ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রূপসায় ওয়ার্ড কৃষক দলের আনন্দ মিছিল ও পথসভা Logo লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার, হাতীবান্ধায় আটক-২ Logo রূপসায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় দ্বিতীয় দিনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo আমাদের উচিৎ বন্ধুত্ব লালন করা : যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সি চিন পিং Logo চীনের অভূতপূর্ব সাফল্য বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেছে :‘ওয়াকিং ইন চায়না’ ইভেন্ট Logo সিএমজি রাশিয়া-চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক সেতু তৈরি করেছে Logo মস্কোর ক্রেমলিনে সি-পুতিন বৈঠক Logo মায়ানমারে পাচারকালে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ ৬ পাচারকারী আটক Logo পলাশবাড়ী এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ Logo কুমিল্লায় জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ফেনীতে পুলিশ দম্পতিকে অপহরণ, আটক ৩

মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু
ষ্টাফ রিপোর্টার, ফেনী

ফেনীর মহিপাল থেকে স্ত্রীসহ পুলিশ সদস্যকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সুপার জাকির হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বরগুনার বালিয়াতলী ইউনিয়নের ছোট তালতলী এলাকার লতিফ মিয়ার ছেলে মো. চাঁন মিয়া (৫০), বড়বগি ইউনিয়নের রিতুল বাড়িয়া এলাকার জব্বার হাওলাদারের ছেলে হেকিম হাওলাদার (৪০) ও বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার বোদারপুর ইউনিয়নের জামাল হোসেন খানের ছেলে মকিবুল হাসান (৩০)।

অপহরণের শিকার ওই দম্পতির বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায়। পুলিশে চাকরির কারণে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানায় বসবাস করেন তারা।

পুলিশ সুপার জানান, ২৮ আগস্ট ওই দম্পতি চট্টগ্রাম যেতে মহিপালে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় তাদের একটি চক্র কৌশলে মাইক্রোবাসে ওঠায়। পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপোল পৌঁছানোর পর তাদের গামছা দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তখন এ দম্পতির কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। তাৎক্ষণিক পকেটে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা, ৪২ হাজার টাকা মূল্যের দুটি মোবাইল, ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের একজোড়া কানের দুল হাতিয়ে নেয়।

একপর্যায়ে তারা ওই পুলিশ সদস্যকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে আরও এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। নির্যাতনের মুখে বিকাশের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা এনে দেওয়ায় রাত ১০টার দিকে লালপোল এলাকায় দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পথচারীদের সহায়তায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন তারা।

এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যের স্ত্রী হনুফা বেগম বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটির রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় তিনজনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপসায় ওয়ার্ড কৃষক দলের আনন্দ মিছিল ও পথসভা

SBN

SBN

ফেনীতে পুলিশ দম্পতিকে অপহরণ, আটক ৩

আপডেট সময় ০৪:০৬:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু
ষ্টাফ রিপোর্টার, ফেনী

ফেনীর মহিপাল থেকে স্ত্রীসহ পুলিশ সদস্যকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সুপার জাকির হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বরগুনার বালিয়াতলী ইউনিয়নের ছোট তালতলী এলাকার লতিফ মিয়ার ছেলে মো. চাঁন মিয়া (৫০), বড়বগি ইউনিয়নের রিতুল বাড়িয়া এলাকার জব্বার হাওলাদারের ছেলে হেকিম হাওলাদার (৪০) ও বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার বোদারপুর ইউনিয়নের জামাল হোসেন খানের ছেলে মকিবুল হাসান (৩০)।

অপহরণের শিকার ওই দম্পতির বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায়। পুলিশে চাকরির কারণে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানায় বসবাস করেন তারা।

পুলিশ সুপার জানান, ২৮ আগস্ট ওই দম্পতি চট্টগ্রাম যেতে মহিপালে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় তাদের একটি চক্র কৌশলে মাইক্রোবাসে ওঠায়। পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপোল পৌঁছানোর পর তাদের গামছা দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তখন এ দম্পতির কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। তাৎক্ষণিক পকেটে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা, ৪২ হাজার টাকা মূল্যের দুটি মোবাইল, ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের একজোড়া কানের দুল হাতিয়ে নেয়।

একপর্যায়ে তারা ওই পুলিশ সদস্যকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে আরও এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। নির্যাতনের মুখে বিকাশের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা এনে দেওয়ায় রাত ১০টার দিকে লালপোল এলাকায় দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পথচারীদের সহায়তায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন তারা।

এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যের স্ত্রী হনুফা বেগম বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটির রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় তিনজনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।