মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বরুড়া: কুমিল্লার বরুড়ায় উপজেলা জাতীয় পার্টি দুই গ্রুপ একিভুত হয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর বেলা ১২টায় বরুড়া কলেজ রোড সংলগ্ন নীলাচল হাউজের জাতীয় পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়েে এ মুক্ত আলোচনা হয়। বরুড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির (একাংশ) সভাপতি মোঃ আবদুল বারী মাষ্টার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আরেক গ্রুপের নেতৃত্বকারী সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন। সভায় দীর্ঘ ৬ বছর পর মান অভিমান ভুলে সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন ও মাস্টার আবদুল বারী গ্রুপ একিভুত হয়।
দু’টো গ্রুপ একত্রিত হওয়ায় উপজেলা সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন এর হাত অনেক শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিত বহন করে।
মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন বক্তব্যে বলেন আমি সংসদ সদস্য থাকা কালিন সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে, বরুড়া উপজেলার প্রত্যেকটি রাস্তা ঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, মসজিদ, মন্দির, বরুড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ ৬তলা ভবন, কলেজে অনার্স কোর্স চালু, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করনে অবকাঠামে উন্নয়ন সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান উন্নয়নে ভবন নির্মাণ সহ ডিজিটাল ল্যাব বাস্তবায়ন করেছি, পৌরসভা কে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নতি করেছি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির হাতকে শক্তিশালী করতে মান অভিমান ভুলে ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান। এসময় বিভক্তিতে থাকা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতির সভাপতি মোঃ আবদুল বারী মাষ্টারকে ফুল দিয়ে পুনরায় বরণ করে নেন। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তারুজ্জামান ভুইয়া, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মাষ্টার নজরুল ইসলাম, বরুড়া পৌরসভা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ আবদুস সাত্তার মাষ্টার, ইব্রাহিম মিয়াজী, উপজেলা জাতীয় যুবসংহতীর সভাপতি কবির হোসেন, সহ সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মাষ্টার, পৌরসভা জাতীয় যুবসংহতীর সভাপতি নাজমুল আলম অপু শাহ, এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা জাতীয় পার্টির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম, সহ সম্পাদক আবুল কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরমান হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সুলতান আহমদ, প্রচার সম্পাদক মোঃ ইউনুস মিয়া সহ আরো অনেক।
মুক্ত আলোচনা শেষে মাস্টার আবদুল বারী দুই গ্রুপ একিভুত হওয়ায় তাঁকে আগামী দিন গুলোতে সভাপতি হিসেবে জাতীয় পার্টিতে সবাই মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন।