ঢাকা ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চান্দিনায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি; আহত ১ Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় যুবক গ্রেপ্তার Logo বুড়িচং উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কামাল, সেক্রেটারি নজরুল Logo শেরপুরে ৫ দফা গণদাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট জামায়াতের স্মারকলিপি পেশ Logo নির্বাচনের উপর দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি নির্ভর করছে- ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল Logo শৈলকুপায় চিকিৎসকের অবহেলায় সাঁপে কাটা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে মানববন্ধন Logo টেকনাফে আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ Logo ঝিনাইদহে নিষিদ্ধ চায়না জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে প্রশাসন Logo ‎ঢাকা কলেজে হামলার প্রতিবাদে লালমনিরহাট সরকারি কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি Logo বাগেরহাটের দশানী পচা দীঘি থেকে এক রাজমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

বাজারফান্ড জমি বন্ধক রেখে ঋণ খুলে দেওয়ার দাবিতে পিসিসিপি’র স্মারকলিপি প্রদান

মো : নাজমুল হোসেন ইমন, স্টাফ রিপোর্টার

বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসন করে দ্রুত জমি বন্ধক রেখে ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া খুলে দেওয়ার দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক মো: হাবীব আজমের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর দিয়েছে পিসিসিপি কেন্দ্রীয় ও রাঙামাটি জেলার নেতৃবৃন্দরা।

অদ্য ১৯ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পিসিসিপি’র নেতাকর্মীর উপস্থিত হয়ে প্রধান উপদেষ্টার নিকট এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, পিসিসিপি রাঙামাটি জেলার সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, রাঙামাটি পৌর শাখার সভাপতি পারভেজ মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে পিসিসিপি’র নেতাকর্মীরা বলেন,
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা—রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতার কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাজারফান্ড জমি মর্টগেজ (বন্ধক) দিয়ে ঋণ নিতে না পারায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা অর্থ সংকটে ভুগছেন। এতে ব্যবসার পরিধি ছোট হচ্ছে, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে না, বাড়ছে বেকারত্ব। একই সঙ্গে এখানকার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ছে।

বাজারফান্ড এলাকায় ব্যবসা সংকোচন ও ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা বাড়ছে
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, শহরকেন্দ্রিক বাজারফান্ড জমির দাম বেশি হলেও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে ব্যাংক ঋণ মিলছে না। ফলে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হচ্ছেন মূলধন সংকটে পড়তে। অনেকে ইতোমধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে বাইরে চলে যাচ্ছেন। নতুন উদ্যোক্তারা ঝুঁকি নিতে পারছেন না, কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হচ্ছে না।

“২০১৭ সালে রাঙামাটির তৎকালীন জেলা প্রশাসক প্রথমবার বাজারফান্ড এলাকার ভূমি রেজিস্ট্রির মিউটেশন মামলা স্থগিত করেন। তখন নানা দেন-দরবারের পর তা চালু হলেও ২০১৯ সালে আবার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যবসায়ীরা ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা যতদিন অবসান না হবে, ততদিন পাহাড়ের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হতে থাকবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি), কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছে বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধান বের করতে হবে।

পিসিসিপি উক্ত জটিলতা নিরসনে বারবার পার্বত্য জেলা প্রশাসকদের আহ্বান করলেও বিষয়টি তারা নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ নিচ্ছে না, এতে করে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি পিসিসিপি বারবার হতাশ হচ্ছে। তাই দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া না হলে পিসিসিপি তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে রাখবে বলে হুশিয়ারি দেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চান্দিনায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি; আহত ১

SBN

SBN

বাজারফান্ড জমি বন্ধক রেখে ঋণ খুলে দেওয়ার দাবিতে পিসিসিপি’র স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট সময় ১১:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

মো : নাজমুল হোসেন ইমন, স্টাফ রিপোর্টার

বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসন করে দ্রুত জমি বন্ধক রেখে ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া খুলে দেওয়ার দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক মো: হাবীব আজমের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর দিয়েছে পিসিসিপি কেন্দ্রীয় ও রাঙামাটি জেলার নেতৃবৃন্দরা।

অদ্য ১৯ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পিসিসিপি’র নেতাকর্মীর উপস্থিত হয়ে প্রধান উপদেষ্টার নিকট এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, পিসিসিপি রাঙামাটি জেলার সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, রাঙামাটি পৌর শাখার সভাপতি পারভেজ মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে পিসিসিপি’র নেতাকর্মীরা বলেন,
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা—রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতার কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাজারফান্ড জমি মর্টগেজ (বন্ধক) দিয়ে ঋণ নিতে না পারায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা অর্থ সংকটে ভুগছেন। এতে ব্যবসার পরিধি ছোট হচ্ছে, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে না, বাড়ছে বেকারত্ব। একই সঙ্গে এখানকার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ছে।

বাজারফান্ড এলাকায় ব্যবসা সংকোচন ও ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা বাড়ছে
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, শহরকেন্দ্রিক বাজারফান্ড জমির দাম বেশি হলেও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে ব্যাংক ঋণ মিলছে না। ফলে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হচ্ছেন মূলধন সংকটে পড়তে। অনেকে ইতোমধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে বাইরে চলে যাচ্ছেন। নতুন উদ্যোক্তারা ঝুঁকি নিতে পারছেন না, কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হচ্ছে না।

“২০১৭ সালে রাঙামাটির তৎকালীন জেলা প্রশাসক প্রথমবার বাজারফান্ড এলাকার ভূমি রেজিস্ট্রির মিউটেশন মামলা স্থগিত করেন। তখন নানা দেন-দরবারের পর তা চালু হলেও ২০১৯ সালে আবার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যবসায়ীরা ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা যতদিন অবসান না হবে, ততদিন পাহাড়ের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হতে থাকবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি), কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছে বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধান বের করতে হবে।

পিসিসিপি উক্ত জটিলতা নিরসনে বারবার পার্বত্য জেলা প্রশাসকদের আহ্বান করলেও বিষয়টি তারা নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ নিচ্ছে না, এতে করে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি পিসিসিপি বারবার হতাশ হচ্ছে। তাই দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া না হলে পিসিসিপি তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে রাখবে বলে হুশিয়ারি দেন।