
মো: বেলায়েত হোসেন, শেরপুর
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে শেরপুরে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ এপ্রিল সোমবার সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।
এসময় পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) উপ-পরিচালক মোঃ বশীর উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডাঃ মুহাম্মদ শাহীন, পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান, জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জেবুন নাহার শাম্মী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আবদুল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসাঃ হাফিজা জেসমিন, শেরপুর জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল বাতেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেরপুর জেলা আহ্বায়ক মামুনুর রহমান, সদস্য সচিব শাহনুর রহমান সাইম, শেরপুর জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ অংশ নেন।
বাঙালি সংষ্কৃতির নানা প্রতিকৃত, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এছাড়াও শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা বর্ণিল সাজে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বিভিন্ন পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে নেয়। শোভাযাত্রায় গরু গাড়ি, ঘোড়া গাড়ি স্থান পেয়েছে।
শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে লোকজ মেলা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।
লোকজ মেলা উদ্বোধন শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। এরপর চিত্রাঙ্কন, রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।
এছাড়াও শেরপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অপরদিকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় শেরপুরে ১৪ এপ্রিল বা বাংলা নববর্ষ পয়লা বৈশাখে সেজে ওঠে বাঙালিয়ানায়। শহর-বন্দর, গ্রাম-গঞ্জে বসে বৈশাখী মেলা। সারা দেশের মতো শেরপুর জেলার প্রায় সাড়ে ৭০০ গ্রামের মধ্যে প্রায় অর্ধশত গ্রাম বা হাটবাজারে বসে এ বৈশাখী মেলা। এ উপলক্ষে গ্রামের প্রায় প্রতিটি ঘরেই উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।