ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জে ১ টি স্টিল নৌকাসহ ৩১টি ভারতীয় গরু আটক Logo পবায় রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হলো ১১৭টি আমগাছ Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মারামারি: এক শিক্ষক বরখাস্ত, অপরজনকে শোকজ Logo চীন থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া মানে বিশ্ব থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া: কিশোর মাহবুবানি Logo অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণে চীনের কৌশল: সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধে বিশ্লেষণ Logo চীনে আমদানি-রপ্তানিতে গতি, অর্থনীতিতে ইতিবাচক সংকেত Logo রিয়াদে চীন-সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কৌশলগত সংলাপ Logo ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের পরদিন, রাষ্ট্র গঠন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির পুনর্গঠনের প্রথম দিন Logo সুবিদাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

‘প্রতিযোগী’ নয়, ‘অংশীদার’: চীনের প্রতি ইউরোপের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০১:৫৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
  • ২৪৩ বার পড়া হয়েছে

জুলাই ২৪: ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে চীন এবং ইইউ উভয়ই ‘বড় পক্ষ’। আমাদের অবশ্যই চীন-ইইউ সম্পর্কের উন্নয়নের সঠিক দিকটি দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে এবং চীন-ইইউ সম্পর্কের আরও উজ্জ্বল পরবর্তী ৫০ বছর সৃষ্টি করতে কাজ করতে হবে’। সম্প্রতি চীন-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের এই মন্তব্য ব্যাপক আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন) ১০টি প্রতিনিধিত্বশীল ইউরোপীয় দেশের ৩ হাজার ৮৯৫ জন মানুষের উপর চালানো জরিপে দেখা গেছে, উত্তরদাতারা চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের ফলাফল ইতিবাচক মূল্যায়ন করে, চীন-ইইউ সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত সম্পর্ক আশাবাদী, এবং ইউরোপীয় দেশগুলোকে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখা, চীনের সঙ্গে বহুমেরু বিশ্বকে উন্নীত করা ও সত্যিকারের বহুপক্ষবাদ বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়েছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারী ১০টি ইউরোপীয় দেশের মধ্যে, ৭টি দেশের মানুষের চীন সম্পর্কে ৬০ শতাংশের বেশি ইতিবাচক ধারণা রয়েছে। উত্তরদাতারা অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে চীনের উন্নয়ন অর্জন সম্পর্কে প্রশংসা করে: ৮৬ শতাংশের উত্তরদাতা মনে করে চীনের অর্থনীতি শক্তিশালী, ৭৩.১ শতাংশের উত্তরদাতা চীনের অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক উন্নয়ন সম্পর্কে আশাবাদী, ৭৮.১ শতাংশের উত্তরদাতা চীনের উদ্ভাবনী ক্ষমতা নিশ্চিত করে, ৮১.৫ শতাংশের উত্তরদাতা আন্তর্জাতিক বাজারে চীনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ অবদান প্রশংসা করে।
‘জরিপকৃত দেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের অবস্থান’ মূল্যায়ন করার সময় ৪৪.২ শতাংশের উত্তরদাতা ‘অংশীদার’ বেছে নিয়েছে, যা ‘প্রতিযোগী’ বেছে নেওয়ার অনুপাতের দ্বিগুণ।

জরিপে অংশগ্রহণকারী ১০টি দেশের বেশিরভাগ উত্তরদাতা মনে করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য লাভজনক, গড় স্বীকৃতি হার ৬৫.২ শতাংশ। স্বীকৃতি হার সবচেয়ে বেশি ৩টি দেশ হল স্পেন, সার্বিয়া ও ব্রিটেন, যা যথাক্রমে ৭৩.৩, ৭২ ও ৭০.৭ শতাংশ।
যখন ‘চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য, কোনটি বেশি লাভজনক’ জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন সব অংশগ্রহণকারী দেশে চীনকে বেছে নেওয়ার অনুপাত যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি, চীনকে বেছে নেওয়ার অনুপাত ৩৭.২ শতাংশে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় অংশীদারের উপর শুল্ক আরোপের পটভূমিতে, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির ৬০ শতাংশেরও বেশি উত্তরদাতা চীনের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করে বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছে।

সূত্র: তুহিনা-হাশিম-স্বর্ণা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

‘প্রতিযোগী’ নয়, ‘অংশীদার’: চীনের প্রতি ইউরোপের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন

আপডেট সময় ০১:৫৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

জুলাই ২৪: ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে চীন এবং ইইউ উভয়ই ‘বড় পক্ষ’। আমাদের অবশ্যই চীন-ইইউ সম্পর্কের উন্নয়নের সঠিক দিকটি দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে এবং চীন-ইইউ সম্পর্কের আরও উজ্জ্বল পরবর্তী ৫০ বছর সৃষ্টি করতে কাজ করতে হবে’। সম্প্রতি চীন-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের এই মন্তব্য ব্যাপক আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন) ১০টি প্রতিনিধিত্বশীল ইউরোপীয় দেশের ৩ হাজার ৮৯৫ জন মানুষের উপর চালানো জরিপে দেখা গেছে, উত্তরদাতারা চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের ফলাফল ইতিবাচক মূল্যায়ন করে, চীন-ইইউ সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত সম্পর্ক আশাবাদী, এবং ইউরোপীয় দেশগুলোকে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখা, চীনের সঙ্গে বহুমেরু বিশ্বকে উন্নীত করা ও সত্যিকারের বহুপক্ষবাদ বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়েছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারী ১০টি ইউরোপীয় দেশের মধ্যে, ৭টি দেশের মানুষের চীন সম্পর্কে ৬০ শতাংশের বেশি ইতিবাচক ধারণা রয়েছে। উত্তরদাতারা অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে চীনের উন্নয়ন অর্জন সম্পর্কে প্রশংসা করে: ৮৬ শতাংশের উত্তরদাতা মনে করে চীনের অর্থনীতি শক্তিশালী, ৭৩.১ শতাংশের উত্তরদাতা চীনের অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক উন্নয়ন সম্পর্কে আশাবাদী, ৭৮.১ শতাংশের উত্তরদাতা চীনের উদ্ভাবনী ক্ষমতা নিশ্চিত করে, ৮১.৫ শতাংশের উত্তরদাতা আন্তর্জাতিক বাজারে চীনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ অবদান প্রশংসা করে।
‘জরিপকৃত দেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের অবস্থান’ মূল্যায়ন করার সময় ৪৪.২ শতাংশের উত্তরদাতা ‘অংশীদার’ বেছে নিয়েছে, যা ‘প্রতিযোগী’ বেছে নেওয়ার অনুপাতের দ্বিগুণ।

জরিপে অংশগ্রহণকারী ১০টি দেশের বেশিরভাগ উত্তরদাতা মনে করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য লাভজনক, গড় স্বীকৃতি হার ৬৫.২ শতাংশ। স্বীকৃতি হার সবচেয়ে বেশি ৩টি দেশ হল স্পেন, সার্বিয়া ও ব্রিটেন, যা যথাক্রমে ৭৩.৩, ৭২ ও ৭০.৭ শতাংশ।
যখন ‘চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য, কোনটি বেশি লাভজনক’ জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন সব অংশগ্রহণকারী দেশে চীনকে বেছে নেওয়ার অনুপাত যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি, চীনকে বেছে নেওয়ার অনুপাত ৩৭.২ শতাংশে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় অংশীদারের উপর শুল্ক আরোপের পটভূমিতে, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির ৬০ শতাংশেরও বেশি উত্তরদাতা চীনের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করে বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছে।

সূত্র: তুহিনা-হাশিম-স্বর্ণা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।