ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ড সুবিধায় আনা সুতা খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ খান ওয়্যার এক্সেসরিজ এর বিরুদ্ধে

এম.ডি.এন.মাইকেল

বন্ড সুবিধায় বিদেশ থেকে আনা সুতা খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে খান ওয়্যার এক্সেসরিজের বিরুদ্ধে।মোঃ ফয়সাল খান নামের জনৈক ব্যক্তির থানায় অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় দীর্ঘ প্রায় এক যুগের অধিক সময় ধরে খান ওয়্যার এক্সেসরিজ এর মালিক মোঃ শাহ আলম খান(৬০),পিতা মোঃ আমান উল্লাহ খান বন্ড সুবিধায় বিদেশ থেকে আনা সুতা বন্ড এর কতিপয় কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে খোলা বাজারে বিক্রি করে আসছে।থানায় অভিযোগের সূত্রে আরও জানা যায় বন্ড সুবিধায় আনা সুতা খোলা বাজারে বিক্রির সুবাদে খান ওয়্যার এক্সেসরিজ এর মালিক মোঃ শাহ আলম খান এর সাথে পরিচয় হয় মোঃ ফয়সাল খানের পরিচয় সূত্রে জনৈক ফয়সাল খান ৬৮০ কার্টুন বিদেশ থেকে বন্ড সুবিধায় আনা সুতা ক্রয়ের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা লেনদেন করেন শাহ আলম খান এর সাথে যাহা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।যদিও বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তির বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য অবৈধ মজুদ সরবরাহ খোলা বাজারে বিক্রি চোরাচালান বলে গন্য-এসব পন্য ঘোলা বাজারে বিক্রি রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণার শামীল।যা কাস্টমস আইন ১৯৬৯ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।অনুসন্ধানে আরও জানা যায় মূলত দুইভাবে বান্ডের পন্য খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।প্রথমতঃ অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে বন্ড লাইসেন্স খুলে পণ্য আমদানি করে তা খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।দ্বিতীয়তঃব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কাঁচামাল আমদানি করে আমদানি প্রাপ্যতা নির্ধারণী পদ্ধতির দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই এই কাজটি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা।এইভাবে আমদানি করা অতিরিক্ত কাঁচামাল তারা খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে।মাঝেমধ্যে দুই একটা বন্ড চালান বন্ড কর্মকর্তাদের অভিযানে ধরা পড়লেও বেশিরভাগি থেকে যায় আড়ালে।
এখানে আরো উল্লেখ থাকে যে গার্মেন্টস কারখানাগুলোর প্রয়োজনে বিদেশ থেকে সুতা আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। এখানেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত সুতা আমদানি হয়। তাছাড়া ৩০ কাউন্টের সুতার জায়গায় ৮০ কাউন্ট সুতা আমদানি করে। যার মূল্য প্রথমোক্ত কাউন্টের সুতার চেয়ে আড়াই গুণ বেশি। একদিকে শুল্কফাঁকি অন্যদিকে এ সুতা অধিক মূল্যে বাজারে বিক্রি করা হয়। সুতার অবৈধ চোরাচালানে বাজার সয়লাব।
দেশীয় সুতা বিক্রি হয় না, ফলে স্পিনিং মিল বন্ধ হচ্ছে। নজরদারি না থাকায় সুতার অবৈধ বাজার রমরমা। আমাদের দেশের একশ্রেণির ব্যবসায়ীর দেশপ্রেমের বিরাট ঘাটতি রয়েছে। কৃত অপরাধের জন্য মামলা হলে আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আবার আগের কাজের ফিরে যায়। আইনের মারপ্যাঁচে রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়,আবার সরকারি কর্তৃপক্ষ আইন বিষয়ে গাফিলতি বা অবহেলা করলে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়।উল্লিখিত অব্যবস্থা ও অনিয়ম দূর করতে না পারলে সরকারি রাজস্বের হাজার হাজার কোটি টাকা শুল্ককর অব্যাহতির কোনো সুফল তো পাওয়া যাবেই না বরং আরও করফাঁকি, রপ্তানি হ্রাস এমনকি ভুয়া রপ্তানি কিংবা রপ্তানিতথ্য গোপন করে মানি লন্ডারিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।খান ওয়্যার এক্সেসরিজ এর মালিক মো: শাহ আলম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ অভিযোগকারী জনৈক মোঃ ফয়সাল খান কে খান ওয়্যার এক্সেসরিজ এর মালিক মোহাম্মদ শাহ আলম খান এর মতিঝিল অফিসে এই প্রতিবেদক প্রশ্ন করেন বন্ড এর মাল খোলা বাজার থেকে ক্রয় করা অপরাধ নয় কি? উত্তরে ফয়সাল খান প্রতিবেদককে বলেন বন্ড সুবিধায় আনা সুতা যিনি আমার কাছে বিক্রি করছেন তিনি যদি অপরাধী হয়ে থাকেন তাহলে আমিও অপরাধী বিচারে আমার যে শাস্তি হবে আমি তা মাথা পেতে নেব।এ সময় উপস্থিত খান ওয়্যার এক্সেসরিজ এর মালিক মোঃ শাহ আলম খান বারবার এই প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন সাংবাদিক ভাই যা হওয়ার হয়ে গেছে থামেন থামেন।পরবর্তীতে মোঃ শাহ আলম খান এর মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হয় যে বন্ড সুবিধায় সুতা আমদানি করে তা খোলা বাজারে বিক্রি করার কোন বিধান আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন ভাই সংবাদ প্রকাশিত করে আমার ক্ষতি করবেন না তার চেয়ে ভালো আপনি আমার সাথে দেখা করেন এই বলে মুঠো বোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।বন্ড সুবিধায় আনা কাচামাল/সুতা খোলা বাজারে বিক্রির বিষয়ে ঢাকা বন্ড কমিশনার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বন্ডের অপব্যবহার রোধে বিজিএমইএ ও এক্সেসরিজ এসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।তিনি আরো বলেন বন্ড অনিয়মের আগের তালিকার বাইরে ও নতুন করে বন্ড অনিয়মের সাথে জড়িতদের আরেকটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।এমনকি যারাই বন্ড অনিয়ম এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অতীতের ন্যায় আগামীতেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ খান ওয়্যার এক্সেসরিজ বন্ড সুবিধায় আনা সুতা খোলা বাজারে বিক্রি সকল তথ্য ও প্রমাণ সংরক্ষিত)।
অনুসন্ধান চলমান

