মোঃ ইকরামুল হক
বরুড়া রাজনীতিতে এক উজ্জল নক্ষত্রের নাম সাবেক কুমিল্লা ০৭(বরুড়া) আসনের সাবেক সাংসদ প্রয়াত এ কে এম আবু তাহের।
গুনী এই মানুষটির আজ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। জন্ম ১৯৩৫ ইং সালের ৮ই জানুয়ারী বরুড়া উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের সোনাইমুড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে, বাবা মরহুম হাজী ইমান উদ্দিন ও মা মোসাম্মৎ নওয়াব জানের এই ডানপিঠে ছেলেই কালের পরিক্রমায় হয়ে উঠেন বরুড়ার মাটি ও মানুষের নেতা। শিক্ষা জীবনে মরহুম এ কে এম আবু তাহের সোনাইমুড়ীতে প্রাথমিক, পয়ালগাছায় মাধ্যমিক ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন।
তিনি কর্মজীবনে একজন সফল ঠিকাদার, সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী এবং দেশে স্বনামধন্য বেসরকারি ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান, অরিয়ন লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ইউনিভার্সাল মেশিনারি প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান, মোহাম্মদ বশির এন্ড কোং প্রাইভেটের এর চেয়ারম্যান ছিলেন।
তিনি দেশের অন্যতম উদ্যোক্তা ও শিল্পপতি হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৯১ ইং সালে সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হয়ে প্রথমবারের মতো মহান সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে (১৫ই ফেব্রুয়ারী), সর্বশেষ ২০০১ সালে তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৭ম সংসদ নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন, সর্বমোট তিনি চারটি সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করে তিনটি নির্বাচনে জয়ী হন। ২০০৪ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরন করেন।
মৃত্যু কালে তার স্ত্রী সুফিয়া খানম, দুই ছেলে জাকারিয়া তাহের সুমন, আবু নাছের ইয়াহিয়া (শারমিন) ও একমাত্র কন্যা আসমা তানিয়া তাহের কে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী, বন্ধু শুভাকাঙ্ক্ষী ও কর্মী সমর্থক রেখে যান। মরহুম এ কে এম আবু তাহের বরুড়া উপজেলায় বহু স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মক্তব, মসজিদ, এতিমখানা, ব্রীজ, রাস্তাঘাট প্রতিষ্ঠা পরিচালনা ও উন্নয়ন করে গেছেন।
তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তি যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান করায় পাক-বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হউন। উনার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বরুড়া উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।