
অতনু চৌধুরী (রাজু) বাগেরহাটঃ
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিনের মতো হরতাল চলছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে, বেঞ্চ পেতে, বাশ বেঁধে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে এ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা ও সন্ধ্যা ছয়টায় এ কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বাগেরহাটের ৪’টি সংসদীয় আসনের মধ্যে রামপাল-মোংলা নিয়ে গঠিত একটি আসন কমিয়ে নির্বাচন কমিশন জেলায় তিনটি আসন চূড়ান্ত করে। একইসঙ্গে ৯ উপজেলার সীমানা পরিবর্তনও করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে জেলার সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলনে ফুঁসে উঠেছে। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকে দ্বিতীয় দফার আটচল্লিশ ঘণ্টার হরতাল চলছে।
হরতালের কারণে বুধবারের মতোই আজও বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়’সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রবেশ করতে পারেননি। আদালতে আইনজীবীদের অনুপস্থিতিতে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যদিও স্কুল-কলেজ খোলা ছিল, তবে পরীক্ষা ছাড়া নিয়মিত ক্লাস হয়নি। সড়কে কোনো যানবাহন চলাচল করছে না। ফলে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে দিনমজুর ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। অনেকে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে দেখা গেছে।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপি নেতা এমএ সালাম বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করে, আমরা আবারো মিটিং করে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।
এ বিষয়ে শেখ মঞ্জুরুল হক রাহাদ জানিয়েছেন, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা রাজপথে থাকবো। প্রয়োজনে জনগণের অধিকার ক্ষুন্ন হয় এমন অভিযোগ এনে সংবিধানের আলোকে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি খসড়া প্রস্তাবে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি রাখার প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনগুলো নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশগ্রহণ করে। কিন্তু তাদের দাবিকে উপেক্ষা করে গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।