ঢাকা ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ‎বরুড়া পৌর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অবশিষ্ট টিন নিয়ে গেলো শিক্ষা অফিস Logo নীলফামারীতে শীতবস্ত্র ও রুম হিটার বিতরণ Logo কালীগঞ্জে বিএনপি সহ তিন দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ Logo সুনামগঞ্জে বিপুল পরিমান ভারতীয় জিরা এবং ফুসকা জব্দ Logo ওসমান হাদীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় ডিমলায় জামায়াত ইসলামীর দোয়া অনুষ্ঠান Logo খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার ১৫২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প Logo চীনের অর্থনীতিতে পরিষেবা খাতের জয়যাত্রা Logo হাইনান বন্দর বিশ্ব বাণিজ্যকে এগিয়ে নেবে Logo সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত Logo পাকুন্দিয়ায় গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী পলাতক

ফেনীতে প্রকাশ্যে গুলি চালানো ভাইরাল অস্ত্রধারীরা ৩ দিনেও অধরা

মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু, ফেনী

ফেনীতে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার তিন দিনেও অধরা জড়িতরা। উদ্ধার হয়নি ওসব অস্ত্রও। এঘটনায় জনমনে আতংক ছড়িয়ে পড়লেও পুলিশ বলছে, তারা কাউকে শনাক্তই করতে পারেনি।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুলি ছোড়ার ভিডিওটি তারা দেখেছেন। অস্ত্রধারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

তার দাবি, গত মঙ্গলবার রাতে ফেনী শহরের বড় মসজিদের পাশে আসলে কী ঘটেছিল,পুলিশ তা বিস্তারিত জানতে পারেনি। পুলিশ এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছে। কারা সেদিন রাতে হামলা করেছে এবং অস্ত্রধারী কারা শনাক্ত করতে পারলে তারা যে দলের হোক আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে ফেনী জেলা ছাত্রদলের দাবি, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) তাদের মিছিলে এ হামলা হয়েছিল। অস্ত্রধারীরা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মী। তবে গুলি ছোড়ার কথা অস্বীকার করেছে সরকারি দলের এ দুটি সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, সাত থেকে আটজনের একটি দল। তাদের মধ্যে দুজনের হাতে শটগান। বাকিদের হাতে হকিস্টিক ও দেশীয় অন্যান্য অস্ত্র। হঠাৎ একটি দোকানের সামনে জড়ো হয় তারা। এর মধ্যে শটগান হাতে থাকা দুই সন্ত্রাসী পরপর কয়েকটি গুলি ছুড়ে আবার ফিরে যান। গুলি ছুড়তে থাকা দুজনের মধ্যে একজনের মাথায় হেলমেট ও অন্যজনের গলায় মাফলার প্যাঁচানো ছিল।

ফেনী পৌর বিএনপির সদস্যসচিব মেসবা উদ্দিন ভূঁইয়ার অভিযোগ, গামছা পরা যুবলীগ নেতা বাবলু (বালিগাঁও) প্রকাশ্যে শটগান হাতে মহড়া দিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছোড়েন।

ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম বলেন, অবরোধের সমর্থনে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বের করা সরকার বিরোধী মিছিলটি শহরের তাকিয়া রোড় হয়ে ট্রাংক রোড়ের বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করে গুলি ছুড়তে থাকেন।এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং মিছিলে অংশ নেওয়া দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত আরও ১০ জন কর্মী আহত হন। তবে, তিনি আহত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, তাদের চিকিৎসা করাও কঠিন। নাম জানালেই পুলিশ সবাইকে মামলায় জড়িয়ে দেবে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহম্মদ তফু হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন, এ বিষয় তারা কিছুই জানেন না। অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট।

জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভূঁঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির বলেন,ওই দিন (মঙ্গলবার) দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হলেও যুবলীগ-ছাত্রলীগ কোনো অস্ত্র ব্যবহার করেনি। কারণ আমাদের কাছে কোনো অস্ত্র নেই।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎বরুড়া পৌর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অবশিষ্ট টিন নিয়ে গেলো শিক্ষা অফিস

SBN

SBN

ফেনীতে প্রকাশ্যে গুলি চালানো ভাইরাল অস্ত্রধারীরা ৩ দিনেও অধরা

আপডেট সময় ১১:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু, ফেনী

ফেনীতে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার তিন দিনেও অধরা জড়িতরা। উদ্ধার হয়নি ওসব অস্ত্রও। এঘটনায় জনমনে আতংক ছড়িয়ে পড়লেও পুলিশ বলছে, তারা কাউকে শনাক্তই করতে পারেনি।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুলি ছোড়ার ভিডিওটি তারা দেখেছেন। অস্ত্রধারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

তার দাবি, গত মঙ্গলবার রাতে ফেনী শহরের বড় মসজিদের পাশে আসলে কী ঘটেছিল,পুলিশ তা বিস্তারিত জানতে পারেনি। পুলিশ এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছে। কারা সেদিন রাতে হামলা করেছে এবং অস্ত্রধারী কারা শনাক্ত করতে পারলে তারা যে দলের হোক আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে ফেনী জেলা ছাত্রদলের দাবি, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) তাদের মিছিলে এ হামলা হয়েছিল। অস্ত্রধারীরা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মী। তবে গুলি ছোড়ার কথা অস্বীকার করেছে সরকারি দলের এ দুটি সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, সাত থেকে আটজনের একটি দল। তাদের মধ্যে দুজনের হাতে শটগান। বাকিদের হাতে হকিস্টিক ও দেশীয় অন্যান্য অস্ত্র। হঠাৎ একটি দোকানের সামনে জড়ো হয় তারা। এর মধ্যে শটগান হাতে থাকা দুই সন্ত্রাসী পরপর কয়েকটি গুলি ছুড়ে আবার ফিরে যান। গুলি ছুড়তে থাকা দুজনের মধ্যে একজনের মাথায় হেলমেট ও অন্যজনের গলায় মাফলার প্যাঁচানো ছিল।

ফেনী পৌর বিএনপির সদস্যসচিব মেসবা উদ্দিন ভূঁইয়ার অভিযোগ, গামছা পরা যুবলীগ নেতা বাবলু (বালিগাঁও) প্রকাশ্যে শটগান হাতে মহড়া দিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছোড়েন।

ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম বলেন, অবরোধের সমর্থনে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বের করা সরকার বিরোধী মিছিলটি শহরের তাকিয়া রোড় হয়ে ট্রাংক রোড়ের বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করে গুলি ছুড়তে থাকেন।এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং মিছিলে অংশ নেওয়া দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত আরও ১০ জন কর্মী আহত হন। তবে, তিনি আহত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, তাদের চিকিৎসা করাও কঠিন। নাম জানালেই পুলিশ সবাইকে মামলায় জড়িয়ে দেবে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহম্মদ তফু হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন, এ বিষয় তারা কিছুই জানেন না। অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট।

জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভূঁঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির বলেন,ওই দিন (মঙ্গলবার) দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হলেও যুবলীগ-ছাত্রলীগ কোনো অস্ত্র ব্যবহার করেনি। কারণ আমাদের কাছে কোনো অস্ত্র নেই।