
স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলায় পৌর সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামতকাজ শেষে অবশিষ্ট পুরাতন টিন নিয়ে শিক্ষা পরিবারে চরম বিরোধ ও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, নিয়মনীতি উপেক্ষা করে এসব টিন আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কবিতা রানী পাল জানান, মেরামত শেষে অবশিষ্ট টিন সরকারি বিধি অনুযায়ী নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার কথা।
বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তিনি বাধা দেন এবং স্পষ্টভাবে জানান, টিন নিলাম ছাড়া অন্য কোনো পথে নেওয়া যাবে না।
এ ঘটনার মধ্যেই নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ওই বিদ্যালয়ের অবশিষ্ট, টিনের মধ্যে ৩০ পিচ টিন বাগমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই টিন দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ভবনের ওপর নারীদের জন্য একটি টিনশেড নামজের স্থান নির্মাণ করা হবে। অফিস সহায়ক কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ২০ থেকে ২৫ পিচ তিন বাগমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য আনা হয়েছে।
স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন মহলের দাবি, একটি সরকারি বিদ্যালয়ের সম্পদ নিয়ে এ ধরনের অস্বচ্ছতা শিক্ষা প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। তারা দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত, জড়িতদের জবাবদিহি এবং সরকারি সম্পদ সুরক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় বরুড়ায় উপজেলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
তবে বিষয়টি জানাজানি হলে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রনি বিস্ময় প্রকাশ বলেন, “উপজেলায় তো একটি মসজিদ রয়েছে। কার অনুমতিতে নামাজের স্থান বা এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রনি, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না এবং প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
টিন নেওয়ার বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার পাল বলেন, সরকারি যে কোন জিনিসপত্র বিনা টেন্ডারে নেওয়ার সুযোগ নেই, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 


























