ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি, চীনের তীব্র নিন্দা Logo কালীগঞ্জে এলজিইডি’র সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ Logo ঢাকায় চীনা চলচ্চিত্র ‘স্নো লেপার্ড’ এর প্রদর্শনী Logo সার্বিকভাবে আইনের শাসনকে এগিয়ে নিতে সি’র নির্দেশনা Logo চীনের আহ্বান: জাপান ভুল মন্তব্য প্রত্যাহার করুক Logo রাঙ্গামাটিতে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় Logo পঞ্চগড়ে নবাগত জেলা প্রশাসক এর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় Logo লাকসামে ট্রাক মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু Logo গাইবান্ধার নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা Logo পবা-মোহনপুর আসনে জামায়াত প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা

বরুড়ায় স্বামীকে হত্যার দায়ে পরকীয়া প্রেমিকের ফাঁসি, স্ত্রীর যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার বরুড়ায় শরীফ উদ্দিন নামের এক পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন ও তার পরকীয়া প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর( এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. আবু ইউসুফ মুন্সী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জেলার বরুড়া উপজেলার জলম ইউনিয়নের চেঙ্গাছাল গ্রামের মোঃ নাসির উদ্দিন এর ছেলে আশিকুজ্জামান ও সিরাজগঞ্জ সদরের হোসেনপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে মোনালিসা হিমু (২৮)। হিমু বরুড়া পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী।

নিহত শরিফ উদ্দিন সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি বরুড়া উপজেলার আড্ডা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ইনচার্জ ছিলেন।

অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মুন্সি জানান, ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আড্ডা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনকে তার ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়। পরদিন থানায় ডাকাতি ও হত্যা মামলা করেন স্ত্রী হিমু। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উঠে আসে। মামলার চার্জশিটে আসামি করা হয় হিমু ও তার প্রেমিক আশিকুজ্জামানকে। এরপর আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। নিহত শরিফের স্ত্রী হিমু তার পরকীয়া প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ মামলায় হিমুর তিনটি নাবালক সন্তান থাকায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অপর আসামি আশিকুজ্জামাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন। মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি, চীনের তীব্র নিন্দা

SBN

SBN

বরুড়ায় স্বামীকে হত্যার দায়ে পরকীয়া প্রেমিকের ফাঁসি, স্ত্রীর যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ১০:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার বরুড়ায় শরীফ উদ্দিন নামের এক পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন ও তার পরকীয়া প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর( এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. আবু ইউসুফ মুন্সী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জেলার বরুড়া উপজেলার জলম ইউনিয়নের চেঙ্গাছাল গ্রামের মোঃ নাসির উদ্দিন এর ছেলে আশিকুজ্জামান ও সিরাজগঞ্জ সদরের হোসেনপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে মোনালিসা হিমু (২৮)। হিমু বরুড়া পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী।

নিহত শরিফ উদ্দিন সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি বরুড়া উপজেলার আড্ডা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ইনচার্জ ছিলেন।

অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মুন্সি জানান, ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আড্ডা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনকে তার ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়। পরদিন থানায় ডাকাতি ও হত্যা মামলা করেন স্ত্রী হিমু। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উঠে আসে। মামলার চার্জশিটে আসামি করা হয় হিমু ও তার প্রেমিক আশিকুজ্জামানকে। এরপর আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। নিহত শরিফের স্ত্রী হিমু তার পরকীয়া প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ মামলায় হিমুর তিনটি নাবালক সন্তান থাকায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অপর আসামি আশিকুজ্জামাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন। মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা।