ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পবায় প্রসবের পর মায়ের মৃত্যু, সন্তানের দায়িত্ব নিলেন চেয়ারম্যান Logo গাইবান্ধায় অনলাইন ক্যাসিনোর বিষাক্ত থাবা: ঋণে ডুবে পরিবার ছাড়ছে মানুষ Logo শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি ও দাঁত ভাঙার ঘটনায় মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ -শেরপুর সীমান্তে ৫ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল ও মাদক জব্দ Logo গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড Logo চান্দিনায় গরুবাহী ট্রাক ছিনতাই; দুই থানায় ধাক্কা-ধাক্কি Logo প্রতিহিংসা নয় প্রতিযোগিতা, রাজনীতি হোক ঐক্য ভিত্তিক Logo ডানপন্থী উসকানির বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি বেইজিংয়ের Logo তাইওয়ান নিয়ে জাপান সরকারের নীতি প্রশ্নবিদ্ধ Logo রাজশাহীর জজ পরিবারের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় আইনজীবীদের মানববন্ধন

বগুড়ার কুখ্যাত সন্ত্রাসী নুরুজ্জামানের ছায়াসঙ্গী সোহাগের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

মোনায়েম মন্ডল

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুর্ধর্ষ ক্যাডার নুরুজ্জামান শাহজাহানপুরে অপরাধ জগতের দুর্গ গড়ে তোলে। তার এই অপরাধের রাজ্য এমনটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠে। মাদক ব্যবসা, মাদক সিন্ডিকেট, জমি দখল, সাধারণ মানুষের উপর জুলুমসহ এমন কোন অপরাধ ছিল না নুরুজ্জামান বাহিনীর তা পরিচালনা করত না।

তৎকালীন সময় এমনই ঘটনার প্রেক্ষিতে শাজাহানপুর থানায় হামলার পরিচালনাও করে এই নুরুজ্জামান বাহিনী। তারাই অন্যতম সহযোগী সোহাগ, মিজান ও কাশেম। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতন হলেও শাজাহানপুর এলাকায় এই সোহাগ বাহিনী দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শাহজাহানপুর বি-ব্লকের সোহাগ, মিজান এবং পিতা কাশেম নুরুজ্জামানের ছায়াসঙ্গী হিসেবে এখনো বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চাঁদাবাজি ও বাড়ি দখলের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
বগুড়ার শাহজাহানপুরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী নুরুজ্জামানের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত সোহাগ হোসেনকে ঘিরে একের পর এক অপরাধের অভিযোগ উঠে আসছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শাজাহানপুর থানায় হামলার ঘটনায় সোহাগের নাম ছিল অন্যতম আসামিদের তালিকায়।

অভিযোগ রয়েছে, সোহাগ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও নির্যাতনসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সোহাগ ও তার বাবা কাশেম বি-ব্লক বাজারে নুরুজ্জামানের ছত্রছায়ায় একটি ক্লাব গড়ে তোলেন তারা। ক্লাবটি ছিল একপ্রকার ‘অপরাধের আখড়া’। এখানে সাধারণ মানুষকে চাঁদা না দিলে ধরে এনে মারধর ও নির্যাতন করা হতো।

সেইসাথে আশপাশের বাসিন্দাদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করা হতো। ওই ক্লাব থেকেই মাদক ব্যবসা ও রাজনৈতিক তৎপরতার নির্দেশনা দেওয়া হতো বলে স্থানীয়দের মতে। এছাড়াও, জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার উদ্দেশ্যে সোহাগ ও তার সহযোগীরা গোপনে প্রস্তুতি নিয়েছিলো ঐ ক্লাব ঘর থেকে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। শাজাহানপুর থানায় তাদের পিতা পুত্রের নামে চাঁদাবাজি, থানায় হামলা এবং হত্যা মামলা রয়েছে। এদিকে, স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বর্তমানে সোহাগ ও তার সহযোগীরা নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে বিএনপি’র বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়া পেতে তারা নানা মহলের সাথে যোগাযোগ করছে বলে জানা যায়। এতে এলাকায় নতুন করে অশান্তির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাস।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পবায় প্রসবের পর মায়ের মৃত্যু, সন্তানের দায়িত্ব নিলেন চেয়ারম্যান

SBN

SBN

বগুড়ার কুখ্যাত সন্ত্রাসী নুরুজ্জামানের ছায়াসঙ্গী সোহাগের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

আপডেট সময় ১১:১৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

মোনায়েম মন্ডল

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুর্ধর্ষ ক্যাডার নুরুজ্জামান শাহজাহানপুরে অপরাধ জগতের দুর্গ গড়ে তোলে। তার এই অপরাধের রাজ্য এমনটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠে। মাদক ব্যবসা, মাদক সিন্ডিকেট, জমি দখল, সাধারণ মানুষের উপর জুলুমসহ এমন কোন অপরাধ ছিল না নুরুজ্জামান বাহিনীর তা পরিচালনা করত না।

তৎকালীন সময় এমনই ঘটনার প্রেক্ষিতে শাজাহানপুর থানায় হামলার পরিচালনাও করে এই নুরুজ্জামান বাহিনী। তারাই অন্যতম সহযোগী সোহাগ, মিজান ও কাশেম। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতন হলেও শাজাহানপুর এলাকায় এই সোহাগ বাহিনী দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শাহজাহানপুর বি-ব্লকের সোহাগ, মিজান এবং পিতা কাশেম নুরুজ্জামানের ছায়াসঙ্গী হিসেবে এখনো বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চাঁদাবাজি ও বাড়ি দখলের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
বগুড়ার শাহজাহানপুরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী নুরুজ্জামানের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত সোহাগ হোসেনকে ঘিরে একের পর এক অপরাধের অভিযোগ উঠে আসছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শাজাহানপুর থানায় হামলার ঘটনায় সোহাগের নাম ছিল অন্যতম আসামিদের তালিকায়।

অভিযোগ রয়েছে, সোহাগ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও নির্যাতনসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সোহাগ ও তার বাবা কাশেম বি-ব্লক বাজারে নুরুজ্জামানের ছত্রছায়ায় একটি ক্লাব গড়ে তোলেন তারা। ক্লাবটি ছিল একপ্রকার ‘অপরাধের আখড়া’। এখানে সাধারণ মানুষকে চাঁদা না দিলে ধরে এনে মারধর ও নির্যাতন করা হতো।

সেইসাথে আশপাশের বাসিন্দাদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করা হতো। ওই ক্লাব থেকেই মাদক ব্যবসা ও রাজনৈতিক তৎপরতার নির্দেশনা দেওয়া হতো বলে স্থানীয়দের মতে। এছাড়াও, জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার উদ্দেশ্যে সোহাগ ও তার সহযোগীরা গোপনে প্রস্তুতি নিয়েছিলো ঐ ক্লাব ঘর থেকে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। শাজাহানপুর থানায় তাদের পিতা পুত্রের নামে চাঁদাবাজি, থানায় হামলা এবং হত্যা মামলা রয়েছে। এদিকে, স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বর্তমানে সোহাগ ও তার সহযোগীরা নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে বিএনপি’র বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়া পেতে তারা নানা মহলের সাথে যোগাযোগ করছে বলে জানা যায়। এতে এলাকায় নতুন করে অশান্তির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাস।