ঢাকা ০৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হারিয়ে যাওয়া ৭ শিশুকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলো ট্যুরিস্ট পুলিশ Logo মোড়েলগঞ্জে ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ Logo ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়ের উপ পরিচালকের অপসারণের দাবিতে মশাল মিছিল Logo কটিয়াদীতে শিক্ষার্থী জিদনী হত্যাকাণ্ডের ১২ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কোনো আসামি Logo সিএমজি’র প্রদর্শনীর লক্ষ্য চীন-মধ্য এশিয়া সম্মেলনের ফলাফল বাস্তবায়ন করা Logo সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশের অনুমতির দাবিতে মানববন্ধন Logo রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবক নিহত Logo শেরপুর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ লিখন মিয়া Logo গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন Logo কুমিল্লায় ইমপেরিয়াল হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

বগুড়ার কুখ্যাত সন্ত্রাসী নুরুজ্জামানের ছায়াসঙ্গী সোহাগের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

মোনায়েম মন্ডল

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুর্ধর্ষ ক্যাডার নুরুজ্জামান শাহজাহানপুরে অপরাধ জগতের দুর্গ গড়ে তোলে। তার এই অপরাধের রাজ্য এমনটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠে। মাদক ব্যবসা, মাদক সিন্ডিকেট, জমি দখল, সাধারণ মানুষের উপর জুলুমসহ এমন কোন অপরাধ ছিল না নুরুজ্জামান বাহিনীর তা পরিচালনা করত না।

তৎকালীন সময় এমনই ঘটনার প্রেক্ষিতে শাজাহানপুর থানায় হামলার পরিচালনাও করে এই নুরুজ্জামান বাহিনী। তারাই অন্যতম সহযোগী সোহাগ, মিজান ও কাশেম। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতন হলেও শাজাহানপুর এলাকায় এই সোহাগ বাহিনী দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শাহজাহানপুর বি-ব্লকের সোহাগ, মিজান এবং পিতা কাশেম নুরুজ্জামানের ছায়াসঙ্গী হিসেবে এখনো বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চাঁদাবাজি ও বাড়ি দখলের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
বগুড়ার শাহজাহানপুরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী নুরুজ্জামানের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত সোহাগ হোসেনকে ঘিরে একের পর এক অপরাধের অভিযোগ উঠে আসছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শাজাহানপুর থানায় হামলার ঘটনায় সোহাগের নাম ছিল অন্যতম আসামিদের তালিকায়।

অভিযোগ রয়েছে, সোহাগ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও নির্যাতনসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সোহাগ ও তার বাবা কাশেম বি-ব্লক বাজারে নুরুজ্জামানের ছত্রছায়ায় একটি ক্লাব গড়ে তোলেন তারা। ক্লাবটি ছিল একপ্রকার ‘অপরাধের আখড়া’। এখানে সাধারণ মানুষকে চাঁদা না দিলে ধরে এনে মারধর ও নির্যাতন করা হতো।

সেইসাথে আশপাশের বাসিন্দাদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করা হতো। ওই ক্লাব থেকেই মাদক ব্যবসা ও রাজনৈতিক তৎপরতার নির্দেশনা দেওয়া হতো বলে স্থানীয়দের মতে। এছাড়াও, জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার উদ্দেশ্যে সোহাগ ও তার সহযোগীরা গোপনে প্রস্তুতি নিয়েছিলো ঐ ক্লাব ঘর থেকে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। শাজাহানপুর থানায় তাদের পিতা পুত্রের নামে চাঁদাবাজি, থানায় হামলা এবং হত্যা মামলা রয়েছে। এদিকে, স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বর্তমানে সোহাগ ও তার সহযোগীরা নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে বিএনপি’র বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়া পেতে তারা নানা মহলের সাথে যোগাযোগ করছে বলে জানা যায়। এতে এলাকায় নতুন করে অশান্তির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাস।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হারিয়ে যাওয়া ৭ শিশুকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলো ট্যুরিস্ট পুলিশ

SBN

SBN

বগুড়ার কুখ্যাত সন্ত্রাসী নুরুজ্জামানের ছায়াসঙ্গী সোহাগের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

আপডেট সময় ১১:১৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

মোনায়েম মন্ডল

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুর্ধর্ষ ক্যাডার নুরুজ্জামান শাহজাহানপুরে অপরাধ জগতের দুর্গ গড়ে তোলে। তার এই অপরাধের রাজ্য এমনটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠে। মাদক ব্যবসা, মাদক সিন্ডিকেট, জমি দখল, সাধারণ মানুষের উপর জুলুমসহ এমন কোন অপরাধ ছিল না নুরুজ্জামান বাহিনীর তা পরিচালনা করত না।

তৎকালীন সময় এমনই ঘটনার প্রেক্ষিতে শাজাহানপুর থানায় হামলার পরিচালনাও করে এই নুরুজ্জামান বাহিনী। তারাই অন্যতম সহযোগী সোহাগ, মিজান ও কাশেম। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতন হলেও শাজাহানপুর এলাকায় এই সোহাগ বাহিনী দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শাহজাহানপুর বি-ব্লকের সোহাগ, মিজান এবং পিতা কাশেম নুরুজ্জামানের ছায়াসঙ্গী হিসেবে এখনো বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চাঁদাবাজি ও বাড়ি দখলের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
বগুড়ার শাহজাহানপুরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী নুরুজ্জামানের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত সোহাগ হোসেনকে ঘিরে একের পর এক অপরাধের অভিযোগ উঠে আসছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শাজাহানপুর থানায় হামলার ঘটনায় সোহাগের নাম ছিল অন্যতম আসামিদের তালিকায়।

অভিযোগ রয়েছে, সোহাগ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও নির্যাতনসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সোহাগ ও তার বাবা কাশেম বি-ব্লক বাজারে নুরুজ্জামানের ছত্রছায়ায় একটি ক্লাব গড়ে তোলেন তারা। ক্লাবটি ছিল একপ্রকার ‘অপরাধের আখড়া’। এখানে সাধারণ মানুষকে চাঁদা না দিলে ধরে এনে মারধর ও নির্যাতন করা হতো।

সেইসাথে আশপাশের বাসিন্দাদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করা হতো। ওই ক্লাব থেকেই মাদক ব্যবসা ও রাজনৈতিক তৎপরতার নির্দেশনা দেওয়া হতো বলে স্থানীয়দের মতে। এছাড়াও, জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার উদ্দেশ্যে সোহাগ ও তার সহযোগীরা গোপনে প্রস্তুতি নিয়েছিলো ঐ ক্লাব ঘর থেকে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। শাজাহানপুর থানায় তাদের পিতা পুত্রের নামে চাঁদাবাজি, থানায় হামলা এবং হত্যা মামলা রয়েছে। এদিকে, স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বর্তমানে সোহাগ ও তার সহযোগীরা নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে বিএনপি’র বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়া পেতে তারা নানা মহলের সাথে যোগাযোগ করছে বলে জানা যায়। এতে এলাকায় নতুন করে অশান্তির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাস।