
এম ডি এন মাইকেল
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) যেন টাকার খনি। এই প্রতিষ্ঠানে যারাই চাকুরী করেন তারাই কোটিপতি বনে যান। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি থেকে শুরু করে প্রকৌশলী, প্রধান প্রকৌশলী ও পরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা যে যেভাবে পারছেন প্রতিষ্ঠানটির রক্ত চুষে খাচ্ছেন। তারা একেকজন প্রায় ১০/১২ বছর ধরে বিআইডব্লিউটিএর প্রধান কার্যালয়ে চাকুরী করার সুবাদে প্রতিষ্ঠানটিকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন।
সরকারি চাকুরী বিধি অহরহ লংঘন করা হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে অনেকেই।তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ বন্দর এর সহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ সরকারি চাকরির বিধি-বিধান ভঙ্গ করে ঠিকাদারদের লাইসেন্স ব্যবহার করে নিজেই ঠিকাদারি কাজ করতেন এবং যেই সকল ঠিকাদারি লাইসেন্স ব্যবহার করে জালাল কাজ করতেন সেই সকাল ঠিকাদারদের শতকরা ৪% কমিশন দেওয়ার কথা থাকলেও ক্ষমতার জোরে ওই সকল ঠিকাদারদের সেই ৪% কমিশন থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর ওই সকল কাজে নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে রাজধানীর ঢাকার রায়েরবাগ ও শনিআখড়ায় গড়ে তুলেছেন বেশ কয়েকটি আলিশান ভবন।
বিভিন্ন ঠিকাদারদের থেকে পাওয়া অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়।বিআইডব্লিউটিএ এর আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ বন্দর যান্ত্রিক এর সহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ নারায়ণগঞ্জ বন্দরের স্পেয়ার পার্টস বিক্রির জন্য ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করার পরে নিজেই ঠিকাদারদের লাইসেন্স ব্যবহার করে উক্ত ঠিকাদারি কাজে অংশগ্রহণ করে সরকারি কোষাগারে যৎ সামান্য রাজস্ব জমা দিয়ে স্পেয়ার পার্টস বিক্রি করতেন বলে বিভিন্ন ঠিকাদার জানান।সহকারী প্রকৌশলিক (যান্ত্রিক) জালাল আহমেদের বহুরূপী দুর্নীতির কারণে (বিআইডব্লিউটিএ থেকে) সরকার হারিয়েছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব এবং তিনি তার ব্যক্তিগত কোষাগারকে করেছেন সম্পদশালী, চলাচল করেন ব্যক্তিগত দামী গাড়িতে।
বিআইডব্লিউটিএ’র তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক মুক্তির লড়াইকে জানান, সহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ এর স্পেয়ার পার্টস ব্যবসা ও ঠিকাদারি কাজের বিষয় বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ওপেন সিক্রেট। জালাল স্যার আমাদের লাইসেন্স ব্যবহার করার আগে আমাদেরকে বলতেন তোমাদেরকে ৪% কমিশন দেব, কিন্তু আমাদের লাইসেন্স এর প্যাড ব্যবহার করে কাজ করার পর বিল উত্তোলন করার পরেও আমাদেরকে সেই ৪% টাকা না দিয়ে উল্টো হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন,যদিও প্রত্যেক বছর আমরা ঠিকাদাররা বিআইডব্লিউটিএ’তে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য সরকার নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিগত সরকারের আমলে বিআইডব্লিউটিএ’র উর্ধ্বতন কতিপয় কিছু আসাধু কর্মকর্তার আস্কারার কারণে জালাল আহমেদ দিন দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠেন যাহা গত বছর ৫ই আগস্টের পর থেকে অধ্যবধি চলমান রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ বন্দর অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক মুক্তির লড়াই কে জানান নারায়ণগঞ্জ বন্দরের সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) জালাল আহমেদ দীর্ঘদিন থেকে নিজেই ঠিকাদারি ব্যবসার সাথে জড়িত যাহা সরকারি চাকরির বিধি-বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক যদিও তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই সকল অনৈতিক কাজ করে আসছেন।এমনকি তিনি অফিসে প্রকাশ্য সবাইকে বলে বাড়ান বিআইডব্লিউটিু’র উপর মহলকে ম্যানেজ করে আমি আমার চাকরি এবং ঠিকাদারি ব্যবসা চলমান দেখেছি, এই দেশে টাকা থাকলে আইন থাকে পকেটে।প্রশ্ন হল তিনি উপর মহল বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ কর্মরত সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বোধগম্য নয়।ওই কর্মকর্তা আরো জানান জাহাজ মেরামতের কাজে বৈদেশিক যন্ত্রাংশ লাগানোর কথা দরপত্র আহবান এর সময় উল্লেখ থাকলেও জালাল আহমেদ নিজেই ঐ সকল ঠিকাদারি কাজ করার কারণে দেশের খোলা বাজার ধোলাইখাল ও নবাবপুর থেকে অধিক মুনাফা করার জন্য ব্যবহার করতেন এতে করে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে যাহা এখনো হচ্ছে।এহেন দুর্নীতিবাজ দেশ ও জাতির শত্রু বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।
নারায়ণগঞ্জ বন্দর এর সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) জালাল আহমেদের বহুরূপী দুর্নীতির বিষয়ে জানতে একাধিকবার তার কর্মস্থলে গিয়ে না পাওয়ার কারণে পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত মুঠো ফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনেই ব্যস্ত আছি বলে মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন ও খুঁদে বার্তা পাঠানো হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) জালাল আহমেদের সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের অনুসন্ধান চলমান,,,,,,,