আমি বুঝিনাই –
অজান্তে আমায় সে যে এতো বাসিয়াছে ভালো,
তাই কিগো জগতের সকল আলো
পসিয়াছে আমার জীর্ণ কুটিরে?
অলক্ষ্যে তার দিকে খানিকটা দেখিনু চাহিয়া
ভোরের শিশির ফুলপরী মাধবীরে তুলেছে ডাকিয়া
তখনো শিউলিরা ঘাসের মাদুরে ছিলো ঘুমে বিভোর
বাজিতেছে কোথা জানি রুপোর নুপুর
ধীরে ধীরে।
রাত শেষের অলস সময় তখনো জড়ায়ে আমায়
কতকথা কতো ছলনায়
বলিবারে বারেবারে এসেছিলো কাছাকাছি
আমি বুঝিনাই,
মনের গহীনে স্বপ্নরা যেথায় জাগ্রত নিশিদিন
দোলখায় নবযৌবনা ষোড়শী, উর্বশীর মতো
রূপ তার মাটিতে লুটিয়ে হাসে চন্দ্রিমার হাসি
রাশিরাশি রোশনাই।
নীরবে নিভৃতে নিত্য আমার হৃদয় অলিন্দে তার
উজ্জ্বল উপস্থিতি, নিত্য আসা যাওয়া,
তখনো খিড়কিতে, লাজুক হাতে দেয়নিকো টোকা
বসন্তের ঝিরিঝিরি মিষ্টি হাওয়া,
শুধু সবে মাত্র আড়ষ্ট শীতের বিদায় আয়োজনে
সবুজ পত্রপল্লব মেতে উঠেছিলো নাচে ও গানে
প্রকৃতির কাছে উচ্ছসিত নতুন চাওয়া পাওয়া।
এ আমার প্রথম প্রেম, প্রথম বোধোদয়
শংকা ও আশংকার বর্ণ পরিচয়,
বুঝিলাম —
আমার অজান্তে কেউ আমারে বাসিতেছে ভালো
তখনো ঘুচেনি ভয় আধাঁর কালো
তবুও, অসীম সাহস সঞ্চয় করে
আধো ভয় আধো লাজে কাছে নিয়ে তারে
বাঁধিলাম বুকে
দেখিলাম সকলি অস্পষ্ট কেনো জানি
আমার সম্মুখে।
অতঃপর —
ঘর বাধা, বিনায় সুর সাধা, নতুন কল্লোলে
সজ্জিত মনোরথে, সূচিত নতুন পথে
শুরু হলো অসীম আগামীর সন্ধান,
বুঝিলাম-
কে কোথা কবে জানি, কারে কাছে নেয় টানি
একই সুরে মিলেমিশে ধরে অভিন্ন ঐকতান।
(আগরতলা ২৯/০১/২৩)