ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ইচ্ছে পূরণ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo বিএনপি নেতা ফেরদৌস আলম মৃধা নিজস্ব অর্থায়নের বলদী গ্রামের বেহাল রাস্তা গুলো পূর্ণ সংস্কারের কাজ শুরু করেন Logo সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণ করে সিআইপি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া জসিম উদ্দিনকে সংবর্ধনা Logo মুরাদনগরে খামারগ্রাম প্রবাসী সংগঠনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দোয়া মাহফিল Logo বুড়িচং বাকশীমূল স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo খুলনায় যুবককে গুলি করে হত্যার চেষ্টা Logo সিলেট জেলা যুবদলের নেতা আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ Logo ফুলবাড়ীতে প্রি-পেইড মিটার বন্ধের দাবি Logo বরুড়ার দলুয়া তুলাগাও দাখিল মাদ্রাসার ৫৪ তম বার্ষিক বড় খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo ফুলবাড়ীতে কানাহার ডাঙ্গা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

ফুলে – ফলে ছেয়ে গেছে বাগেরহাট জেলার প্রতিটি বরই গাছ

অতনু চৌধুরী রাজু, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ ফুলে – ফলে ছেয়ে গেছে প্রতিটি বরই গাছ। এতে বহুগুণ বেড়ে গেছে গাছগুলোর সৌন্দর্য। বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলোয় এখন এ দৃশ্য চোখে পড়ে। বরই ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণে ঘ্রাণে মাতোয়ারা মৌমাছিরা। ছোটাছুটিও বেড়েছে মৌ-পিয়াসীদের। তাদের গুনগুন শব্দে মুখর চারপাশ। মধু সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে মৌমাছিরা।

টক-মিষ্টি স্বাদের বরই নারী-পুরুষ সবারই পছন্দ। এটি ‘কুল’ নামেও পরিচিত। যে নামেই সম্বোধন করা হোক না কেন সবার পছন্দের ফল এটি।

সাধারণত বছরের অক্টোবর মাসে বরই গাছে ফুল আসে। ফল ধরতে শুরু করে নভেম্বরের শেষের দিকে। ফল পাকা শুরু হয় ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির শুরুতে। এ সময় কাঁচাপাকা বরইয়ে ভরে যায় প্রতিটি গাছ। ছোট-বড় সবাই বরই খেতে ছুটে আসে বরই গাছতলায়। মার্চ মাস পর্যন্ত এ ফল পাওয়া যায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার রামপাল, মোংলা, বেতাগা, ফকিরহাট, মোড়লগঞ্জ বাগান থেকে শুরু করে বাড়ির আঙিনার বরই গাছগুলো ফুলে – ফলে ছেয়ে গেছে। নাকফুলের মতো দেখতে বরই ফুলের রাজ্যে এখন পিঁপড়াদের দৌড়াদৌড়ি আর মৌমাছিদের আনাগোনা বেড়েছে।

দেশি বরই ছাড়াও কাশ্মিরি কুল ও আপেল কুলের বাগান রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। কাশ্মিরি কুলের বাগান করেছেন মোংলা উপজেলা মিঠাখালী ইউনিয়েন বাসিন্দা অলোক মন্ডল।

তিনি জানান, বরই আমার অত্যন্ত পছন্দের ফল। সেই জন্যই কাশ্মিরি কুলের বাগান করেছি। ফুল এসেছে পর্যাপ্ত। আশা করি ভালো ফলন পাব।

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের দওেরমেঠ গ্রামের বাসিন্দা অচিন্ত চৌধুরীর বাড়ির আঙিনায় রয়েছে ৩টি দেশি বরই গাছ। প্রতিটি বরই গাছে শোভা পাচ্ছে ফুল ও ফল।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, মোংলা উপজেলায় প্রায় দুই হেক্টর জমিতে বরই চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে ১ হেক্টর জমিতে কাশ্মিরি কুল বাগান রয়েছে।

তিনি আরও জানান, বরই চাষে তুলনামূলক খরচ কম। কম খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায়। প্রতি জমিতে বরই গাছ লাগিয়ে বাড়তি আয় করা সম্ভব।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইচ্ছে পূরণ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

SBN

SBN

ফুলে – ফলে ছেয়ে গেছে বাগেরহাট জেলার প্রতিটি বরই গাছ

আপডেট সময় ০৭:৩৩:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

অতনু চৌধুরী রাজু, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ ফুলে – ফলে ছেয়ে গেছে প্রতিটি বরই গাছ। এতে বহুগুণ বেড়ে গেছে গাছগুলোর সৌন্দর্য। বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলোয় এখন এ দৃশ্য চোখে পড়ে। বরই ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণে ঘ্রাণে মাতোয়ারা মৌমাছিরা। ছোটাছুটিও বেড়েছে মৌ-পিয়াসীদের। তাদের গুনগুন শব্দে মুখর চারপাশ। মধু সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে মৌমাছিরা।

টক-মিষ্টি স্বাদের বরই নারী-পুরুষ সবারই পছন্দ। এটি ‘কুল’ নামেও পরিচিত। যে নামেই সম্বোধন করা হোক না কেন সবার পছন্দের ফল এটি।

সাধারণত বছরের অক্টোবর মাসে বরই গাছে ফুল আসে। ফল ধরতে শুরু করে নভেম্বরের শেষের দিকে। ফল পাকা শুরু হয় ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির শুরুতে। এ সময় কাঁচাপাকা বরইয়ে ভরে যায় প্রতিটি গাছ। ছোট-বড় সবাই বরই খেতে ছুটে আসে বরই গাছতলায়। মার্চ মাস পর্যন্ত এ ফল পাওয়া যায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার রামপাল, মোংলা, বেতাগা, ফকিরহাট, মোড়লগঞ্জ বাগান থেকে শুরু করে বাড়ির আঙিনার বরই গাছগুলো ফুলে – ফলে ছেয়ে গেছে। নাকফুলের মতো দেখতে বরই ফুলের রাজ্যে এখন পিঁপড়াদের দৌড়াদৌড়ি আর মৌমাছিদের আনাগোনা বেড়েছে।

দেশি বরই ছাড়াও কাশ্মিরি কুল ও আপেল কুলের বাগান রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। কাশ্মিরি কুলের বাগান করেছেন মোংলা উপজেলা মিঠাখালী ইউনিয়েন বাসিন্দা অলোক মন্ডল।

তিনি জানান, বরই আমার অত্যন্ত পছন্দের ফল। সেই জন্যই কাশ্মিরি কুলের বাগান করেছি। ফুল এসেছে পর্যাপ্ত। আশা করি ভালো ফলন পাব।

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের দওেরমেঠ গ্রামের বাসিন্দা অচিন্ত চৌধুরীর বাড়ির আঙিনায় রয়েছে ৩টি দেশি বরই গাছ। প্রতিটি বরই গাছে শোভা পাচ্ছে ফুল ও ফল।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, মোংলা উপজেলায় প্রায় দুই হেক্টর জমিতে বরই চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে ১ হেক্টর জমিতে কাশ্মিরি কুল বাগান রয়েছে।

তিনি আরও জানান, বরই চাষে তুলনামূলক খরচ কম। কম খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায়। প্রতি জমিতে বরই গাছ লাগিয়ে বাড়তি আয় করা সম্ভব।