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বন্ড সুবিধায় আনা সুতা খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ খান ওয়্যার এক্সেসরিজ এর বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৬:৫৮:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

এম.ডি.এন.মাইকেল

বন্ড সুবিধায় বিদেশ থেকে আনা সুতা খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে খান ওয়্যার এক্সেসরিজের বিরুদ্ধে।মোঃ ফয়সাল খান নামের জনৈক ব্যক্তির থানায় অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় দীর্ঘ প্রায় এক যুগের অধিক সময় ধরে খান ওয়্যার এক্সেসরিজ এর মালিক মোঃ শাহ আলম খান(৬০),পিতা মোঃ আমান উল্লাহ খান বন্ড সুবিধায় বিদেশ থেকে আনা সুতা বন্ড এর কতিপয় কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে খোলা বাজারে বিক্রি করে আসছে।থানায় অভিযোগের সূত্রে আরও জানা যায় বন্ড সুবিধায় আনা সুতা খোলা বাজারে বিক্রির সুবাদে খান ওয়্যার এক্সেসরিজ এর মালিক মোঃ শাহ আলম খান এর সাথে পরিচয় হয় মোঃ ফয়সাল খানের পরিচয় সূত্রে জনৈক ফয়সাল খান ৬৮০ কার্টুন বিদেশ থেকে বন্ড সুবিধায় আনা সুতা ক্রয়ের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা লেনদেন করেন শাহ আলম খান এর সাথে যাহা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।যদিও বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তির বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য অবৈধ মজুদ সরবরাহ খোলা বাজারে বিক্রি চোরাচালান বলে গন্য-এসব পন্য ঘোলা বাজারে বিক্রি রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণার শামীল।যা কাস্টমস আইন ১৯৬৯ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।অনুসন্ধানে আরও জানা যায় মূলত দুইভাবে বান্ডের পন্য খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।প্রথমতঃ অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে বন্ড লাইসেন্স খুলে পণ্য আমদানি করে তা খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।দ্বিতীয়তঃব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কাঁচামাল আমদানি করে আমদানি প্রাপ্যতা নির্ধারণী পদ্ধতির দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই এই কাজটি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা।এইভাবে আমদানি করা অতিরিক্ত কাঁচামাল তারা খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে।মাঝেমধ্যে দুই একটা বন্ড চালান বন্ড কর্মকর্তাদের অভিযানে ধরা পড়লেও বেশিরভাগি থেকে যায় আড়ালে।
এখানে আরো উল্লেখ থাকে যে গার্মেন্টস কারখানাগুলোর প্রয়োজনে বিদেশ থেকে সুতা আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। এখানেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত সুতা আমদানি হয়। তাছাড়া ৩০ কাউন্টের সুতার জায়গায় ৮০ কাউন্ট সুতা আমদানি করে। যার মূল্য প্রথমোক্ত কাউন্টের সুতার চেয়ে আড়াই গুণ বেশি। একদিকে শুল্কফাঁকি অন্যদিকে এ সুতা অধিক মূল্যে বাজারে বিক্রি করা হয়। সুতার অবৈধ চোরাচালানে বাজার সয়লাব।
