মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 
মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু
ষ্টাফ রিপোর্টার, ফেনী
ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) ফেনী মডেল থানায় পিপলুর বিরুদ্ধে একটি ‘ধর্ষ’ণের মামলা দায়ের করেছেন। মামলার দায়েরের পর ফেনী মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
পিপলু ফেনী পৌরসভার মাস্টার পাড়ার মৃত অমর বিন্দু মজুমদারের ছেলে। সে ফেনী কোর্টের একজন আইনজীবী ও ফেনী পৌর ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা।
এছাড়াও সে ফেনী জজ কোর্টের বিজ্ঞ জিপি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রিয়রঞ্জন দত্তের বোনের ছেলে।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী বিএসএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, তার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি ওই নারীর সাথে পিপলুর সামাজিক যোগাযোগ এফবি-র মাধ্যমে পরিচয় হয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।সে নিজেকে মুসলিম পরিচয় দেয়া ছাড়াও ব্যাংকে চাকরি করে বলে জানান।
বিগত ৩ অক্টোবর ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে এনে ফেনী শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের বিরিঞ্চি আতিকুল আলম সড়কের কাজী মঞ্জিলে উঠে সেখানে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে পিপলু হি’ন্দু জানতে পারে ওই নারী। বিষয়টি তার পরিবারের মাধ্যমে পুলিশকে জানালে ফেনী মডেল থানা পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং পিপলুকে গ্রেফতার করেছে।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ধর্ষণের মামলায় তাকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
