ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কালীগঞ্জে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নায়েব আলী’র মৃত্যু Logo ইচ্ছে পূরণ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo বিএনপি নেতা ফেরদৌস আলম মৃধা নিজস্ব অর্থায়নের বলদী গ্রামের বেহাল রাস্তা গুলো পূর্ণ সংস্কারের কাজ শুরু করেন Logo সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণ করে সিআইপি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া জসিম উদ্দিনকে সংবর্ধনা Logo মুরাদনগরে খামারগ্রাম প্রবাসী সংগঠনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দোয়া মাহফিল Logo বুড়িচং বাকশীমূল স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo খুলনায় যুবককে গুলি করে হত্যার চেষ্টা Logo সিলেট জেলা যুবদলের নেতা আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ Logo ফুলবাড়ীতে প্রি-পেইড মিটার বন্ধের দাবি Logo বরুড়ার দলুয়া তুলাগাও দাখিল মাদ্রাসার ৫৪ তম বার্ষিক বড় খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টারঃ বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বিকেলে “স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির ঐক্য” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, এস. এম লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, রেহান সোবহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও চেয়ারম্যান, টেলিভিশন ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ বুদ্ধিজীবী সন্তান প্রকৌশলী রবিউল আফতাব, অনল রায়হান, লেখক কলামিস্ট অজিত কুমার সরকার ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শফিকুর রহমান এমপি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, এ্যাড. আব্দুস সালাম পিপি, সাংগঠনিক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ প্রমুখ।
ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, বিএনপি-আওয়ামী লীগ সরকারের তুলনামূলক বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও ধ্বংসের ইতিহাস গড়েছে। আর আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী- উন্নয়ন, গণতন্ত্রের রক্ষা কবজ আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে পরিচালিত করছেন।
জহির রায়হানের সন্তান অনল রায়হান বলেন, দেশকে নেতৃত্বশূন্য, মেধাশূন্য করতে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী স্বাধীনতার উষালগ্নে বাংলাদেশের সেরা সেরা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। যা ছিল অত্যন্ত দুঃখ জনক। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্ন পুরণ আজও হয়নি। স্বাধীনতার মূল চেতনা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও সংবিধানের মূল চার নীতিকে খুনী জিয়াউর রহমান ও স্বৈরাচারী এরশাদ কলঙ্কিত করেছেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান প্রকৌশলী রবিউল আফতাব বলেন, ১৯৭১ সালে আমার বয়স ৬ বছর ছিল। স্মৃতিতে অল্প অল্প ভাসে, পাক বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা। কিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পিতাসহ বুদ্ধিজীবী শিক্ষকদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
শফিকুর রহমান এমপি বলেন, শুধু উন্নয়ন হলেই ভোট পাওয়া যায় না, ২০০১ সালে নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়েছে। জনগণের কাছে নম্রভাবে, বিনয়ীভাবে মিশতে হবে।
ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। তার বিকল্প কেউ নেই। আব্দুস সালাম বলেন, শেখ হাসিনার গতিশীল ও দক্ষ নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোলমডেল। আগামী নির্বাচনে যোগ্য ও দক্ষ, ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন হলে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
কলামিস্ট অজিত কুমার সরকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির ঐক্য একান্ত দরকার। আর বাংলাদেশে ডিজিটাল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিএনপি ও জামাত জোট এই ডিজিটাল পদ্ধতি ও সুযোগ ব্যবহার করে তারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে লিপ্ত আছে।
অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান সরকার কল্যাণকামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। যেভাবে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দলগুলো আস্ফালন দেখাচ্ছে, তাদের ধ্বংসলীলা থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে হলে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ২৫ মার্চ ১৯৭১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাক হানাদার বাহিনী ও তার দোষররা এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের যুদ্ধ শুরু হলো। সবাই দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
সভার শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রাণপুরুষ ও সভাপতি প্রয়াত ডা. এস এ মালেকের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কালীগঞ্জে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নায়েব আলী’র মৃত্যু

SBN

SBN

বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন

আপডেট সময় ১২:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টারঃ বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বিকেলে “স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির ঐক্য” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, এস. এম লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, রেহান সোবহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও চেয়ারম্যান, টেলিভিশন ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ বুদ্ধিজীবী সন্তান প্রকৌশলী রবিউল আফতাব, অনল রায়হান, লেখক কলামিস্ট অজিত কুমার সরকার ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শফিকুর রহমান এমপি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, এ্যাড. আব্দুস সালাম পিপি, সাংগঠনিক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ প্রমুখ।
ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, বিএনপি-আওয়ামী লীগ সরকারের তুলনামূলক বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও ধ্বংসের ইতিহাস গড়েছে। আর আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী- উন্নয়ন, গণতন্ত্রের রক্ষা কবজ আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে পরিচালিত করছেন।
জহির রায়হানের সন্তান অনল রায়হান বলেন, দেশকে নেতৃত্বশূন্য, মেধাশূন্য করতে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী স্বাধীনতার উষালগ্নে বাংলাদেশের সেরা সেরা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। যা ছিল অত্যন্ত দুঃখ জনক। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্ন পুরণ আজও হয়নি। স্বাধীনতার মূল চেতনা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও সংবিধানের মূল চার নীতিকে খুনী জিয়াউর রহমান ও স্বৈরাচারী এরশাদ কলঙ্কিত করেছেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান প্রকৌশলী রবিউল আফতাব বলেন, ১৯৭১ সালে আমার বয়স ৬ বছর ছিল। স্মৃতিতে অল্প অল্প ভাসে, পাক বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা। কিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পিতাসহ বুদ্ধিজীবী শিক্ষকদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
শফিকুর রহমান এমপি বলেন, শুধু উন্নয়ন হলেই ভোট পাওয়া যায় না, ২০০১ সালে নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়েছে। জনগণের কাছে নম্রভাবে, বিনয়ীভাবে মিশতে হবে।
ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। তার বিকল্প কেউ নেই। আব্দুস সালাম বলেন, শেখ হাসিনার গতিশীল ও দক্ষ নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোলমডেল। আগামী নির্বাচনে যোগ্য ও দক্ষ, ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন হলে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
কলামিস্ট অজিত কুমার সরকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির ঐক্য একান্ত দরকার। আর বাংলাদেশে ডিজিটাল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিএনপি ও জামাত জোট এই ডিজিটাল পদ্ধতি ও সুযোগ ব্যবহার করে তারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে লিপ্ত আছে।
অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান সরকার কল্যাণকামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। যেভাবে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দলগুলো আস্ফালন দেখাচ্ছে, তাদের ধ্বংসলীলা থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে হলে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ২৫ মার্চ ১৯৭১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাক হানাদার বাহিনী ও তার দোষররা এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের যুদ্ধ শুরু হলো। সবাই দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
সভার শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রাণপুরুষ ও সভাপতি প্রয়াত ডা. এস এ মালেকের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।