“প্রীতিলতা” তুমিই কি প্রথম তুমিই কি শেষ
নন্দিনী লুইজা
ব্রিটিশ তাড়ানো জরুরী হয়ে পড়েছে বাংলার মাটিতে-
উর্বর জমিতে ফসলের পরিবর্তে চাষ হচ্ছে নীল চাষ।
নীল চাষ করতে গিয়ে ফসলি জমিতে বাবুদের হুকুম,
খাদ্যশস্য উৎপাদন বন্ধ করে বর্গাচাষী বিট্রিশের তাবেদারি।
পেটে পাথর বেঁধে কতদিন চলতে পারে চাবুকের পর চাবুক
মুখ খোলে না কেউ, নিরবে অশ্রু বিসর্জনে চোখে অন্ধকার,
এমন দুঃসময়ে প্রীতিলতার মতো বর্তমানে ভেবেছে ক’জনে
এখন আধুনিক জীবন, হাতের মুঠোয় পৃথিবী অনেক প্রাপ্তি,
একটিও জন্ম হয় না এই বাংলায় প্রীতিলতার উত্তর সুরি।
কোথায় হারিয়েছে দীপ্ত পদচারণা,আবার কেন জেগে ওঠে না,
খোলসের মধ্য থেকে বেড়িয়ে আসো নিজেকে রক্ষা কর,
দেখো না নারী কয়েক যুগ আগে তোমারি সহযাত্রী কিভাবে
শক্রকে পরাজিত করতে, দেশকে মুক্ত করতে ছদ্মবেশে,
কেন তোমাদের মধ্যে হাজার হাজার প্রীতিলতার জন্ম হন না।
তাই তো দেখি নারী তোমার মুখে পর্দা টানা তুমি ভীতু-
মেনে নিচ্ছো যত অন্যায় অত্যাচারের কালো থাবা, মুখ বন্ধ।
সেই ভালো আত্মসমর্পণ করার চেয়ে প্রীতিলতার মতো,
বীর দর্পে পটাশিয়াম সায়ানাইড নিয়ে আত্মহননের পথ
বাবা মেধাবী মেয়ের এমন পরিনতি মানতে গিয়ে পাগল,
কিন্তু জন্মদাত্রী মা যিনি গর্বে বলেছেন, মেয়ের বীরত্বের কথা।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সংগ্রামী প্রথম নারীর খবর, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের দেশ প্রীতির কথা ভুলতে বসেছে। আজকে নারীর শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন যতই উন্নয়ন দেখি
প্রীতিলতার মতো আবার কবে নারী জেগে উঠবে স্বমহিমায়
তবেই নারী বুঝবে দেশের জন্য প্রীতি, সমাজে কতটা দামি।