ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo জুলাই-আগষ্টের শহিদের স্মরণে ও আহতদের সু-স্বাস্থ্য কামনায় ঝিনাইগাতীতে দোয়া অনুষ্ঠিত Logo ফকিরহাটে ১২০০পিস ইয়াবাসহ এক নারী মাদক কারবারি আটক Logo সিলেটে এক কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo চান্দিনায় ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’ রোপণ কর্মসূচি পালিত Logo লালমনিরহাটে জাসাস এর মানববন্ধন Logo জুলাই- আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীগনের স্মরণে বরুড়ায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিতউপলক্ষে Logo বেইজিংয়ে কেন্দ্রীয় শহর কর্মসম্মেলন Logo রূপসায় অরবিন্দ মন্ডল বুলুর স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনালে ডোবা নবারুন সংঘ Logo ‘চীন-মার্কিন যুব বন্ধুত্ব,২০২৫’ অনুষ্ঠানে চীনের ফার্স্ট লেডি Logo কিশোরগঞ্জের নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির মূল্য বৃদ্ধি, দিশেহারা ক্রেতা

বহু মামলার পলাতক আসামী মাদক ও নারী ব্যবসার মূলহোতা শ্যামেল গ্রেফতার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৪:৩৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • ২১১৬ বার পড়া হয়েছে

মদ আর নারী যার নেশা! মানুষের সাথে প্রতারণা করে একের পর এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার মুফতি শহীদুল ইসলামের ছেলে এহতেশামুল হক শামেল।
কখনো নিজেকে মন্ত্রীর আত্নীয়, সচিবের আত্নীয় আবার কখনো নিজেকে মন্ত্রীর স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে মহান সাজার চেষ্টা করেন।
তার প্রতারণা থেকে রক্ষা পায়নি তার আপন ভগ্নিপতিও। যার এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা আত্নসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালে নবীরগর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
তার বহুমুখী প্রতারণায় নিঃস্ব হয়ে অনেকেই পথে পথে ঘুরছেন। কখনো আবাসন, কখনো ফ্ল্যাট বা জমি নানান কথায় মানুষকে আকৃষ্ট করে। সুন্দরী নারী দিয়ে বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় এই শামেল। কথিত রয়েছে এই শামেল একজন মুফতি!
তার প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পায়নি সাবেক পুলিশ, মেজর ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরাও। দুরন্ধর এই প্রতারক সর্বশেষ মোঃ আজিজুস সালেহীন নামক এক প্রতিষ্ঠিত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীকে গাজীপুরের রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ এর মালিকানাধানা দেওয়ার স্বত্তে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু ঐ ব্যবসায়ীর নামে কোন ভবন বা জমি না কেনায় তার সন্দেহ হয়। তিনি বিভিন্ন তথ্যে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন- রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ তার মালিকানাধীন কোন প্রতিষ্ঠান নয়। প্রতারণায় ধরা পড়ে যাওয়ায় আত্নগোপনে চলে যায় প্রতারক শামেল।
অতপরঃ ঐ ব্যবসায়ী বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-০৫ তারিখঃ ০৪/০২/২০২৩ইং।
এছাড়াও ঐ ব্যবসায়ী প্রতারণার প্রতিকার চেয়ে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার ফলশ্রুতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উক্ত মামলাটি ডিবি’র প্রধানকে মার্ক করেন। অদ্য ১০আগস্ট ডিবি কর্তৃক শ্রী মঙ্গল থেকে গ্রেফতার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
জানা যায়- এই প্রতারক নানান নামে কোম্পানি করে মানুষের টাকা আত্নসাৎ করেন। এক্সিস, হ্যাভিটেশান, তাজমহল আবাসনসহ নানান নামে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে।
রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ নামক যৌথমালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠানটিকে একক দাবি করে মানুষকে প্রতারিত করছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মোঃ আজিজুস সালেহীন সাথে কথা হলে- তিনি বলেন, এই প্রতারক শামেল আমাকে ব্যবসায়িক পার্টনার করার কথা বলে আমার থেকে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। সে একজন বড় মাপের প্রতারক। খোঁজ নিলে বিস্তারিত জানতে পারবে

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগষ্টের শহিদের স্মরণে ও আহতদের সু-স্বাস্থ্য কামনায় ঝিনাইগাতীতে দোয়া অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

বহু মামলার পলাতক আসামী মাদক ও নারী ব্যবসার মূলহোতা শ্যামেল গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৪:৩৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

মদ আর নারী যার নেশা! মানুষের সাথে প্রতারণা করে একের পর এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার মুফতি শহীদুল ইসলামের ছেলে এহতেশামুল হক শামেল।
কখনো নিজেকে মন্ত্রীর আত্নীয়, সচিবের আত্নীয় আবার কখনো নিজেকে মন্ত্রীর স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে মহান সাজার চেষ্টা করেন।
তার প্রতারণা থেকে রক্ষা পায়নি তার আপন ভগ্নিপতিও। যার এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা আত্নসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালে নবীরগর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
তার বহুমুখী প্রতারণায় নিঃস্ব হয়ে অনেকেই পথে পথে ঘুরছেন। কখনো আবাসন, কখনো ফ্ল্যাট বা জমি নানান কথায় মানুষকে আকৃষ্ট করে। সুন্দরী নারী দিয়ে বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় এই শামেল। কথিত রয়েছে এই শামেল একজন মুফতি!
তার প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পায়নি সাবেক পুলিশ, মেজর ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরাও। দুরন্ধর এই প্রতারক সর্বশেষ মোঃ আজিজুস সালেহীন নামক এক প্রতিষ্ঠিত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীকে গাজীপুরের রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ এর মালিকানাধানা দেওয়ার স্বত্তে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু ঐ ব্যবসায়ীর নামে কোন ভবন বা জমি না কেনায় তার সন্দেহ হয়। তিনি বিভিন্ন তথ্যে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন- রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ তার মালিকানাধীন কোন প্রতিষ্ঠান নয়। প্রতারণায় ধরা পড়ে যাওয়ায় আত্নগোপনে চলে যায় প্রতারক শামেল।
অতপরঃ ঐ ব্যবসায়ী বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-০৫ তারিখঃ ০৪/০২/২০২৩ইং।
এছাড়াও ঐ ব্যবসায়ী প্রতারণার প্রতিকার চেয়ে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার ফলশ্রুতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উক্ত মামলাটি ডিবি’র প্রধানকে মার্ক করেন। অদ্য ১০আগস্ট ডিবি কর্তৃক শ্রী মঙ্গল থেকে গ্রেফতার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
জানা যায়- এই প্রতারক নানান নামে কোম্পানি করে মানুষের টাকা আত্নসাৎ করেন। এক্সিস, হ্যাভিটেশান, তাজমহল আবাসনসহ নানান নামে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে।
রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ নামক যৌথমালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠানটিকে একক দাবি করে মানুষকে প্রতারিত করছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মোঃ আজিজুস সালেহীন সাথে কথা হলে- তিনি বলেন, এই প্রতারক শামেল আমাকে ব্যবসায়িক পার্টনার করার কথা বলে আমার থেকে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। সে একজন বড় মাপের প্রতারক। খোঁজ নিলে বিস্তারিত জানতে পারবে