
মোঃ তারিকুল ইসলাম খন্দকার, লালমনিরহাট
নয় বছরের প্রেম, সংসার গড়ার স্বপ্ন আর প্রতিশ্রুতি শেষ হলো প্রতারণায়। ভালোবাসার মানুষটি বিয়ে করেছেন অন্যত্র, আর সেই প্রিয় মানুষটিকে ফিরে পাওয়ার আশায় অনশনে বসেছেন প্রেমিকা রাদিয়া সিদ্দিকা। মনোবল হারিয়ে আত্নহত্যার চেষ্ঠাও করেছেন তিনি। অনশনের পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও হাল ছাড়েনি সেই রাদিয়া। এবার এমন প্রতারণার বিরুদ্ধে রাদিয়ার পাশে দাড়িয়েছে ছেলের গ্রামের হাজারো মানুষ।
লালমনিরহাটের হারাটি ইউনিয়নের ফাতাংটারী গ্রামের নুরুল আমীনের ছেলে মেহেদী হাসান আর পাশের গ্রামের মেয়ে রাদিয়া সিদ্দিকা ২০১৬ সালে স্কুলজীবনে শুরু হয়েছিল তাদের প্রেম। সময় গড়িয়েছে, কিন্তু গভীরতা বেড়েছে প্রতিদিন। তবে রাদিয়া ভালবাসার মানুষের বিয়ের তিন দিন পর খবর পেয়ে টানা ০৫ দিন ধরে অবস্থান করছেন মেহেদীর বাড়িতে।
সোমবার দুপুর থেকে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন কলেজ ছাত্রী রাদিয়া সিদ্দিকা। দীর্ঘ পাঁচ দিন ধরে অনশন চালিয়ে গেলেও খোঁজ মিলেনি ভালবাসার সেই মানুষের। তাই গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে অসহায় রাদিয়ার পাশে দাড়িয়েছে এলাকাবাসী। মাইক নিয়ে ছেলের বাড়ির উঠানে বসে রীতিমতো স্লোগান ও দিয়ে যাচ্ছে হাজারো উৎসুক জনতা।
অনশনরত কলেজ ছাত্রী রাদিয়া সিদ্দিকা জানায়, পাঁচ দিন ধরে অনশন করেও কোন সুরহা পেলাম না বরং মেহেদী ভাই ও পরিবারের স্বজনরা অনবরত গালাগালি করছে।
এলাকাবাসী জানায়,দুজনের ভালোবাসার কথা অনেকদিন ধরেই তারা জানতেন। দীর্ঘদিন ধরে ছেলের বাড়িতে অবস্থান করেও কোন সুরহা না পাওয়ায় আমরা এলাকাবাসী রাদিয়ার পাশে দাড়িয়েছি ও অনশনে নেমে পড়েছি। এসময় তারা জানায়, রাদিয়া সিদ্দিকা ন্যায় বিচার পাচ্ছেনা ও প্রতারণার শিকার হয়েছে। প্রয়োজনে সতিনের ঘরে সংসার করবে তবুও বিয়ে করতে হবে।
উল্লেখ,ভালবাসার পূর্ণতা দিতে যুগে যুগে নানা ইতিহাস ঘটলেও রাদিয়া সিদ্দিকার বেলায় ঘটেছে প্রেমের নির্মম পরিহাস। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সেই কলেজ ছাত্রী। তাই এলাকাবাসীর বাসির দাবি বিয়ে করে প্রেমের পূর্ণতা দেওয়া হোক অসহায় এই নারীকে।