩ দফার একটি স্মারকলিপি ১৮ ডিসেম্বর ২৪ ইং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রদান করছে।
স্বারক লিপিতে উল্লেখ করেন,
১. পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পূর্ববর্তী সকল কমিশন বাতিল করে নতুন করে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করতে হবে। এই কমিশন মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত ও গেজেট ভুক্ত হতে হবে।
তদন্ত কমিশন গঠনে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশনকে একটি জাতীয় কমিশনে রূপ দিতে হবে:
ক. সুপ্রিমকোর্টের আপীল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত মাননীয় বিচারপতিকে প্রধান করতে হবে।
খ. হাইকোর্ট বিভাগের ১/২ জন মাননীয় বিচারপতিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
গ. বিডিআরের সাবেক সিনিয়র অফিসারদের মধ্য থেকে ১/২ জনকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ঘ. একজন মানবাধিকার কর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে করে পিলখানা হত্যাকান্ডে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়।
ঙ. একজন আন্তর্জাতিক গণহত্যা সম্পর্কিত এক্সপার্টকে অন্তভূক্ত করতে হবে।
২. বর্তমান সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি’র নাম পরিবর্তন করে আবারও বিডিআরে রূপান্তর করতে হবে।
৩. কারাগারে কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন
তারেক রহমান-যুগ্ম সদস্য সচিব আরিফ বিল্লাহ-দপ্তর সমন্বয়ক শহীদ মেজর অবঃ তানভীর হায়দারের স্ত্রী তাসনুভা মাহা, ও সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল হান্নান প্রমুখ।