ঢাকা ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে বসেই প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ Logo অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই বর্তমান কমিশনের প্রধান লক্ষ্য Logo বুড়িচংয়ে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন জুলাই ৩৬ সংক্রান্ত, পরিচ্ছন্নতা, বর্জ্য শূন্যতার প্রচার অভিযান ও পুরষ্কার বিতরণ Logo লাকসাম জুয়েলারি সমিতির পরিচিতি সভা ও সংবর্ধনা Logo লাকসামে অগ্নিকাণ্ডে  তিন পরিবারের  নয়টি ঘর পুড়ে ছাই Logo সাজেকে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo মোংলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৩ Logo কুমিল্লায় উষসী পরিষদের আলোচনা ও কবিতা পাঠের আসর Logo চাঁদপুরে দুই ইটভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা Logo দেশব্যাপী পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০টি অভিযানে সাড়ে ৩৮ লক্ষ টাকা জরিমানা

বরুড়ায় স্বামীকে হত্যার দায়ে পরকীয়া প্রেমিকের ফাঁসি, স্ত্রীর যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার বরুড়ায় শরীফ উদ্দিন নামের এক পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন ও তার পরকীয়া প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর( এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. আবু ইউসুফ মুন্সী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জেলার বরুড়া উপজেলার জলম ইউনিয়নের চেঙ্গাছাল গ্রামের মোঃ নাসির উদ্দিন এর ছেলে আশিকুজ্জামান ও সিরাজগঞ্জ সদরের হোসেনপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে মোনালিসা হিমু (২৮)। হিমু বরুড়া পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী।

নিহত শরিফ উদ্দিন সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি বরুড়া উপজেলার আড্ডা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ইনচার্জ ছিলেন।

অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মুন্সি জানান, ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আড্ডা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনকে তার ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়। পরদিন থানায় ডাকাতি ও হত্যা মামলা করেন স্ত্রী হিমু। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উঠে আসে। মামলার চার্জশিটে আসামি করা হয় হিমু ও তার প্রেমিক আশিকুজ্জামানকে। এরপর আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। নিহত শরিফের স্ত্রী হিমু তার পরকীয়া প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ মামলায় হিমুর তিনটি নাবালক সন্তান থাকায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অপর আসামি আশিকুজ্জামাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন। মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে বসেই প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ

SBN

SBN

বরুড়ায় স্বামীকে হত্যার দায়ে পরকীয়া প্রেমিকের ফাঁসি, স্ত্রীর যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ১০:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার বরুড়ায় শরীফ উদ্দিন নামের এক পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন ও তার পরকীয়া প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর( এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. আবু ইউসুফ মুন্সী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জেলার বরুড়া উপজেলার জলম ইউনিয়নের চেঙ্গাছাল গ্রামের মোঃ নাসির উদ্দিন এর ছেলে আশিকুজ্জামান ও সিরাজগঞ্জ সদরের হোসেনপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে মোনালিসা হিমু (২৮)। হিমু বরুড়া পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী।

নিহত শরিফ উদ্দিন সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি বরুড়া উপজেলার আড্ডা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ইনচার্জ ছিলেন।

অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মুন্সি জানান, ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আড্ডা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনকে তার ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়। পরদিন থানায় ডাকাতি ও হত্যা মামলা করেন স্ত্রী হিমু। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উঠে আসে। মামলার চার্জশিটে আসামি করা হয় হিমু ও তার প্রেমিক আশিকুজ্জামানকে। এরপর আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। নিহত শরিফের স্ত্রী হিমু তার পরকীয়া প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ মামলায় হিমুর তিনটি নাবালক সন্তান থাকায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অপর আসামি আশিকুজ্জামাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন। মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা।