ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বরগুনায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালিত

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস। আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আয়োজন করা হয় নানা কর্মসূচি।

সকালে বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শুরু হয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় জুলাই যোদ্ধা ও নিহতদের স্বজনদের নিয়ে সম্মিলন অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শফিকুল আলম, পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহিম খলিল সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা বৃন্দ, এ সময় বক্তাতারা বলেন আমরা শুধু স্বজন হারাইনি, হারিয়েছি গণতন্ত্রের কণ্ঠ। সেই সময়ের নির্যাতন, গুম, মিথ্যা মামলা আর আন্দোলন দমনের ভয়াবহ স্মৃতি আজও ভুলতে পারিনি, বলেন শহীদ ছাত্রনেতা হারুন-অর-রশিদের ভাই মো. আলাউদ্দিন। এই দিনে হাজারো মানুষ রাজপথে নেমেছিল গণতন্ত্র রক্ষায়, আজ তাদের স্মৃতি আমাদের শক্তি, বলেন মুক্তিযোদ্ধা ও বরগুনা জেলা আন্দোলন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আবুল হোসেন।

এছাড়া সকালে বরগুনা শহরের বিভিন্ন সড়কে শোভাযাত্রা বের হয় বাম দল, ছাত্র সংগঠন ও শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে। বিক্ষোভ থেকে বক্তারা ‘গণহত্যাকারীদের দ্রুত বিচার’ দাবি করেন এবং আগামী প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে পাঠ্যপুস্তকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান।

দিনব্যাপী কর্মসূচিতে অংশ নেন বরগুনার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, আন্দোলনের পরিবার ও সচেতন নাগরিকরা।

বরগুনাবাসী জানায় এই দিনটি আমাদের অস্তিত্বের ইতিহাস। আমরা শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি, এবং নতুন প্রজন্মকে তাদের আত্মত্যাগের কথা জানাতে চাই।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎বরুড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন

SBN

SBN

বরগুনায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালিত

আপডেট সময় ০২:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস। আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আয়োজন করা হয় নানা কর্মসূচি।

সকালে বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শুরু হয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় জুলাই যোদ্ধা ও নিহতদের স্বজনদের নিয়ে সম্মিলন অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শফিকুল আলম, পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহিম খলিল সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা বৃন্দ, এ সময় বক্তাতারা বলেন আমরা শুধু স্বজন হারাইনি, হারিয়েছি গণতন্ত্রের কণ্ঠ। সেই সময়ের নির্যাতন, গুম, মিথ্যা মামলা আর আন্দোলন দমনের ভয়াবহ স্মৃতি আজও ভুলতে পারিনি, বলেন শহীদ ছাত্রনেতা হারুন-অর-রশিদের ভাই মো. আলাউদ্দিন। এই দিনে হাজারো মানুষ রাজপথে নেমেছিল গণতন্ত্র রক্ষায়, আজ তাদের স্মৃতি আমাদের শক্তি, বলেন মুক্তিযোদ্ধা ও বরগুনা জেলা আন্দোলন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আবুল হোসেন।

এছাড়া সকালে বরগুনা শহরের বিভিন্ন সড়কে শোভাযাত্রা বের হয় বাম দল, ছাত্র সংগঠন ও শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে। বিক্ষোভ থেকে বক্তারা ‘গণহত্যাকারীদের দ্রুত বিচার’ দাবি করেন এবং আগামী প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে পাঠ্যপুস্তকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান।

দিনব্যাপী কর্মসূচিতে অংশ নেন বরগুনার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, আন্দোলনের পরিবার ও সচেতন নাগরিকরা।

বরগুনাবাসী জানায় এই দিনটি আমাদের অস্তিত্বের ইতিহাস। আমরা শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি, এবং নতুন প্রজন্মকে তাদের আত্মত্যাগের কথা জানাতে চাই।