ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঢাকার বুকে ছত্রীসেনার থাবা, আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি; বিজয়ের আলোছায়ার দিন Logo স্বাস্থ্যই মুক্তির লড়াই: বৈষম্যহীন ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা” Logo মানবাধিকার রক্ষায় সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারী Logo ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এড. আশিকুজ্জামান নজরুলের পিতা দাফন সম্পন্ন Logo ভুরুঙ্গামারী সীমান্তে ২৭ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণ কাতান শাড়ি জব্দ Logo মোংলা – খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় একজনের মৃত্যু Logo বরুড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ Logo তাহিরপুরে ৩২ বোতল বিদেশী মদ সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo বরুড়ায় বৃত্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক—সচেতন মহলে প্রশ্নের ঝড়

বরুড়ায় বৃত্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক—সচেতন মহলে প্রশ্নের ঝড়

মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বরুড়া

বরুড়া পৌর সদরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই বিদ্যালয়টি ৮ম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রতন কুমার সাহা একক সিদ্ধান্তে কেন্দ্রটি পরিবর্তন হওয়ায় শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, গত সরকারের সময় বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও এ বছর পুনরায় পরীক্ষা চালুর ঘোষণা আসে। কিন্তু কেন্দ্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে পৌর সদরের স্কুলটির নাম প্রস্তাব না দিয়ে অতি গোপনে কাদবা তলাগ্রাম ত, চ লাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়। শিক্ষার্থী সংকুলান না থাকায় পরবর্তীতে ভেন্যু হিসেবে বরুড়া সরকারি কলেজের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, অথচ বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সহজেই সব পরীক্ষার্থীকে এক জায়গায় ধারণ করতে সক্ষমতা রয়েছে । কেন্দ্র বদলানোর পেছনে ‘কিসের বিনিময়ে এ সিদ্ধান্ত’—এ প্রশ্নই এখন সচেতন নাগরিকদের মুখে মুখে।

বিতর্ক আরও তীব্র হয় যখন জানা যায়, তলাগ্রাম ত, চ লাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রতন কুমার সাহা ৬৫ জোড়া টেবিল বরুড়া হাজী নোয়াব আলী স্কুল থেকে চেয়েছেন, তলাগ্রাম স্কুলের জন্য । যেখানে সরকার নকল প্রতিরোধে কেন্দ্র কমানোর নীতি গ্রহণ করেছে, সেখানে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নিয়ে।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে—উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে না জানিয়ে এবং কোনো আনুষ্ঠানিক মিটিং ছাড়াই এককভাবে প্রস্তাবটি বোর্ডে পাঠান মাধ্যমে শিক্ষা অফিসার রতন কুমার সাহা। । যা প্রশাসনকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

তথ্য অনুযায়ী,

বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২,০০০ জন,

অপরদিকে তলাগ্রাম ত, চ লাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ৭৫০ জন।

এ ঘটনায় এলাকায় পরিবেশ উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানা গেছে।

জানা যায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের স্ত্রী তলাগ্রাম ত,চ,লাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অনেক বলছেন স্ত্রী ভালোবাসায় তিনি এ কাজ টি করতে পারেন। প্রতিষ্ঠিত পৌর সদরে অবস্থিত স্কুল বাদ দিয়ে কিভাবে তিনি এ কাজ করেছেন তা সুস্থ চিন্তার কাজ হতে পারে না বলে অনেকে মনে করেন।

বরুড়ার শিক্ষাব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং সঠিক তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে সচেতন নাগরিকরা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকার বুকে ছত্রীসেনার থাবা, আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি; বিজয়ের আলোছায়ার দিন

SBN

SBN

বরুড়ায় বৃত্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক—সচেতন মহলে প্রশ্নের ঝড়

আপডেট সময় ০২:০৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বরুড়া

বরুড়া পৌর সদরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই বিদ্যালয়টি ৮ম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রতন কুমার সাহা একক সিদ্ধান্তে কেন্দ্রটি পরিবর্তন হওয়ায় শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, গত সরকারের সময় বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও এ বছর পুনরায় পরীক্ষা চালুর ঘোষণা আসে। কিন্তু কেন্দ্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে পৌর সদরের স্কুলটির নাম প্রস্তাব না দিয়ে অতি গোপনে কাদবা তলাগ্রাম ত, চ লাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়। শিক্ষার্থী সংকুলান না থাকায় পরবর্তীতে ভেন্যু হিসেবে বরুড়া সরকারি কলেজের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, অথচ বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সহজেই সব পরীক্ষার্থীকে এক জায়গায় ধারণ করতে সক্ষমতা রয়েছে । কেন্দ্র বদলানোর পেছনে ‘কিসের বিনিময়ে এ সিদ্ধান্ত’—এ প্রশ্নই এখন সচেতন নাগরিকদের মুখে মুখে।

বিতর্ক আরও তীব্র হয় যখন জানা যায়, তলাগ্রাম ত, চ লাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রতন কুমার সাহা ৬৫ জোড়া টেবিল বরুড়া হাজী নোয়াব আলী স্কুল থেকে চেয়েছেন, তলাগ্রাম স্কুলের জন্য । যেখানে সরকার নকল প্রতিরোধে কেন্দ্র কমানোর নীতি গ্রহণ করেছে, সেখানে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নিয়ে।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে—উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে না জানিয়ে এবং কোনো আনুষ্ঠানিক মিটিং ছাড়াই এককভাবে প্রস্তাবটি বোর্ডে পাঠান মাধ্যমে শিক্ষা অফিসার রতন কুমার সাহা। । যা প্রশাসনকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

তথ্য অনুযায়ী,

বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২,০০০ জন,

অপরদিকে তলাগ্রাম ত, চ লাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ৭৫০ জন।

এ ঘটনায় এলাকায় পরিবেশ উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানা গেছে।

জানা যায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের স্ত্রী তলাগ্রাম ত,চ,লাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অনেক বলছেন স্ত্রী ভালোবাসায় তিনি এ কাজ টি করতে পারেন। প্রতিষ্ঠিত পৌর সদরে অবস্থিত স্কুল বাদ দিয়ে কিভাবে তিনি এ কাজ করেছেন তা সুস্থ চিন্তার কাজ হতে পারে না বলে অনেকে মনে করেন।

বরুড়ার শিক্ষাব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং সঠিক তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে সচেতন নাগরিকরা।