দেশীয় সুতা বিক্রি হয় না, ফলে স্পিনিং মিল বন্ধ হচ্ছে। নজরদারি না থাকায় সুতার অবৈধ বাজার রমরমা। আমাদের দেশের একশ্রেণির ব্যবসায়ীর দেশপ্রেমের বিরাট ঘাটতি রয়েছে। কৃত অপরাধের জন্য মামলা হলে আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আবার আগের কাজের ফিরে যায়। আইনের মারপ্যাঁচে রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়,আবার সরকারি কর্তৃপক্ষ আইন বিষয়ে গাফিলতি বা অবহেলা করলে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়।উল্লিখিত অব্যবস্থা ও অনিয়ম দূর করতে না পারলে সরকারি রাজস্বের হাজার হাজার কোটি টাকা শুল্ককর অব্যাহতির কোনো সুফল তো পাওয়া যাবেই না বরং আরও করফাঁকি, রপ্তানি হ্রাস এমনকি ভুয়া রপ্তানি কিংবা রপ্তানিতথ্য গোপন করে মানি লন্ডারিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।খান ওয়্যার এক্সেসরিজ এর মালিক মো: শাহ আলম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ অভিযোগকারী জনৈক মোঃ ফয়সাল খান কে খান ওয়্যার এক্সেসরিজ এর মালিক মোহাম্মদ শাহ আলম খান এর মতিঝিল অফিসে এই প্রতিবেদক প্রশ্ন করেন বন্ড এর মাল খোলা বাজার থেকে ক্রয় করা অপরাধ নয় কি? উত্তরে ফয়সাল খান প্রতিবেদককে বলেন বন্ড সুবিধায় আনা সুতা যিনি আমার কাছে বিক্রি করছেন তিনি যদি অপরাধী হয়ে থাকেন তাহলে আমিও অপরাধী বিচারে আমার যে শাস্তি হবে আমি তা মাথা পেতে নেব।এ সময় উপস্থিত খান ওয়্যার এক্সেসরিজ এর মালিক মোঃ শাহ আলম খান বারবার এই প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন সাংবাদিক ভাই যা হওয়ার হয়ে গেছে থামেন থামেন।পরবর্তীতে মোঃ শাহ আলম খান এর মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হয় যে বন্ড সুবিধায় সুতা আমদানি করে তা খোলা বাজারে বিক্রি করার কোন বিধান আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন ভাই সংবাদ প্রকাশিত করে আমার ক্ষতি করবেন না তার চেয়ে ভালো আপনি আমার সাথে দেখা করেন এই বলে মুঠো বোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।বন্ড সুবিধায় আনা কাচামাল/সুতা খোলা বাজারে বিক্রির বিষয়ে ঢাকা বন্ড কমিশনার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বন্ডের অপব্যবহার রোধে বিজিএমইএ ও এক্সেসরিজ এসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।তিনি আরো বলেন বন্ড অনিয়মের আগের তালিকার বাইরে ও নতুন করে বন্ড অনিয়মের সাথে জড়িতদের আরেকটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।এমনকি যারাই বন্ড অনিয়ম এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অতীতের ন্যায় আগামীতেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ খান ওয়্যার এক্সেসরিজ বন্ড সুবিধায় আনা সুতা খোলা বাজারে বিক্রি সকল তথ্য ও প্রমাণ সংরক্ষিত)।
অনুসন্ধান চলমান